কুন্দনিকা কপাড়িয়া

ভারতীয় ঔপন্যাসিক

কুন্দনিকা কপাড়িয়া (জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯২৭ – মৃত্যু: ৩০ এপ্রিল ২০২০) ছিলেন একজন গুজরাতি ঔপন্যাসিক, গল্প লেখক এবং প্রাবন্ধিক।[১]

কুন্দনিকা কপাড়িয়া
জন্ম(১৯২৭-০১-১১)১১ জানুয়ারি ১৯২৭
লিম্বদি, গুজরাত, ভারত
(বর্তমানে গুজরাত, সুরেন্দ্রনগর)
মৃত্যু৩০ এপ্রিল ২০২০(2020-04-30) (বয়স ৯৩)
গুজরাত, ভারত
পেশা
  • ঔপন্যাসিক
  • গল্প লেখক
  • প্রাবন্ধিক
ভাষাগুজরাতি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
সঙ্গীমকরান্দ দেব (বি. ১৯৬৮; মৃ. ২০০৫)

জীবন সম্পাদনা

কুন্দনিকা কাপাডিয়া ১১ জানুয়ারী ১৯২৭ সালে লিম্বদিতে (বর্তমানে গুজরাতের সুরেন্দ্রনগর জেলায়) নরোত্তমদাস কাপাদিয়ার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা গোধরা থেকে সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৮ সালে তিনি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ভবনগরের শ্যামলদাস কলেজ থেকে ইতিহাস ও রাজনীতিতে বিএ পাস করেন। তিনি মুম্বাই স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে পুরো রাজনীতি বিষয়ে এমএতে ভর্তি হয়েছিলেন তবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি ১৯৬৮ সালে মুম্বাইয়ে গুজরাতি কবি মকরান্দ দেবকে বিয়ে করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি তাঁর সাথে ভলসাদের নিকটবর্তী ভঙ্কাল গ্রামের কাছে নন্দীগ্রাম আশ্রমের সহ-প্রতিষ্ঠা। তিনি তাঁর নন্দীগ্রাম ফেলো দ্বারা ইশামা নামে পরিচিত। তিনি ইয়াত্রিক (১৯৫৫–১৯৫৭) এবং নবনিত (১৯৬২–১৯৮০) সম্পাদনা করেছেন।[২][৩][৪][৫][৬][৭][৮]

কর্ম সম্পাদনা

তাঁর ছদ্মনাম হলো স্নেহধন। পারদ থাটা পহেলা (১৯৬৮) তাঁর প্রথম উপন্যাস, এরপর প্রকাশিত হয় অগ্নিপিপাসা (১৯৭২)। তিনি সাত পাগলা আকাশমা (আকাশে সাতটি পদক্ষেপ, ১৯৮৪) লিখেন যা তাঁর সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল এবং এটি তাঁর সেরা উপন্যাস হিসাবে বিবেচিত হয় যেখানে নারীবাদকে অন্বেষণ করা হয়েছে।[২][৩][৯][৭][১০][১১][১২]

তার প্রথম গল্প প্রেমনা আনসু যা জন্মভূমি পত্রিকা আয়োজিত আন্তর্জাতিক গল্প প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিল। এরপরে তিনি আরও গল্প লেখা শুরু করেন। প্রেমনা আনসু (১৯৫৪) তাঁর গল্প সংগ্রহ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর অন্যান্য গল্প সংগ্রহ হলো বধু নে বধু সুন্দর (১৯৬৮), কাগালনি হোদি (১৯৭৮), জাভা দাইশু তামানে (১৯৮৩) এবং মনুষ্য থাভু (১৯৯০)। তার গল্পে দর্শন, সংগীত এবং প্রকৃতিকে অন্বেষণ করে। তাঁর নির্বাচিত গল্পসমূহ কুন্দনিকা কপাড়িয়া নি শ্রেষ্ঠ বার্তাও (১৯৮৭) নামে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ধূমকেতু, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেক্সপিয়ার এবং ইবসন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।[২][৩][৯][৭]

দ্বার আনে দিওয়াল (১৯৮৭) এবং চন্দ্র তারা বৃক্ষ বাদল (১৯৮৮) তাঁর রচনা সংগ্রহ। আকরান্দ আনে আক্রোশ (১৯৯৩) তাঁর জীবনীসংক্রান্ত রচনা। তিনি পরম সমিপে (১৯৮২), জরুখে দিবা (২০০১) এবং গুলাল আনে গুঞ্জার সম্পাদনা করেছেন। পরম সমিপে তাঁর জনপ্রিয় প্রার্থনা সংগ্রহ।[২][৩][৯][৭]

