খনিয়াদিঘি মসজিদ

খনিয়াদিঘি মসজিদ
খনিয়াদিঘি মসজিদ
অবস্থা	সক্রিয়
অবস্থান
অবস্থান	চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ
দেশ	বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক	২৪°৫০′২৩″ উত্তর ৮৮°০৮′৪৫″ পূর্ব / ২৪.৮৩৯৬৭২৯° উত্তর ৮৮.১৪৫৯১৫৬° পূর্ব
স্থাপত্য
ধরন	সুলতানি
স্থাপত্য শৈলী	সুলতানি
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ	৪
উপাদানসমূহ	ইট, টেরাকোটা ও টাইল

খনিয়াদিঘি মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। এটি আনুমানিক ১৫'দশ শতকে নির্মিত হয়েছিলো, যা গৌড়ের প্রাচীন কৃতিগুলোর অন্যতম মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দে কোন এক রাজবিবি মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি দেখতে প্রায় মালদার চামকাটি মসজিদের মত। এটি স্থানীয়ভাবে চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত।^[১]

ইতিহাস

১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ অবধি গৌড় ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী; এ সময়ই এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। এই মসজিদের পাশে বিশাল এক দিঘি রয়েছে যার নাম খনিয়া দিঘী নামে পরিচিত। কাছাকাছি আরেকটি মসজিদের নাম দারাসবাড়ি মসজিদ। মসজিদটি দীর্ঘকাল আগে পরিত্যাক্ত হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে এ মসজিদটি বিলীয়মান।^[২]

অবস্থান

এই মসজিদটি রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।^[৩] চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি.।

বিবরণ

ঐতিহাসিক খনিয়াদিঘি

এই মসজিদের আয়তন ৬২ × ৪২ ফুট। মূল গম্বুজটির নিচের ইমারত বর্গাকারে তৈরী, যার প্রতিটি বাহু ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। বড় কামরার সামনের দিকে (পূর্ব) একটি বারান্দা ছিল, যার অবশিষ্টাংশ বর্তমানে দেখা যায়। মসজিদটি ইটের তৈরী, এবং বাইরে দিক থেকে সুন্দর কারুকাজ করা।^[৪] বর্তমানে খঞ্জনদীঘির মসজিদটির একটি মাত্র গম্বুজ ও দেয়ালের কিছু অংশ টিকে আছে। কিন্তু এগুলোর অবস্থাও খুব জীর্ণ আকার ধারণ করেছে।

আরও দেখুন

চিত্রশালা

তথ্যসূত্র

↑ চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (পিডিএফ) (প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ)। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩: দেব'স পাবলিশিং। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ (২৬ মার্চ ২০১০)। "ছোট সোনা মসজিদ"। গৌড়বঙ্গ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর প্রাচীন নিদর্শন (দ্বিতীয় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় সাহিত্য পরিষদ। পৃষ্ঠা 112।
↑ "ইতিহাস-ঐতিহ্য-এর খঞ্জন দিঘির মসজিদ"। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
↑ "চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা"। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

বহিঃসংযোগ

[1] চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (পিডিএফ) (প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ)। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০৭৩: দেব'স পাবলিশিং। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[2] সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ (২৬ মার্চ ২০১০)। "ছোট সোনা মসজিদ"। গৌড়বঙ্গ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর প্রাচীন নিদর্শন (দ্বিতীয় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় সাহিত্য পরিষদ। পৃষ্ঠা 112।

[3] "ইতিহাস-ঐতিহ্য-এর খঞ্জন দিঘির মসজিদ"। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।

[পুরাকীর্তি-4] "চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা"। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

[১]

[২]

[৩]

[৪]