কাসিমিয়ে মাদ্রাসা

কাসিমিয়ে মাদ্রাসা বা কাসিম পাশার মাদ্রাসা তুরস্কের ইল প্রদেশের মার্দিন শহরে অবস্থিত একটি পুরাতন মাদ্রাসা (তুর্কি: medrese)।

কাসিমিয়ে মাদ্রাসা
কাসিমিয়ে মাদ্রাসার প্রবেশপথ
কাসিমিয়ে মাদ্রাসার প্রবেশপথ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলামার্ডিন
প্রদেশইল
অবস্থান
দেশতুরস্ক
কাসিমিয়ে মাদ্রাসা তুরস্ক-এ অবস্থিত
কাসিমিয়ে মাদ্রাসা
তুরস্কে মাদ্রাসার অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৭°১৮′২৯″ উত্তর ৪০°৪৩′১২″ পূর্ব / ৩৭.৩০৮০৬° উত্তর ৪০.৭২০০০° পূর্ব / 37.30806; 40.72000
স্থাপত্য
স্থপতিইসমাইল আল-জাযারি
প্রতিষ্ঠাতাএসা বে
সম্পূর্ণ হয়১৪৬৯
উচ্চতা (সর্বোচ্চ)৯৭৫ মিটার (৩,১৯৯ ফু)
কাসিমিয়ে মাদ্রাসার হাতির ঘড়ি

অবস্থান সম্পাদনা

মাদ্রাসাটি পুরানো মর্দিন শহরের কেন্দ্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।[১] মাদ্রাসাটির উচ্চতা প্রায় ৯৭৫ মিটার (৩,১৯৯ ফু)।

ইতিহাস সম্পাদনা

আরাতুকিদ রাজবংশের আনাতোলীয় বেয়লিক এসা বে মাদ্রাসাটির প্রথম পৃষ্ঠপোষক। তবে ভবনটি পুরোপুরি নির্মাণের আগে ১৪০৭ সালে তিনি কারাকয়ুনলুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হন। শহরটি আক্কুয়েনলু তুর্কমেনীদের অধীনে আসার পর পুনরায় ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। আক্কুয়েনলু সুলতান মুইজ-আল-দীনের পুত্র কাসেম ভবনের নির্মাণকাজটি শেষ করে।[২] এটি ১৪৬৯ সালে উদ্বোধন করা হয়।

১৯২৪ সালে তুরস্কের সমস্ত মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় জীবনের উপর একটি সাধারণ আক্রমণ এবং সমাজকে অধর্মীয় করার একটি সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভবন সম্পাদনা

মূল ভবনটি আয়তক্ষেত্রাকার। অলঙ্কৃত প্রবেশ পথটি দক্ষিণ দিক অবস্থিত। উঠোনে একটি জলাশয় আছে। জলাশয়ের জল সরু চেরা দিয়ে প্রবাহিত হয় যা মৃত্যু এবং পুল সিরাতের প্রতিনিধিত্ব করে (ইসলামী বিশ্বাসে জাহান্নামের উপর একটি সরু পথ যা স্বর্গের দিকে নিয়ে যায়)। শ্রেণিকক্ষগুলি জলাশয়টিকে ঘিরে অবস্থিত। শ্রেণিকক্ষের দরজার উচ্চতা ইচ্ছাকৃতভাবে কম রাখা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশের সাথে সাথে তাদের শিক্ষকদের সামনে শ্রদ্ধার সাথে মাথা নত করে।

হাতির ঘড়ি সম্পাদনা

আইওয়ানের উত্তরে ইসমাইল আল-জাযারি নকশাকৃত একটি হাতির ঘড়ি রয়েছে।[৩] ইসমাইল আল-জাযারি আর্টুকলু বেইলিকের প্রাথমিক যুগের এক মুসলিম প্রকৌশলী।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "City map"। ২০১৯-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৬ 
  2. "Kasim Pasa Medresesi"Archnet। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০১ 
  3. "Mardin news by Dr. Salim Aydüz"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৬