গাংনী উপজেলা
গাংনী বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২]
গাংনী | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে গাংনী উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫১′৩৬.০০০″ উত্তর ৮৮°৪৬′১২.০০০″ পূর্ব / ২৩.৮৬০০০০০০° উত্তর ৮৮.৭৭০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | মেহেরপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪৪.৪৭ বর্গকিমি (১৩৩.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৯৯,৬০৭ |
• জনঘনত্ব | ৮৭০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪২.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৫৭ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
গাংনী নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্রায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা গাঙ বলে। অনুমান করা হয় যে, গাঙ্গেয় অববাহিকার এ এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপনকারী মানুষেরা অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘এ এলাকায় গাং অর্থাৎ নদী নেই’- এমন ঘোষণা দেয়। ‘গাং নেই’ পরবর্তীকালে হয়ে যায়- ‘গাংনী’। এ এলাকার মানুষেরা নেই বুঝাতে ‘নি’ উচ্চারণ করে। গাংনী নামকরণে ভিন্ন আর একটি যুক্তিও পাওয়া যায়। পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞ্চলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে একসময় এ এলাকার মানুষ ‘গাংগীনি’ বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী শব্দের উৎপত্তি। গাংনী নামকরণে মুলত এ অঞ্চলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয় ফুটে উঠেছে।[৩]
এই উপজেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও মেহেরপুর সদর উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
উপজেলার মোট আয়তন ৩৪৪.৪৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১টি থানা, ১টি পৌরসভা (গ শ্রেণীর), ৯টি ইউনিয়ন, ১৩টি মহল্লা, ০৯টি ইউনিয়ন, ১০৩টি মৌজা, ১৪৩ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
মোট জনসংখ্যা ২,৯৯,৬০৭ জন।পুরুষ ১,৪৮,২৫০ জন ও মহিলাঃ১,৩৭,৯১৯ জন। (সুত্রঃ গাংনী উপজেলা প্রশাসন ২০১৮-০১-৩১)
শিক্ষাসম্পাদনা
শিক্ষার হার ৪২.২% (পুরুষ ৪২.৭% ও মহিলাঃ ৪১.৭%)।
- প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮২টি (সরকারি ৭৮টি, বেসরকারি রেজিষ্টার্ড ৭৭ টি, আন রেজিষ্টার্ড ৮টি, কিন্ডার গার্ডেন ১৪টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ০১টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন নেই, কমিউনিটি ৪টি),
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১ টি,
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫২ টি,
- উচ্চ মাধ্যমিক ০৩ টি,
- স্কুল এন্ড কলেজ ০১ টি,
- ডিগ্রী কলেজ ০৩ টি (বেসরকারি),
- কলেজ ১১ টি,
- ফাযিল মাদ্রাসা ০১ টি,
- আলিম মাদ্রাসা ০১ টি,
- দাখিল মাদ্রাসা ০৭টি।
অর্থনীতিসম্পাদনা
নদীসমূহসম্পাদনা
গাংনী উপজেলায় ৩টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে ভৈরব নদী, হিশনা-ঝাঞ্চা নদী এবং কাজলা নদী।[৪][৫]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসম্পাদনা
মুন্সি শেখ জমিরউদ্দিনঃ উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক সমাজ সেবক। রাজনৈতিক ভাবে মুসলমানদের হৃত গৌরব তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামের গৌরবময় ঐতিহ্যচেতনাপুষ্ট মুসলমান চিন্তানায়কদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা খেলাফত আন্দোলনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব নিবাসী বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মুন্শী জমিরউদ্দিন বিদ্যাবিনোদ এ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তারঁ সম্পর্কে আর কিছু জানা নাই।
রফিকুর রশীদ:লেখক।
মোহাম্মদ শাহ আলম (ক্রীড়াবিদ) (৫ মে ১৯৫৮ - ২৯ মে ১৯৮৯) হলেন একজন কৃতি বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ। তিনি টানা দু'বার সাফ গেমসে দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শাহ আলমের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৫ মে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক কবির হোসেনের পরিবারে। ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর হয়ে ২০০ মিটারে স্বর্ণ এবং ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতলেও পরের বছর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্রুততম মানব হন শাহ আলম। একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দু'দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে। ১৯৮৮-এর সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শাহ আলম। ১৯৮৯ সালের ২৯ মে বেইজিং এশিয়াডের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে মেহেরপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পাবনার বেড়ার দাড়িয়াপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তথনকার দেশসেরা অ্যাথলেট মোহাম্মদ শাহ আলম। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
বিবিধসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে গাংনী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "উৎপত্তি ও নামকরণ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৮৩-৮৪, ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
খুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |