খলিফা বন্দর (আরবি: ميناء خليفة) হচ্ছে আবুধাবি বন্দরের ফ্ল্যাগশিপ, সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোকে স্থান করে দিতে গভীর জলের বন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি আবু ধাবির একটি রাষ্ট্রীয় প্রবেশদ্বার এবং আমিরাতের সব কন্টেইনার জাহাজ পরিচালনা করে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে জায়েদ বন্দর থেকে কন্টেইনার জাহাজ স্থানান্তর করা হয়েছিল।[১]

খলিফা বন্দর ميناء خليفة
অবস্থান
দেশআবু ধাবি আমিরাত
অবস্থানআবু ধাবি
স্থানাঙ্ক২৪°৫০′০০″ উত্তর ৫৪°৪০′০০″ পূর্ব / ২৪.৮৩৩৩৩° উত্তর ৫৪.৬৬৬৬৭° পূর্ব / 24.83333; 54.66667
বিস্তারিত
চালু২০১২
মালিকআবু ধাবি বন্দর
পোতাশ্রয়ের ধরনকন্টিনার, নাবিক, সাধারণ কার্গো, শুষ্ক এবং তরল ধারক, আরও/আরও এন্ড প্রোজেক্ট কার্গো
পরিসংখ্যান
বার্ষিক কন্টেইনারের আয়তন২০ কোটি ৫ লাখ টিইউ
ওয়েবসাইট
আবু ধাবি বন্দর [১]

খলিফা বন্দরটি বছরের একটি ধাপে ২০ কোটি ৫ লাখ টিইউ এবং ১০০ কোটি ২০ লাখ টন সাধারণ পণ্যসম্ভার ধারণ করতে পারে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ১ কোটি ৫০ লাখ টিইইউ এবং ৩৫ মিলিয়ন টন সাধারণ পণ্যসম্ভার ধারণ করার ক্ষমতা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।[২]

চালু সম্পাদনা

আবুধাবীর জায়েদ বন্দর থেকে কনটেইনার অপারেশন স্থানান্তরের তিন মাস পর আবুধাবি বন্দরের খলিফা বন্দরটিকে ১২ ডিসেম্বর ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।[৩]

অবস্থান সম্পাদনা

এই বন্দর দ্বীপটি, এই অঞ্চলের একমাত্র আধা-স্বয়ংক্রিয় কন্টেইনার টার্মিনালকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা ২.৭ বর্গ কিমি (১.০৫ বর্গ মাইল) এবং ৫ কিলোমিটারের (৩.১২ মাইল) মতো দূরে সাগরে অবস্থিত। এটি উত্তর ও দক্ষিণ উপকূলে একটি বাঁধ-দেয়া রাস্তা এবং একটি ১ কিমি দীর্ঘ সড়ক এবং ব্রিজের সাথে সংযুক্ত।

সেবা সম্পাদনা

বন্দরটির কন্টেইনার ভিড়ার জায়গায় বিশ্বের মোট ৯টি বৃহত্তম জাহাজ-থেকে-উপকূল ঘাটে নিয়ে যাওয়া ক্রেন, ৪২টি স্বয়ংক্রিয় স্ট্যাকিং ক্রেন এবং ২৩টি শাটল বাহক রয়েছে। উপকূলীয় বন্দর এলাকা, যা কিজাদের (খলিফা শিল্প এলাকা আবুধাবি) সঙ্গে বন্দরকে সংযোগ করেছে সেখান থেকে কাস্টমস, অভিবাসন, মালবাহী কন্টেইনার, পরিদর্শন, এবং নিরাপত্তা সুবিধা প্রদান করা হয়।[৪]

পুরোনো পদ্ধতির তুলনায় আধা-স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া কম ভিড় এবং দ্রুততর ঘূর্ণনশীল সময়ের মধ্যে বেশি কন্টেইনারের ক্ষমতা অনুমোদন করে থাকে। ইয়ার্ডের স্ট্যাকগুলির বর্ণনামূলক তালিকা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং পণ্য-বোঝাই ও খালাসের তথ্য এবং উন্নত জিপিএস ট্র্যাকিং তথ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধি করে কাস্টমস বিভাগেরর সাথে সম্পূর্ণরূপে একত্রিত করা হয়েছে।[৫]

বন্দরটির সফটওয়্যার এবং ওয়্যারলেস প্রযুক্তি বন্দরটিতে কন্টেইনারের সার্বিক স্থানান্তর খবর প্রদান করে। দ্রুতগতির সড়কের মাধ্যমে বন্দরটির আবু ধাবি এবং বাইরের সাথে সংযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে একটি রেল সংযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর ২০১৪ সালে আবু ধাবি টার্মিনাল ২ কোটি কন্টেইনার খলিফা বন্দরকে হস্তান্তর উদ্‌যাপন করে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে আবুধাবি বন্দরের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ আল জাবের ঘোষণা করেন যে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ২০১৩-তে খলিফা বন্দর ফুটবল দল আল আইন এফসির অফিসিয়াল শার্ট স্পনসর হবে।[৬]

২০১৩ সালে কনটেইনার পরিবহন ৯০৫,০০০ টিইইউ পৌঁছানোর পর খলিফা বন্দরের কন্টেইনার সংখ্যা ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ১০ কোটি ৩ লাখ টিইইউ পৌঁছতে পারে বলে আশা করা হয়, যা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Khalifa Port now fully operational", Emirates 24/7. 2012-12-09. Retrieved 2013-04-09
  2. "Profile of Abu Dhabi Ports"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. Opening of Khalifa Port marks UAE milestone ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে, The National, 13 December 2012
  4. "A major new port and industrial zone for the United Arab Emirates." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে, www.bechtel.com
  5. "Fresh thinking", www.portstrategy.com. 2013-04-08. Retrieved 2013-04-11
  6. "Khalifa Port sponsorship for Al Ain"। Gulf News। ২০১৩-০২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১৪ 
  7. "INTERVIEW-Abu Dhabi ports expect year-end spike in traffic as projects boom"। Reuters। ২০১৪-০৪-১৩। ২০১৪-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১৬