গাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশন
গাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের বনগাঁ – রানাঘাট লাইনের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার গাংনাপুর স্টেশন রোডে অবস্থিত।
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |||||||||||
অবস্থান | গাংনাপুর, নদীয়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ ভারত | ||||||||||
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল | ||||||||||
পরিচালিত | পূর্ব রেল | ||||||||||
লাইন | বনগাঁ–রানাঘাট রেলপথ | ||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ১ | ||||||||||
রেলপথ | ১ | ||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||
গঠনের ধরন | ভূমিগত স্টেশন | ||||||||||
পার্কিং | না | ||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | ||||||||||
স্টেশন কোড | |||||||||||
অঞ্চল | পূর্ব রেল | ||||||||||
বিভাগ | শিয়ালদহ | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | হ্যাঁ | ||||||||||
আগের নাম | বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি | ||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||
| |||||||||||
অবস্থান | |||||||||||
অবস্থান
সম্পাদনাগাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশন নদীয়া জেলার গাংনাপুর গ্রামে অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - নব রায়নগর রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল মাঝেরগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
ইতিহাস
সম্পাদনাশিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়।[১][২] ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দুটি লাইন নির্মাণ করেছিল: দমদম থেকে খুলনা পর্যন্ত বনগাঁ হয়ে, এখন বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ।[১] শিয়ালদহ রানাঘাট রেলপথ ও শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথ নির্মাণ করে।[১]
রেলপথ
সম্পাদনাগাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশনটি নদীয়া জেলা ও উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে বিস্তৃত রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথটি একক রেললাইন বা রেল ট্র্যাক দ্বার গঠিত।
পরিকাঠাম
সম্পাদনাস্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ১ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। গাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ১ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।
গাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।
বৈদ্যুতীকরণ
সম্পাদনাগাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে।
রেল পরিষেবা
সম্পাদনাএই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা বনগাঁ ও রানাঘাটগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা
সম্পাদনাগাংনাপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশনের কোড বা সংকেতিক নাম হল - এসটিবিবি। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।
- ↑ J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০।