গঙ্গাভারাম বন্দর[১] বিশাখাপত্তনামে অবস্থিত।এই বন্দরটি বিশাখাপত্তনম বন্দর থেকে ১২ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।বন্দরটি ডিভিএস রাজু (৫৯%),গ্লোবাল প্রাইভেট ইকুইট ফ্রামক য়ারব্রাগ (৩০%) ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার (১১%) মিলে গড়েতুলেছে।বন্দরটি ভারতের পূর্ব উপকূলে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।এই বন্দরটি ভারতের গভীরতম বন্দর।[২] এই বন্দরের গভীরতা ২১ মিটার।[৩] বন্দরটি ২০০০০০ ডিডাব্লুটি (DWT) জাহাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পাড়ে।

গঙ্গাভারাম বন্দর
অবস্থান
দেশ ভারত
অবস্থানবিশাখাপত্তনম, অন্ধ্রপ্রদেশ
স্থানাঙ্ক১৭°২২′ উত্তর ৮৩°০৮′ পূর্ব / ১৭.৩৭° উত্তর ৮৩.১৪° পূর্ব / 17.37; 83.14
বিস্তারিত
চালুজুলাই ২০০৯
পরিচালনা করেগঙ্গাভারাম পোর্ট লিমিটেট
মালিকগঙ্গাভারাম পোর্ট লিমিটেট
পোতাশ্রয়ের ধরনসমুদ্র বন্দর (প্রকৃতিক)
উপলব্ধ নোঙরের স্থান
পরিসংখ্যান
বার্ষিক কার্গো টন২০.৭৪ মিলিয়ন টন (২০১৪-২০১৫)

ইতিহাস সম্পাদনা

 
গঙ্গাভারাম বন্দরের দৃশ্য

বন্দরটির নির্মাণ শুরু হয় ২০০৫ সালে এবং ২০০৯ সালে এই বন্দরটি উদ্বোধন করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমুন্ত্রী ওয়াই.এস রাজাসেখারা রেড্ডি।

যেখানে বোরম্মা গদ্দা নদী সমুদ্রে মিলিত হয়, সেই স্থানে বন্দরটি অবস্থিত। গঙ্গাভড়াম ও দীবাপালেম গ্রামের জেলেরা এই বন্দর নির্মাণের দ্বারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারা ইয়ারদাতে একটি বিকল্প মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারের জন্য জেট নির্মাণ এবং একটি ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থায় দাবি জানায়।[৪]

ডিভিএস রাজু গ্রুপ বন্দরের উন্নয়নে ₹১৮.৫০ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে। [1] গঙ্গাভরাম পোর্ট লিমিটেড এর জন্য ₹১১.৭০ বিলিয়ন টাকা ঋণ দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াসহ ১৩ টি ব্যাঙ্কের একটি কনসোর্টিয়াম। এই টাকা বন্দরের প্রথম ধাপের উন্নয়নের জন্য তহবিল গঠন করবে।

বিশাখাপত্তনাম বন্দরের সাথে তুলনা সম্পাদনা

গঙ্গাভরাম পোর্ট লিমিটেডের প্রথম খরিদ্দার হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড, যেটি বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কারখানা পরিচালনা করে এবং পূর্বে বিশাখাপত্তনাম বন্দর ব্যবহার করত কাঁচামাল আমদানির জন্য।[২] গঙ্গাভরাম পোর্ট লিমিটেড রেলওয়ে পরিবহন খরচ কমাতে বিশাখাপত্তনাম ইস্পাত কারখানায় আমদানিকৃত কাঁচামাল সরাসরি পরিবহন করার জন্য কনভেয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

বিশখাপত্তনম বন্দরের ব্যবসা যেনও অনিশ্চিত না হয়ে পড়ে, এই জন্য বিশাখাপত্তনাম বন্দরটির মালিকানা ভারত সরকার, বিশাখাপত্তনাম বন্দর এবং গঙ্গাভরাম বন্দরের বেসরকারি পরিচালক গোষ্ঠীর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাবটি তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।

ডিভিএস রাজু, বন্দরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, বলেন গঙ্গাভরাম বন্দরটি বিশাখাপত্তনাম বন্দরের প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং প্রকৃত পরিপূরক বন্দর হিসাবে পরিচালিত হবে।[৫]

গঙ্গাভরাম বন্দর বৃহত্ত আকারের ২,০০,০০০ ডিডবলুটি জাহাজগুলি পরিচালনা করতে সক্ষম। রাজ্য সরকার গঙ্গাভরাম বন্দর থেকে ₹২১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি চার লেনের উড়ালপুল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।[৬]

পন্য নিয়ন্ত্রণ সম্পাদনা

বন্দরটি ২০১৪-২০১৫ সালে ২০.৭৪ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করে।এর আগের বছর বন্দরটি ১৫ মিলিয়ন টনের বেশি পণ্য পরিবহন করেছিল।[৭] বন্দরটি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১৮.০৪ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করেছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://www.marinetraffic.com/en/ais/details/ports/18980/India_port:GANGAVARAM
  2. "CM inaugurates Gangavaram Port"Business Standard। ১৩ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০০৯ 
  3. "CM to inaugurate Gangavaram port"। The Hindu Business Line। ১১ জুলাই ২০০৯। ১৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০০৯ 
  4. "A hill stands between Andhra fishermen, Gangavaram port"। The Hindu Business Line। ২৯ মার্চ ২০০৬। ৭ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  5. "Gangavaram port to expand capacity in a phased manner"। Highbeam। ১২ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Govt to build flyover to Gangavaram port"The Times of India। ৩০ জুন ২০০৯। ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  7. "Gangavaram port handles 20.74 mt of cargo" 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা