গাই হুইটল
গাই জেমস হুইটল (ইংরেজি: Guy Whittall; জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২) রোডেশিয়ার চিপিঞ্জে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের পক্ষে ৪৬ টেস্ট ও ১৪৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের ওডিআই দলকে চার খেলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন গাই হুইটল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গাই জেমস হুইটল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চিপিঞ্জে, রোডেশিয়া | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এআর হুইটল (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১) | ১ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ নভেম্বর ২০০২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৬) | ১৫ নভেম্বর ১৯৯৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ মার্চ ২০০৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩/৯৪-১৯৯৮/৯৯ | মাতাবেলেল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯/০০-২০০২/০৩ | মনিকাল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড ও মনিকাল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মূলতঃ তিনি অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানহাতি আক্রমণাত্মক মাঝারীসারির ব্যাটসম্যান ও কার্যকরী ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন তিনি।
তার কাকাতো ভাই এআর হুইটল জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনা১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ের বিদ্যালয় দলে খেলার জন্য মনোনীত হন গাই হুইটল। এ দলটির সদস্যরূপে ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে যান। দলটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড হটন। ঐ সফরগুলোয় দলটি অপরাজিত অবস্থায় দেশে ফেরে।
জিম্বাবুয়ে স্কুলসের সদস্য হিসেবে লোগান কাপে হারারে সেন্ট্রাল দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। তবে ঐ সময়ে প্রতিযোগিতাটি প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করেনি। ১৮ বছর বয়সে ইয়ং জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম খেলেন ও ব্যাট হাতে ইনিংসের গোড়াপত্তন ঘটান। সফরকারী কাউন্টি দলের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর কৃতিত্বস্বরূপ ১৯৯৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরের জন্য জিম্বাবুয়ের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তি ঘটে তার। তবে ইংল্যান্ডে কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেনি তার। পাকিস্তান সফরে যাবার ফলে তার টেস্ট অভিষেক হবার সুযোগ ঘটে।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা১ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারখে ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে গাই হুইটলের। ঐ টেস্টে জিম্বাবুয়ে দল ১৩১ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়। খেলায় হুইটল ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন ও বাসিত আলীর উইকেট লাভে সক্ষম হন। বৃহৎ অঙ্কের ইনিংস খেলার জন্য তাকে খুব বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। নিজস্ব ষষ্ঠ টেস্টে তিনি তার প্রথম সেঞ্চুরির সন্ধান পান। ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে পাকিস্তান দলের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে দলের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত ঘটান।
দুই বছর পর কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ২০৩ রান তুলে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান। দ্বি-শতক রানের জন্য দলের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান এভারটন মাতাম্বানাদজো তাকে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। স্লিপ অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
সেপ্টেম্বর, ২০০২ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অল্পের জন্য দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলা থেকে বঞ্চিত হন। বিতর্কিত ঘটনায় তিনি অপরাজিত ১৮৮* রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যেতে বাধ্য হন। ডিওন ন্যাশের বলে দুই রান সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চালান ও শেষ ব্যাটসম্যান পমি এমবাঙ্গা রান আউটের শিকার হন।
তার খেলোয়াড়ী জীবনে কোন পাঁচ-উইকেট লাভের ঘটনা নেই। তবে জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চাশেরও অধিক উইকেট পেয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৪/১৮।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনাতিনটি বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়েকে সুপার সিক্সে উত্তরণ ঘটান তিনি।
অবসর
সম্পাদনামার্চ, ২০০৩ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এরফলে পারিবারিক ব্যবসায় মনোনিবেশ ঘটাতে তার বেশ সহায়ক হবে বলে জানান। এছাড়াও জিম্বাবুয়েতে পেশাদার শিকারী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার।
সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, হুইটলের হিউমানি লজের বিছানার নিচে ৮ ফুট লম্বা কুমির মাত্র ইঞ্চিখানেক ব্যবধানে অবস্থান করছিল।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গাই হুইটল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গাই হুইটল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- বিআরএমটেলর.কমে গাই হুইটল (ইংরেজি)