খন্দকার গোলাম মোস্তফা
খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল (৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩–৩ সেপ্টেম্বর ২০২০) বাংলাদেশের রংপুর জেলার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি রংপুর-১১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।[১][২]
খন্দকার গোলাম মোস্তফা | |
---|---|
রংপুর-১১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
দৈনিক দাবানলের সম্পাদক ও প্রকাশক | |
কাজের মেয়াদ ২৭ মে ১৯৮১ – ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ রংপুর |
মৃত্যু | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
সন্তান | দুই ছেলে, এক মেয়ে |
পিতামাতা | মোজাম্মেল হক খন্দকার (পিতা) মাজেদা বেগম (মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রংপুর সরকারি কলেজ কারমাইকেল কলেজ |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাখন্দকার গোলাম মোস্তফা ৩০সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুক ঝালাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত মোজাম্মেল হক খন্দকার ছিলেন চিকিৎসক ও মাতা মৃত মাজেদা বেগম গৃহিণী। কোনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর ১৯৬০ সালে কৈলাশরঞ্জণ স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।[৩]
তার বড় ছেলে খন্দকার মোস্তফা মোর্শেদ ব্যবসায়ী, ছোট ছেলে খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার সাংবাদিক, একমাত্র মেয়ে সোনিয়া মোস্তফা ২০ অক্টোবর ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন।[৩]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাখন্দকার গোলাম মোস্তফা স্কুল থেকেই সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬৫-১৯৬৬ মেয়াদে রংপুর সরকারি কলেজের জিএস নির্বাচিত হন তিনি। ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযোদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।[৩]
তিনি মুক্তিযুদ্ধ কালীন ভারতের সিতাই থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র "সাপ্তাহিক রণাঙ্গন " প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে রংপুর থেকে ১৯৮১ সালে দৈনিক দাবানল ও সাপ্তাহিক মহাকাল প্রকাশনা শুরু করেন। ছিলেন রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি।[৩][৪]
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন রংপুর-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা।[১]
মৃত্যু
সম্পাদনাখন্দকার গোলাম মোস্তফা ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রংপুরের মুন্সীপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।[৩][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ রংপুর ব্যুরো (৪ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "সাংবাদিকতায় উত্তরাঞ্চলের আলোকবর্তিকা বাটুল আর নেই"। দৈনিক যুগান্তর। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ রংপুর, স্টাফ রিপোর্টার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "দৈনিক দাবানল সম্পাদক ও সাবেক এমপি বাটুল আর নেই"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "রংপুর জেলা, পত্রপত্রিকা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ রংপুর অফিস (৪ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "রংপুরে সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন"। দৈনিক সমকাল। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।