তিনি লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডার এর লেখা বসন্ত আবসে (১৯৬২) নামে অনুবাদ করেছেন। তিনি মেরি এলেন চেজের এ গুডলি ফেলোশিপ কে দিলভার মৈত্রী (১৯৩৩) নামে এবং বাঙালি লেখক রানী চাঁদের ভ্রমণকাহিনী পূর্ণকুম্ভ (১৯৭৭) নামে অনুবাদ করেছেন। তাঁর অন্যান্য অনুবাদসমূহ হ'ল পুরুষার্থে পাগলে (১৯৬১), ফ্লোরেন্স স্কোভেল শিন এর দ্য গেম অফ লাইফ এন্ড হাউ টু প্লে অবলম্বনে জীবন এক খেল (১৯৮১), আইলিন ক্যাডি’র ওপেনিং দ্য ডোর উইথিন অবলম্বনে উগাদত দ্বার অনন্ত এবং স্বামী রামের লিভিং উইথ হিমালয়ান মাস্টার্স অবলম্বনে সিদ্ধ যোগী[২][৩][৫][৭]

পুরস্কার সম্পাদনা

তিনি গুজরাতি সাহিত্য পরিষদ এবং গুজরাতি সাহিত্য আকাদেমির কাছ থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর চন্দ্র তারা বৃক্ষ বাদল গুজরাত সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেছে। তিনি ১৯৮৫ সালে সাত পাগলা আকাশমার জন্য গুজরাতি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।[২][৩][৭][১৩] তিনি ১৯৮৪ সালে ধনজি কাঞ্জি গান্ধী সুবর্ণা চন্দ্রক পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Gujarati author Kundanika Kapadia dies at 93"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৪-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১২ 
  2. Brahmabhatt, Prasad (২০১০)। અર્વાચીન ગુજરાતી સાહિત્યનો ઈતિહાસ - આધુનિક અને અનુઆધુનિક યુગ (History of Modern Gujarati Literature – Modern and Postmodern Era) (গুজরাটি ভাষায়)। Ahmedabad: Parshwa Publication। পৃষ্ঠা ২৫২–২৫৫। আইএসবিএন 978-93-5108-247-7 
  3. "કુન્દનિકા કાપડિયા (Kundanika Kapadia)"Gujarati Sahitya Parishad (গুজরাটি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২৮ 
  4. Tharu, Susie J.; Lalita, Ke (১৯৯১)। Women Writing in India: 600 B.C. to the early twentieth century (ইংরেজি ভাষায়)। Feminist Press at CUNY। পৃষ্ঠা ২৫৫আইএসবিএন 978-1-55861-029-3 
  5. "Nandigram : A center for Service and Sadhana"Nandigram। ২০১৮-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২৮ 
  6. Kumar, Neelam (২০০২-০১-০১)। Our Favourite Indian Stories (ইংরেজি ভাষায়)। Jaico Publishing House। পৃষ্ঠা ১৬আইএসবিএন 978-81-7224-978-6 
  7. Kartik Chandra Dutt (১৯৯৯)। Who's who of Indian Writers, 1999: A-M। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা ৫৬৭। আইএসবিএন 978-81-260-0873-5 
  8. Miller, Jane Eldridge (২০০২)। Who's who in Contemporary Women's Writing (ইংরেজি ভাষায়)। Psychology Press। পৃষ্ঠা ১৬৫-৬৬আইএসবিএন 978-0-415-15981-4 
  9. Susie J. Tharu; Ke Lalita (১৯৯৩)। Women Writing in India: The twentieth century। Feminist Press at CUNY। পৃষ্ঠা ২৬৪–৫৬। আইএসবিএন 978-1-55861-029-3 
  10. Prasad, Amar Nath (২০০৪)। New Lights on Indian Women Novelists in English (ইংরেজি ভাষায়)। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা ২৫৭আইএসবিএন 978-81-7625-477-9 
  11. Lal, Mohan (১৯৯২)। Encyclopaedia of Indian Literature: Sasay to Zorgot (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা ৩৮৩০আইএসবিএন 978-81-260-1221-3 
  12. Dodiya, Jaydipsinh; Surendran, K. V. (১৯৯৯)। Indian Women Writers: Critical Perspectives (ইংরেজি ভাষায়)। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা ১৭১–৭৫আইএসবিএন 978-81-7625-072-6 
  13. "Sahitya Akademi Awards"Sahitya Akademi (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা