খান বাহাদুর জিয়াউল হক
খান বাহাদুর মোহাম্মদ জিয়াউল হক (১৮৯৫-১৯৫৮) যিনি খান বাহাদুর মাওলানা জিয়াউল হক নামেও পরিচিত। শিক্ষাবিদ, কলকাতা মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ এবং ঢাকার মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন।[১][২][৩]
খান বাহাদুর মোহাম্মদ জিয়াউল হক | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৫ সালে মুহাম্মদপুর গ্রাম, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৫ এপ্রিল ১৯৫৮ ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) |
পেশা | শিক্ষাবিদ |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয়, পাকিস্তানি (বর্তমান বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয়, পাকিস্তানি |
শিক্ষা | এম.এ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য রচনা |
|
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ‘খান বাহাদুর’ উপাধি |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাখান বাহাদুর মাওলানা জিয়াউল হক ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মুহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আমানত আলী। ১৯১৩ সালে চাহারাম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পয়ে সরকারি টেলেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেন। ১৯১৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম নগরের মিউনিসিপাল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯২১ সালে বিএ পাস করেন। ১৯২৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবিতে এবং ১৯২৪ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন ফার্সিতে ।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাখান বাহাদুর মাওলানা জিয়াউল হক ১৯২৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ও ফার্সি বিভাগ খোলার পর তিনি ওই বিভাগের প্রথম অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯২৬ সালে তিনি ফেনী সরকারি কলেজ এবং ১৯২৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আরবি ও ফার্সির অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩০ সালে রাজশাহী মাদ্রাসা, ১৯৪১ সালে হুগলি ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং ১৯৪৩ সালে কলকাতা মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৪৭ সালে তার নেতৃত্বেই কলকাতা মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ভাগ হয় এবং মাদ্রাসাটি ঢাকার সাবেক ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) স্থানান্তর করা হয়। তার সময়ে মাদ্রাসায় ইলমে কেরাত ও তাজবিদ বিভাগের প্রবর্তন করা হয়। মোহাম্মদ জিয়াউল হক পূর্ব বাংলা সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার, বেঙ্গল মাদ্রাসা বোর্ডের সহ-সভাপতি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ও একাডেমিক কমিটির সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য, শিক্ষা সংক্রান্ত মওলা কমিটি ও খোদাবখস কমিটি এবং মুয়াজ্জম কমিটির সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৪ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ১৯৫৪ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাওলা ব্রাদার্স।[১][২]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৫ এপ্রিল ১৯৫৮ সালে ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
সম্পাদনা- হেদায়অতুন নাহু (আরবি ব্যাকরণ গ্রন্থ)
- রহিতরিকাল প্রসাদ
- আল-মুকতাতফ
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ বেলাল মোহাম্মদ (২০১২)। "হক, খান বাহাদুর মোহাম্মদ জিয়াউল"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ক খ "ঢাকা আলিয়া মাদরাসা : ইতিহাস ও ঐতিহ্য"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সরকারি মাদরাসা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৯।