কুমারপাল পাল রাজবংশের ষোড়শতম রাজা। ১১৩০ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজবংশের পঞ্চদশতম রাজা রামপাল (১০৭৭-১১৩০ খ্রিষ্টাব্দ)-বার্ধক্যজনীত কারণে সিংহাসন ত্যাগ করেন। এরপর, তাঁর পুত্র কুমারপাল রাজত্ব লাভ করেন। উল্লেখ্য, রামপালের আরও দুই পুত্র রাজ্যপাল ও ভিত্যপালের কথা জানা যায়। কিন্তু তাদের কোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে রামচরিতে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।[১]

কুমারপাল
পাল সাম্রাজ্যের রাজা
পূর্বসূরিরামপাল
উত্তরসূরিতৃতীয় গোপাল
প্রাসাদপাল সাম্রাজ্য
ধর্মবৌদ্ধ

কুমারপালের রাজত্বকালে দক্ষিণবঙ্গে বিদ্রোহ হয়। এই বিদ্রোহ তিনি দমন করতে সক্ষম হন। এরপর কামরূপের তিমগাদেব বিদ্রোহ করে। কুমারপাল তাঁর প্রধাম অমাত্য বৈদ্যদেবকে এই বিদ্রোহ দমনের জন্য পাঠান। বৈদ্যদেব এই বিদ্রোহ দমন করে, কামরূপের রাজা হন। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া উঠতে থাকে। ফলে পাল সাম্রাজ্য ক্রমে ক্রমে দুর্বল হতে থাকে। এই সুযোগে কলিঙ্গের রাজা অনন্তবর্মণ চোড়গঙ্গ পাল-সাম্রাজ্য আক্রমণ করে এবং হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নেয়। অন্যদিকে গাহড়বাল-রাজ গোবিন্দচন্দ্র মগধ আক্রমণ করে পাটনা পর্যন্ত অগ্রসর হয়। এই অবস্থায় কুমারপাল ১১৪০ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র গোপাল।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলাদেশের ইতিহাস/রমেশচন্দ্র মজুমদার।
  2. ভারতের ইতিহাস । অতুলচন্দ্র রায়, প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়।