গংগাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

বাংলাদেশের রংপুর জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

গংগাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার একটি মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়[১] এটি পুরো উপজেলার মধ্যে একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।[২][৩]

গংগাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যলয়
অবস্থান
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৪৯
শিক্ষাবিষয়ক কর্তৃপক্ষমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
প্রধান শিক্ষকআব্দুল আখের মিঞা
কর্মকর্তা
শিক্ষকমণ্ডলী২৫
ভর্তি১০৬৫
শ্রেণীষষ্ঠ–দশম
ভাষাবাংলা
EIIN১২৭২৪২

ইতিহাস সম্পাদনা

পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে ১৯৪৯খ্রিষ্টাব্দে গংগাচড়াবাসীর জেনারেল শিক্ষার মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বিদ্যালয়টি প্রায় ১৫ একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্নে অবদান রাখেন ডা. রহিম উদ্দিন, মনির দালাল, আব্দুল মালেক (দারোগা), কাজিম উদ্দিন, আছের উদ্দিন, আছিম উদ্দিন প্রমুখ। জানা যায়, স্কুলটির অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য তিন মাস ধরে যাত্রা গানের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। সর্বপ্রথম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন দাউদ এলাহী। বর্তমানে উপজেলার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এখানে কলা, বিজ্ঞান ও ভকেশনাল কোর্স চালু আছে। [৪] গঙ্গাচড়ার তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল স্বনাম ধন্য বিদ্যালয়। যেখানে দূর-দুরন্ত থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসতো। গৌরবান্বিত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যের ধারা বহমান রয়েছে গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় ৬৮ বছর নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে উপজেলার সবচেয়ে পুরানো এ বিদ্যালয়টি। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে।[৫] এ স্কুলটি ১৯-৮-২০১৭ সালে সরকারি করা হয়।[৬]

প্রশাসনিক ইউনিট সম্পাদনা

একজন প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের তথ্যাবদানে এ সরকারি স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।

ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদনা

সরকারি হওয়ার পর থেকে এখানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। করোনা কালিন সময়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হয়।[৭]

ফলাফল সম্পাদনা

প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে এ বিদ্যালয়টি। পাশের হার ৯৯% ।

জমি সম্পাদনা

বিদ্যলিয়টিতে মোট জমি ১৫ একর উর্ধে। মুল ক্যাম্পাসে ৮৮ শতক জমি বাকি জমি আবাদি।

ভবন ও অন্যান্য সম্পাদনা

একাডেমিক ভবন রয়েছে ৬টি যার মধ্যে ১তলা ৪টি, দ্বিতল ১টি ও তিনতলা ১টি। কারিগরি শাখার জন্য একটি ১ তলা পাকা ভবন রয়েছে। রয়েছে শোভা বর্ধক বৃক্ষরাজি এবং ২টি প্রবেশ দ্বার। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে আছে বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, হলরূম, সহকারি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের জন্য আলাদা কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, রয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশনের ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা।[৮]ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধশালী পাঠাগার। যাতে রয়েছে ২ হাজার বিভিন্ন নামীদামী লেখকের বই। এখানে পাঠ্য জ্ঞানের বাইরেও বিভিন্ন শিক্ষনীয় বই পড়ে ছাত্রছাত্রীরা মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বেস্টনী দ্বারা ঘেরা।

পোশাক সম্পাদনা

ছেলেদের জন্য নেভি ব্লু প্যান্ট, আকাশি কালার শার্ট ও সাদা জুতা এবং মেয়েদের জন্য সবুজ কামিজ বা ফোরক, সাদা জুতা এবং সাদা ওড়না।

শ্রেষ্টত্ব সম্পাদনা

বিদ্যালয়টি উপজেলা পর্যায়ে পরপর তিনবার শ্রেষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গংগাচড়া উপজেলা" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "সরকারি হলো আরো ৪৩ স্কুল"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 
  3. "জাতীয়করণ হচ্ছে আরও ৬৯ বিদ্যালয়"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 
  4. ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গংগাচড়া উপজেলার (২০১৩)। গংগাচড়া উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রংপুর: লেখক সংসদ। পৃষ্ঠা ১১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯২৩-৪৫-০ 
  5. "সরকারি স্বীকৃতি পেল গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 
  6. "সরকারি স্বীকৃতি পেল গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 
  7. "গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি লটারী অনুষ্ঠিত"দৈনিক দাবানল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "সরকারি স্বীকৃতি পেল গঙ্গাচড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা