গণহত্যা ১৯৭১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ

গণহত্যা ১৯৭১ ভাস্কর্যটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ বিলোনিয়ার চোত্তাখোলায় অবস্থিত ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান’-এর কেন্দ্রীয় আকর্ষণ।[] এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বীরত্বের নিদর্শন হিসেবে নির্মিত হয়েছে।

গণহত্যা ১৯৭১
শিল্পীহাশেম খান, মাহমুদুল হাসান সোহাগ
সম্পন্ন১১ নভেম্বর ২০১০
অবস্থানভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান

ইতিহাস

সম্পাদনা

গণহত্যা ১৯৭১ ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তৈরি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরা ছিল শরণার্থীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন নিজ দেশে থাকতে পারছিল না, তখন ত্রিপুরার মানুষ তাদের জন্য খাবার, আশ্রয় আর সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভাস্কর্যটি সেই বন্ধুত্ব আর মানবিকতার গল্প বলে।[] ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর এই মৈত্রী উদ্যান উদ্বোধন করা হয়।[]

বর্ণনা

সম্পাদনা

গণহত্যা ১৯৭১ ভাস্কর্যটি ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) লম্বা ৯ ফুট (২.৭ মিটার) চওড়া এবং ৫ ফুট (১.৫ মিটার) উঁচু। [][] ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী হাশেম খান ও মাহমুদুল হাসান সোহাগের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে।[] ভাস্কর্যের নকশায় মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার নির্মমতা ও শরণার্থীদের দুর্ভোগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভাস্কর্যের মূল অংশে গণহত্যার শিকার হওয়া মানুষের করুণ অবস্থা চিত্রিত করা হয়েছে। ভাস্কর্যে নারীদের সংগ্রাম, শিশুদের কান্না, ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতীকী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি কেবলমাত্র গণহত্যার স্মৃতিচারণ নয়, এটি স্বাধীনতার জন্য যে মূল্য চোকাতে হয়েছিল তারও প্রতিফলন।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Bharat-Bangladesh Maitri Udyan : 'ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান', মুক্তির আবাহন"voiceekattor.com। ১৫ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৫ 
  2. "'ত্রিপুরা ছিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের পরম আশ্রয়স্থল'"দৈনিক ইত্তেফাক। ১২ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৫ 
  3. "ঘরে ঘরে স্মৃতি মুক্তিযুদ্ধের"। ২০ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৫ 
  4. "Chottakhola Mai0tree Udyan to be inaugurated on Bangladesh Victory Day"ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৭-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭ 
  5. Leader, The Weekend। "Renowned artists from Tripura and Bangladesh join hands to build a war memorial"www.theweekendleader.com (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৭ 
  6. "মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য উদ্যান ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর"। ১৭ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৫ 
  7. দাশ, শংকর লাল (২৫ জানুয়ারি ২০১৯)। "ত্রিপুরায় মুক্তিযুদ্ধকালীন এক টুকরো বাংলাদেশ"। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৫