গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক

পূর্ব ইউক্রেনীয় ওব্লাস্ত দোনেৎস্কের একটি স্ব-ঘোষিত আধা-রাষ্ট্র

গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক হল পূর্ব ইউক্রেনীয় ওব্লাস্ত দোনেৎস্কের একটি স্ব-ঘোষিত আধা-রাষ্ট্র। এটিকে শুধুমাত্র আংশিকভাবে স্বীকৃত দক্ষিণ ওশেতিয়া ও প্রতিবেশী লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিক (এলপিআর) স্বীকৃতি প্রদান করেছে। দোনেৎস্ক রাজধানী শহর ও ডিপিআর-এর বৃহত্তম শহর। দিনিস পুশিলিন ২০১৮ সাল থেকে ডিপিআর রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৮][৯]

গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক


  • Донецкая Народная Республика (রুশ)
    দোনেৎস্ক নরোদনায়া রিপাবলিকা
the Federal State of Novorossiya#Donetsk People's Republic জাতীয় পতাকা
পতাকা
the Federal State of Novorossiya#Donetsk People's Republic Coat of arms
Coat of arms
জাতীয় সঙ্গীত: Славься республика
"প্রজাতন্ত্রের গৌরব"[১]
ডিপিআর-এর ঘোষিত (হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ) ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল (গাঢ় সবুজ)
ডিপিআর-এর ঘোষিত (হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ) ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল (গাঢ় সবুজ)
ইউক্রেনের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক
ইউক্রেনের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক
অবস্থাবিতর্কিত
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
দোনেৎস্ক
সরকারি ভাষারুশ[২]
সরকারএককেন্দ্রিক সাংবিধানিক গণতন্ত্র
দিনিস পুশিলিন[৩]
• প্রধানমন্ত্রী
ভ্লাদিমির পাশকভ
• গণপরিষদের চেয়ারম্যান
ভ্লাদিমির বিডিওভকা
আইন-সভাগণপরিষদ
স্বাধীনতা ইউক্রেন থেকে
• প্রতিষ্ঠিত
৭ এপ্রিল ২০১৪
১২ মে ২০১৪[৪]
আয়তন
• মোট
৮,৯০২ কিমি (৩,৪৩৭ মা)
জনসংখ্যা
• ২০১৮ আনুমানিক
২৩,০২,৪৪৪[৫] (ক্রম করা হয়নি)
মুদ্রারুশ রুবল[৬]
সময় অঞ্চলইউটিসি+৩ (মস্কো সময়[৭])
গাড়ী চালনার দিকডান

২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় বিপ্লবের পর লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিকক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের পাশাপাশি ডিপিআর ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ইউক্রেন ও ডিপিআর ও এলপিআর-এর মধ্যে একটি চলমান সশস্ত্র সংঘাত তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হয়। এলপিআর ও ডিপিআর রাশিয়া থেকে সহায়তা পেয়েছে।[১০][১১] ন্যাটো ও ইউক্রেনের মতে, রাশিয়া ডিপিআর বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তাও দিয়েছিল, তবে দাবিটি রাশিয়া অস্বীকার করেছিল।[১২] ইউক্রেন ডিপিআর ও এলপিআর উভয়কেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে,[১৩] যদিও এই উপাধিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বা সরকার (ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ররাশিয়া সহ) দ্বারা সমর্থিত নয়।[১৪]

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত মিন্‌স্ক চুক্তির (ডিপিআর, এলপিআর, রাশিয়া, ওএসসিই এবং ইউক্রেন দ্বারা স্বাক্ষরিত) লক্ষ্য সংঘাত বন্ধ করা ও উক্ত এলাকার জন্য আরও স্বায়ত্তশাসনের বিনিময়ে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিকে ইউক্রেনে পুনঃসংহত করা ছিল,[১৫][১৬] কিন্তু চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।[১৭]

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়া ডিপিআর দ্বারা জারি করা পরিচয় নথি, ডিপ্লোমা, জন্ম-মৃত্যু ও বিবাহ-শংসাপত্র এবং গাড়ির নিবন্ধন প্লেটগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে যে মিন্‌স্ক চুক্তির উপর ভিত্তি বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে "পরিস্থিতির রাজনৈতিক নিষ্পত্তি" না হওয়া পর্যন্ত এটি তারা চালিয়ে যাবে।[১৮][১৯] ন্যাটো, ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, যে নিয়মিত রাশিয়ান ইউনিটসমূহ ডিপিআর ও এলপিআর'কে সহায়তা করছে, যা আধুনিক রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ও আর্টিলারি পরিচালনা করে।[১২] রাশিয়া উক্ত দাবি অস্বীকার করে, তবে বলেছে যে রাশিয়ান স্বেচ্ছাসেবকরা ডিপিআর ও এলপিআর'কে সাহায্য করছে।[১২]

ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে দোনেৎস্ক পিপল'স রিপাবলিককে – লুহানস্ক পিপল'স রিপাবলিক, ক্রিমিয়ার স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রসেভাস্তোপোলের পাশাপাশি – ইউক্রেনের চারটি অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চলের একটি হিসাবে বিবেচনা করে।[২০][২১]

ডিপিআর ও ইউক্রেনীয় সরকার অনুমান করে, যে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ – দোনেৎস্ক ওব্লাস্তের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি – ডিপিআর-অধিষ্ঠিত অঞ্চলে বাস করে। যদিও বিদ্রোহীরা দোনেৎস্ক ওব্লাস্তের বেশিরভাগ এলাকা শাসন করে না, শুধুমাত্র ৭,৮৫৩ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, তারা দোনেৎস্ক (রাজধানী) ও হরলিভকার মতো বড় শহরগুলি দখল করেছে।[২২] রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দোনেৎস্ককে স্বীকৃতি প্রদান করেন।[২৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. National Anthem of Donetsk People's Republic - Славься республика, наша народная (도네츠크 인민 공화국의 국가) (YouTube)। Donetsk। ১৭ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২১ 
  2. Русский признали в ДНР единственным государственным языком [The Russian language has become the sole state language in the DPR]। Российская газета (রুশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 
  3. Luhn, Alec (১২ নভেম্বর ২০১৮)। "Kremlin-backed candidate elected leader of breakaway Donetsk republic"The Daily Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল  থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  4. Walker, Shaun (১২ মে ২০১৪)। "Ukraine: pro-Russia separatists set for victory in eastern region referendum"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "Численность населения Донецкой Народной Республики на 1 января 2018 года" (পিডিএফ)। ১৬ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Постановление Президиума Совета Министров ДНР № 18-3 от 28.09.2015 г."। ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  7. "DPR and LPR switch over to Moscow time"। Information Telegraph Agency of Russia। ২৬ অক্টোবর ২০১৪। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  8. "Парламент ДНР сменил исполняющего обязанности главы республики"Meduza। Meduza। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২১Народный совет самопровозглашенной Донецкой народной республики (ДНР) сменил исполняющего обязанности главы республики — вместо вице-премьера Дмитрия Трапезникова им стал председатель парламента Денис Пушилин, пишет «Интерфакс». 
  9. "South Ossetia recognises independence of Donetsk People's Republic"। Information Telegraph Agency of Russia। ২৭ জুন ২০১৪। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৪ 
  10. "Ten Things You Should Know about Russian Involvement in Ukraine"Atlantic Council (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২০ 
  11. "Database and Video Overview of the Russian Weaponry in the Donbas"InformNapalm.org (English) (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২০ 
  12. Ukraine crisis: Russian troops crossed border, Nato says, BBC News (12 November 2014)
    Putin defends rebel leaders in eastern Ukraine, BBC News (19 December 2019)
    Ukraine conflict: Front-line troops begin pullout, BBC News (29 October 2019).
  13. "Ukraine's prosecutor general classifies self-declared Donetsk and Lugansk republics as terrorist organizations"Kyiv Post। ১৬ মে ২০১৪। 
  14. "EU terrorist list – Consilium"। Europa (web portal)। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৯ 
  15. "Package of Measures for the Implementation of the Minsk Agreements" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) (রুশ ভাষায়)। Organization for Security and Co-operation in Europe। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  16. "Minsk agreement on Ukraine crisis: text in full"The Daily Telegraph। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল  থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  17. Explainer: What Is The Steinmeier Formula – And Did Zelenskiy Just Capitulate To Moscow?, Radio Free Europe (2 October 2019)
    Ukraine conflict: Can peace plan in east finally bring peace?, BBC News (10 December 2020)
    Ukraine conflict: Guns fall silent but crisis remains, BBC News (23 October 2015)
  18. "Putin orders Russia to recognize documents issued in rebel-held east Ukraine"Reuters। Reporting by Maria Kiselyova in Moscow, addition reporting by Pavel Polityuk in Kiev; editing by Adrian Croft। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  19. "U.S. embassy in Kiev critical of Moscow order on Ukrainian documentation"Reuters। Reporting by Andrey Ostroukh; editing by David Goodman। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  20. "Набув чинності закон про окуповані території України" [The Law on Occupied Territories of Ukraine has come into force]। Mirror Weekly (ইউক্রেনীয় ভাষায়)। ১৫ মে ২০১৪। ২৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  21. Higher educational institutions at the temporarily occupied territories of Ukraine will not work – the minister of education. Newsru. 1 October 2014
  22. "Self-proclaimed Luhansk People's Republic governs most residents"। Information Telegraph Agency of Russia। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
    "Nowhere to Run in Eastern Ukraine"The New York Times। ১৩ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  23. ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলেন পুতিন, প্রথম আলো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২