কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল

কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'কুমিল্লা ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুমিল্লার পুরাতন বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত।[১] এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২৬৭.৪৬ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।

কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের প্রবেশপথ।

প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পাদনা

এখানে একটি কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) রয়েছে যাতে রাসায়নিক এবং জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫,০০০ ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করা যায়।[২]

প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে মোট ২৩৯টি শিল্প প্লট রয়েছে, যার মধ্যে ৩৭টিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে (১৯টি বিদেশি, ৮টি যৌথ এবং ১০টি দেশীয় মালিকানাধীন) যাতে চীন, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হংকং, মরিশাস, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ওমান এবং বাংলাদেশের শিল্পোদ্যোক্তাগণ বিনিয়োগ করেছে; এবং ১৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।[২]

উৎপাদিত পণ্য সম্পাদনা

এখানে উৎপাদিত পণ্যের[২] মধ্যে রয়েছে:

  • তৈরি পোশাক
  • জুতা
  • ইয়ার্ণ
  • ফেব্রিক্স
  • টেক্সটাইল ডাইজ ও অক্সিলিয়ারিস
  • গার্মেন্ট সামগ্রী
  • সোফা কাভার
  • ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী
  • প্লাস্টিক পণ্য
  • মেডিসিন বক্স
  • আই প্যাচ
  • ক্যামেরা ব্যাগ
  • কম্পিউটার ব্যাগ
  • চুলের সামগ্রী ইত্যাদি।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • বেপজা - বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।