কাশিয়ানী উপজেলা
কাশিয়ানী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন- ৩০০ ব:কি:মি:।
কাশিয়ানী | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে কাশিয়ানী উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′৫৪″ উত্তর ৮৯°৪২′৯″ পূর্ব / ২৩.২১৫০০° উত্তর ৮৯.৭০২৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | গোপালগঞ্জ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৯৯.৬৪ বর্গকিমি (১১৫.৬৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,০৭,৬১৫ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮১৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৫ ৪৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
কাশিয়ানী উপজেলা ৩০০১৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০১২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। কাশিয়ানী উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে মুকসুদপুর উপজেলা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙা উপজেলা। মধুমতি নদী ও চন্দনা-বারাশিয়া নদী ও বারাসাতের খাল কাশিয়ানীকে অন্য উপজেলা হতে পৃথক করেছে।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
কাশিয়ানী উপজেলায় মোট ১৪ ইউনিয়ন ও ১৫৩ টি মৌজা আছে।
ইউনিয়নসমূহ
ইতিহাসসম্পাদনা
এককালের একটি বিখ্যাত গ্রাম। এখন গোপালগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। কাশিয়ানী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ এই উপজেলার যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যম। মধুমতি নদী এবং বারাশিয়া নদীও এই উপজেলার মূখ্য নৌপথ। নওয়াব আলীবর্দি খাঁর আমলে এই গ্রামের জমিদার ছিলেন বাবু দর্পনারায়ণ সেন। নিজ গ্রামে তিনি স্থাপন করেছিলেন কাশীনাথ দেবের ৫টি মূর্তি সহ ৫টি সুদৃশ্য মন্দির। কাশীনাথ দেবের নামানুসারে দর্পনারায়ণ সেনের গ্রামটির নাম হয়ে যায় কাশিয়ানী। অন্যমতে শোনা যায় যে, এ অঞ্চলে পূর্বে প্রচুর কাশফুল হতো, এজন্য এ উপজেলার নাম হযেছে কাশিয়ানী। ভটিয়াপাড়া ও ফুকরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান, ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ী সমধিক পরিচিত তীর্থস্থান। ১৯০৮ সালে মুকসুদপুরকে ভেঙ্গে কাশিয়ানী একটি সতন্ত্র থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে কাশিয়ানী মানউন্নিত থানায় রম্নপান্তরিত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
জনসংখ্যা ২,২৮,৬৪৭ জন। ঘনত্ব- ৭৬২ জন (প্রতি ব:কি:মি:)৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা
এই উপজেলার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো:
- সরকারি এস কে কলেজ , রামদিয়া
- এম এ খালেক কলেজ, কাশিয়ানী
- জয়নগর ইয়ার আলি খান ডিগ্রী কলেজ, জয়নগর
- রাতইল আইডিয়াল কলেজ, রাতইল
- রাজপাট ডিগ্রী কলেজ, রাজপাট
- আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ
- গোয়ালগ্রাম কামিল মাদ্রাসা, গোয়ালগ্রাম
- পিংগলিয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
- ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি
- পিংগলিয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা
- জয়নগর এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা, জয়নগর বাজার
- বরইহাট সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা
- ডোমরাকান্দি নূরুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসা
- কাশিয়ানী জি সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিয়ানী
- সাজাইল গোপী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়, সাজাইল
- বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়
- ভাদুলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ভাদুলিয়া
- নায়েবুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, রাতইল
- নায়েবুনন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাতইল
- জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়, জয়নগর বাজার
- জয়নগর বালিকা বিদ্যালয়, জয়নগর বাজার
- ফুকরা মদনমোহন একাডেমী, ফুকরা
- এম. এ. খালেক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিয়ানী
- ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিয়াপাড়া
- তিলছড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় & কলেজ
নদনদীসম্পাদনা
কাশিয়ানী উপজেলায় তিনটি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে মধুমতি নদী,চন্দনা-বারাশিয়া নদী ও বাসারাতের খাল।[২][৩]
যোগাযোগসম্পাদনা
রেলপথসম্পাদনা
গোবরা-কাশিয়ানী একক ডিজেল রেলপথ এই উপজেলার মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
সড়কপথসম্পাদনা
ঢাকা - খুলনা মহাসড়ক এন৭-এর অংশ এন৮০৫ উপজেলার মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
জলপথসম্পাদনা
পশ্চিমভাগে অবস্থিত মধুমতি নদী-এ ওপর কালনা সেতু মধুমতি সেতু এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগ-এর সাথে যুক্ত।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- সিরাজুল হক খান - সাবেক স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব
- হরিচাঁদ ঠাকুর - মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক
- নরেন বিশ্বাস - লেখক, গবেষক, আবৃত্তি শিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা
- ফিরোজা বেগম - নজরুল সঙ্গীত শিল্পী
- এম এ খালেক - প্রাদেশিক পরিষদের এম এল এ/এম পি, শিল্পপতি
- কাজী হায়াৎ - পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা
- রকিবুল হাসান - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক
- জয়া আহসান - মডেল ও অভিনেত্রী
- শারফুদ্দিন আহমেদ - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
- উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনার।
- কাশিয়ানী গিরীশ চন্দ্র পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ী
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত স্থান ফুকরা (ফুকরার যুদ্ধ)
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত স্থান ভাটিয়াপাড়া (ভাটিয়াপাড়ার যুদ্ধ)
- মধুমতি সেতু (কালনা সেতু)।
- শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি
- জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ী
- চন্দ্রনাথ বসু-প্রতিষ্ঠাতা রামদিয়া
- চন্দ্রনাথ বসু সেবা আশ্রম
- পুরনো ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী আম গাছ
(হিরন্য কান্দি)শতবর্ষী আম গাছ
- ভাটিয়াপাড়া ফ্লাই ওভার।
- কুসুমদিয়া ফকির বাড়ি।
- ব্যাসপুর বাগের জামে মসজিদ।
বিবিধসম্পাদনা
- নির্বাচনী এলাকা- ২১৫ গোপালগঞ্জ- ১, ২১৬ গোপালগঞ্জ-২
- ইউনিয়ন - ১৪টি৷
- মৌজা-১৫৩ টি৷
- সরকারি কলেজ-১ টি।
- বেসরকারি কলেজ-6 টি।
- সরকারি টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ-১ টি।
- সরকারি প্যারামেডিকেল-১ টি।
- সরকারি হাসপাতাল- ১টি৷
- স্বাস্থ্যকেন্দ্র/ক্লিনিক- ০৯টি৷
- পোস্ট অফিস- ১৩টি৷
- নদ-নদী- ০৩টি৷
- হাটবাজার- ১৭টি৷
- ব্যাংক- ১৫টি৷
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কাশিয়ানী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |