খন্দকার আবদুল হাফিজ

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

খন্দকার আবদুল হাফিজ (১ মার্চ ১৯৩০–৫ সেপ্টেম্বর ২০০১) বাংলাদেশের নড়াইল জেলার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন যশোর-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][]

অ্যাডভোকেট
খন্দকার আবদুল হাফিজ
যশোর-১৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১ মার্চ ১৯৩০
নড়াইল জেলা
মৃত্যু৫ সেপ্টেম্বর ২০০১
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বি এল কলেজ

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

খন্দকার আবদুল হাফিজ ১ মার্চ ১৯৩০ সালে নড়াইলের সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত খন্দকার আব্দুল ওয়াদুদ ও মাতা মৃত সফুরা খাতুন। নড়াইলের মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর খুলনা ফুলতলা দামোদর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৫ সালে এন্ট্রান্স, খুলনা বিএল কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে এইচএসসি ও ১৯৫১ সালে স্নাতক পাশ করেন। এর পর ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।[]

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

খন্দকার আবদুল হাফিজ আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। ১৯৪৫ সালে স্কুল থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫১ সালে খুলনা বিএল কলেজের ভিপি, ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের জিএস ও ১৯৫৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

তিনি ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান-৭৩ আসন থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। স্বধীনতা যুদ্ধে তিনি নড়াইলের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ড্রাফটিং কমিটির সদস্য মনোনীত হন।[] ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[] ৪ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাকশালের নড়াইল মহকুমার গভর্নর মনোনীত হন তিনি। তিনি ১৯৮৫ সালে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

খন্দকার আবদুল হাফিজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. "নড়াইলের সাবেক গর্ভনরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"জাগো নিউজ। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট (১০ ডিসেম্বর ২০১৩)। "১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. উদিসা ইসলাম (১১ এপ্রিল ২০২০)। "সংবিধান প্রণয়নে ৩৫ সদস্যের কমিটি"বাংলা ট্রিবিউন। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০