খোয়াই নদী

বাংলাদেশের নদী

খোয়াই নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[] নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হবিগঞ্জকিশোরগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০৬ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক খোয়াই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ২২।[]

খোয়াই নদী
তেলিয়ামুরায় খোয়াই নদী
তেলিয়ামুরায় খোয়াই নদী
তেলিয়ামুরায় খোয়াই নদী
দেশসমূহ বাংলাদেশ  বাংলাদেশ, ভারত  ভারত
রাজ্য ত্রিপুরা
অঞ্চলসমূহ সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ
জেলাসমূহ হবিগঞ্জ জেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা, খোয়াই জেলা
উৎস আঠারমুড়া পাহাড়ের উত্তর অংশ
মোহনা কুশিয়ারা নদী
দৈর্ঘ্য ১৬৬ কিলোমিটার (১০৩ মাইল)

প্রবাহ

সম্পাদনা

খোয়াই নদী ভারতের ত্রিপুরাবাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। এর উৎপত্তিস্থল ত্রিপুরার আঠারমুড়া পাহাড়। এটি ত্রিপুরার তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। সেখান থেকে নদীটি উত্তর-পশ্চিম মুখে প্রবাহিত হয়ে সিলেট জেলার বাল্লা নামক স্থান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নদীটি হবিগঞ্জ জেলার পূর্বপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশেছে।[] ভারতের খোয়াই এলাকার ভেতর দিয়ে নদীটি বাংলাদেশে এসেছে বলে ঐ এলাকার নামানুসারে এর নাম করণ করা হয়েছে “খোয়াই” ।

খোয়াই নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কিংবদন্তি প্রবাদ আছে : খোয়াই নদীর প্রাচীন নাম ক্ষমা বা ক্ষেমা । ক্ষেমা নাম করণের পেছনে একটি জনপ্রবাদ রয়েছে। একবার এক ভিনদেশী বণিক তার পানসী নৌকা নিয়ে এই নদীর তীরে নোঙ্গর করে ফেলে খাসিয়াদের একটি পূজা উৎসব উপভোগ করছিল। যুবকের রূপে মুগ্ধ হয়ে অভিজাত এক খাসিয়া কন্যা তাকে ভালবেসে বিয়ে করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে । কিন্তু খাসিয়া সম্প্রদায় তাকে নিজেদের সম্প্রদায়ের একজন যুবকের সাথে ঐ কন্যার বিবাহ দিলে ক্ষেমা বা ক্ষাম নামের ঐ খাসিয়া কন্যা নদীতে আত্মাহুতি দেন । সেই থেকে এই নদীর নাম ক্ষেমা বা ক্ষমা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৮৪। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  3. বাংলাপিডিয়ায় খোয়াই নদী[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]