গদাধর পণ্ডিত ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। তারা শৈশবকাল তথা সন্ন্যাসী জীবনের এক দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম মতে তিনি পঞ্চতত্ত্বের একজন অন্যতম সদস্য। তাকে রাধারানী, ললিতা (গোপী) বা এদের মিলিত অবতার হিসাবে মনে করা হয়।[]

শ্রীল পণ্ডিত গদাধর গোস্বামী
জন্মআনুমানিক ১৪৮৭ খ্রিষ্টাব্দ, বৈশাখী অমাবস্যা তিথি,
বেলেটি গ্রাম, চট্টগ্রাম জেলা (অধুনা বাংলাদেশ) মতান্তরে, শ্রীধাম নবদ্বীপ, নদীয়া জেলা, (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ)
অন্তর্ধানটোটা গোপীনাথ মন্দির, পুরী
সঙ্গীশ্রী অদ্বৈত আচার্য , শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু , শ্রী নিত্যানন্দ প্রভু , শ্রীবাস ঠাকুর ,মুকুন্দ দত্ত, হরিদাস ঠাকুর , রামানন্দ রায় এবং অন্যান্য
পিতা-মাতা
  • শ্রীমাধব মিশ্র (বৃষভানু) (পিতা)
  • রত্নাবতী দেবী ( বৃষভানু-পত্নী কীর্তিদা রাণী) (মাতা)
পরিবারজগন্নাথ ও বাণীনাথ , নয়নানন্দ গোস্বামী (ভ্রাতুষ্পুত্র)

শ্রীল পণ্ডিত গদাধর গোস্বামী :-

  • আবির্ভাব তিথি : আনুমানিক ১৪৮৭ সালে বৈশাখী অমাবস্যা তিথি
  • আবির্ভাব সময়কাল : গৌর লীলা
  • আবির্ভাব স্থান : বেলেটি গ্রাম, চট্টগ্রাম জেলা (অধুনা বাংলাদেশ) মতান্তরে, শ্রীধাম নবদ্বীপ, নদীয়া জেলা, (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
  • পিতা  / মাতা : শ্রীমাধব মিশ্র (বৃষভানু ) , ও রত্নাবতী দেবী (বৃষভানু-পত্নী কীর্তিদা রাণী)
  • ভ্রাতা : জগন্নাথ ও বাণীনাথ , নয়নানন্দ গোস্বামী (ভ্রাতুষ্পুত্র)
  • পিতৃ শ্রীগুরুদেব : শ্রীল মাধবেন্দ্রপুরী (শ্রীপাদ লক্ষ্ণীপিতির প্রধান শিষ্য)
  • শ্রীল মাধবেন্দ্রপুরীর শিষ্য : ঈশ্বর পুরী, অদ্বৈত আচার্য, শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভু, শ্রীমাধব মিশ্র পরমানন্দ পুরী, ব্রহ্মানন্দ পুরী, রঙ্গপুরী, পুন্ডরীক বিদ্যানিধি ও রঘুপতি উপাধ্যায় প্রমূখ বিখ্যাত ছিলেন।
  • শ্রীগুরুদেব : শ্রীল পুন্ডরীক বিদ্যানিধি
  • শ্রীপাট : শ্রীপাট ভরতপুর (নয়নানন্দ শ্রীপাট , কান্দি - মুর্শিদাবাদ) , নবদ্বীপের হরিবোল কুটির (হরিদাস দাস বাবাজী শ্রীপাট) , টোটা গোপীনাথ মন্দির (জগন্নাথ পুরী) , শ্রী শ্রী গৌর গদাধর মন্দির (চম্পাহাটি - নিমতলা) , শ্রী শ্রী গৌর-গদাধর গৌড়ীয় মঠ (শ্রীধাম নাবদীপ) গৌর গদাধর জন্মস্থানের মন্দির - চট্টগ্রাম জেলার (আধুনিক বাংলাদেশ), গদাধর পণ্ডিতের দন্ত সমাধি- শ্রী ব্রজধাম । এছাড়াও শ্রীপাট ময়নাডাল গদাধর শাখা ।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Gadadhara Pandita"Wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৭