কুলদীপ সিং ব্রার ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, ১৯৮৪ সালে তিনি উগ্রপন্থী শিখদের বিরুদ্ধে অপারেশন ব্লুস্টার নামক সামরিক অভিযানের সফল নেত্বত্ব দিয়েছিলেন মেজর-জেনারেল পদবীতে। কুলদীপ এই সামরিক অভিযানের পর হিংস্র জেনারেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।[৩][৪]

লেফটেন্যান্ট জেনারেল

কুলদীপ সিং ব্রার

পিভিএসএম, এভিএসএম, বীরচক্র
ডাকনামবুলবুল[১]
জন্ম১৯৩৪ (বয়স ৮৯–৯০)
পাঞ্জাব
আনুগত্য ভারত
সেবা/শাখাভারতীয় সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৫৪ - ১৯৮৭
পদমর্যাদালেফটেন্যান্ট জেনারেল
যুদ্ধ/সংগ্রামভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১
অপারেশন ব্লুস্টার
পুরস্কারপরম বিশিষ্ট সেবা পদক
অতি বিশিষ্ট সেবা পদক
বীরচক্র[২]

সৈনিক জীবন সম্পাদনা

কুলদীপ ১৯৫৪ সালে মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ চলাকালে তিনি একটি পদাতিক ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবীতে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকাতে কর্নেল কুলদীপের ব্যাটেলিয়নের সৈনিকেরা প্রথম ঢাকা প্রবেশ করেছিলো। বর্তমান বাংলাদেশের জামালপুর জেলাতে ১০ই ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখের রাতে ব্যাটেলিয়নের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের জন্য কুলদীপ অধিনায়ক হিসেবে বীরচক্র ম্যাডেল পেয়েছিলেন, তার ব্যাটেলিয়ন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩১তম বেলুচ রেজিমেন্টের সঙ্গে লড়াই করছিলো।

ব্লুস্টার সামরিক অভিযান সম্পাদনা

১৯৮৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতে জেগে ওঠা শিখ উগ্রপন্থী আন্দোলন দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান জেনারেল শ্রীনিবাস কুমার সিনহাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ব্যাপারে কিছু করার জন্য।[৫][৬][৭] জেনারেল শ্রীনিবাস ইতঃস্তত করলে ইন্দিরা গান্ধী নবম ডিভিশনের অধিনায়ক জেনারেল ব্রার এবং পশ্চিম সেনা কমান্ড প্রধান জেনারেল কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন শিখদের বিরুদ্ধে, জেনারেল রণজিৎ সিং দয়াল যিনি পশ্চিম সেনা কমান্ডের প্রধান স্টাফ কর্মকর্তা ছিলেন এই সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছিলেন ব্লুস্টার।[৭]

জেনারেল ব্রার তার নবম ডিভিশন নিয়ে অপারেশন মেটাল পরিচালনা করেছিলেন যেটার কাজ ছিলো স্বর্ণমন্দির থেকে সকল জঙ্গী (জঙ্গীনেতা ভিন্দ্রনওয়ালে সহ) গ্রেফতার করা। এছাড়াও অপারেশন শপ নামের আরেকটি সামরিক অভিযান দ্বারা পাঞ্জাব প্রদেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা সকল জঙ্গীদের উপর হামলা চালানো ছিলো জেনারেল ব্রারের দায়িত্ব। সামরিক অভিযানের ফলশ্রুতিতে শিখদের ৪৯৩ জঙ্গী নিহত হয় এবং ২৩৬ জন গ্রেফতার হয়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল হবার পর কুলদীপ পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন যেটার সদর-দপ্তর পশ্চিমবঙ্গে ছিলো।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. https://www.ndtv.com/video/shows/walk-the-talk/walk-the-talk-with-lt-gen-retd-ks-brar-249662
  2. "জেনারেল কে এস ব্রার"। রেডিফ ডট কম। ২০০৮-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৩ 
  3. Jean Alphonse Bernard (২০০১)। From Raj to the Republic: a political history of India, 1935-2000। Har Anand। পৃষ্ঠা 408। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ 
  4. "The Lt General K S Brar Chat"Rediff.com। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৬। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৩ 
  5. https://www.youtube.com/watch?v=xj5ro9o_1Cg, সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৫  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  6. "Where did General S.K. Sinha go wrong?(Article) | South Asia"newsagency.thecheers.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৫ 
  7. Sujan Dutta (৪ জুন ২০০৪)। "Masjid raid rekindles Operation Bluestar comparison"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-২৩