ক্রীতদাসের হাসি বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান রচিত উপন্যাস। ১৯৬১ সালে রচিত উপন্যাসটি প্রথম ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়।[] পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে সময় প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়।[]

ক্রীতদাসের হাসি
বইয়ের প্রচ্ছদ
সময় প্রকাশন সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকশওকত ওসমান
কাজের শিরোনামThe Laughter of a Slave
অনুবাদককবীর চৌধুরী
প্রকাশনার স্থানপূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ)
ভাষাবাংলা
ধরনউপন্যাস
প্রকাশনার তারিখ
১৯৬২
মিডিয়া ধরনছাপা (শক্তমলাট)
পুরস্কারআদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬)

১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন পাকিস্তানকে বর্বর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে আবদ্ধ করে। এ সময় সব ধরনের-বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল।[] তৎকালীন পাকিস্থানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের শাসন ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে এ উপন্যাস রচিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এ উপন্যাসের মূল চরিত্র তাতারী। গণতান্ত্রিক চেতনাকে ভয় পায় স্বৈরাচারী শাসক। এই চেতনাকে দমন করার জন্যই আবার নেমে আসে সামরিক শাসন তবুও লেখকের প্রতিবাদ স্তব্ধ থাকেনি। রূপকের মধ্য দিয়ে তীব্র হয়ে উঠেছে এই প্রতিবাদ। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’র তাতারী। খলিফা হারুনর রশীদ কোনো কিছুর বিনিময়েই তাতারীর হাসি শুনতে পান না। খলিফার নির্দেশে হাসার চেয়ে মৃত্যুকে শ্রেয় মনে করেছে তাতারী।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা : সৌমিত্র শেখর। পৃষ্ঠা ৫৩৫: সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০২০
  2. SAMAKAL। "ক্রীতদাসের হাসি"ক্রীতদাসের হাসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-২৯ 
  3. "দেবদাস চক্রবর্তী : মূর্ত জীবনের বিমূর্ত রূপকার"। ৩০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০০৯ 
  4. গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশে শিল্পসাহিত্যের ভূমিকা, সেলিনা হোসেন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]