খুলনা-বাগেরহাট রেলপথ

খুলনা-বাগেরহাট রেলওয়ে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি (৭৬২ মিলিমিটার) সরু গেজ রেলপথ যা খুলনা এবং বাগেরহাটের মাঝে যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই রেলপথটি ১৯১৮ সালে নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৯৮ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।[] ২০-মাইল (৩২ কিমি) দীর্ঘ এই রেলপথে ১৯৫৮ সালে ১৩টি কোচ এবং ৮টি মালগাড়ি চলাচল করত।[]

খুলনা-বাগেরহাট রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অন্য নামপূর্ব রূপসা-বাগেরহাট রেলপথ
স্থিতিবিলুপ্ত
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চল বাংলাদেশ
স্টেশন১০
পরিষেবা
ধরনন্যারোগেজ লাইন (১৯১৮-১৯৬৯)
ব্রডগেজ লাইন (১৯৬৯-১৯৯৮)
সিঙ্গেল লাইন
পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল)
ট্র্যাক গেজ২ ফুট ৬ ইঞ্চি (৭৬২ মিলিমিটার)

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাংলাদেশের অন্যতম সচল ন্যারোগেজ রেলপথ ছিল রূপসা-বাগেরহাট সেকশনে। এছাড়া এটি ছিল দেশের একমাত্র বিচ্ছিন্ন রেলপথ। অর্থাৎ দেশের মূল রেল নেটওয়ার্কের সাথে এর কোনো সংযোগ ছিল না। ১৯১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। একটি ব্রাঞ্চ লাইন কোম্পানি রেলপথটি নির্মাণ করে। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৮ সালে এবং সেবছরই ১০ জুন থেকে ট্রেন চলতে শুরু করে। খুলনা শহরের ওপারে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত এই রেলপথের দূরত্ব ছিল ৩২ কিলোমিটার। ১৯৬৯ সালে এই লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হয়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার লোকসানের কারণ দেখিয়ে রেলপথটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার পর ২০১২ সালে সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে এই সেকশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই রেলপথের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

স্টেশনসমূহ

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্য উৎস

সম্পাদনা
  1. "খুলনায় একের পর এক রেলের জমি বেদখল"somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৭ 
  2. Hughes, Hugh 1994 Indian Locomotives Pt. 3, Narrow Gauge 1863-1940. Continental Railway Circle.