কালনিরূপণবিদ্যা (ইংরেজি ভাষায়: Chronology) বলতে সময়কে ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে বিভিন্ন ঘটনা যে সমায়ানুক্রমে ঘটেছে সেভাবে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতিকে বোঝায়। মানব সভ্যতার বিভিন্ন ঘটনার কালনিরূপণ করার প্রক্রিয়া বর্ষপঞ্জির সাথে নিবিঢ়ভাবে সম্পর্কিত।

Joseph Scaliger-এর De emendatione temporum (১৫৮৩) এর মাধ্যমে আধুনিক কালনিরূপণবিদ্যার যাত্রা শুরু হয়েছে।[১]

বৈজ্ঞানিক কালনিরূপণবিদ্যা মহাবিশ্বের বিভিন্ন ঘটনা যে ক্রমে এবং যে সময়ে ঘটেছে তা আবিষ্কার করে পুরো ইতিহাসকে একটিমাত্র সময়ের স্কেলে সাজানোর চেষ্টা করে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাজাগতিক ঘটনাগুলোকে হাজার বা লক্ষ লক্ষ বছরের স্কেলে বিচার করা হয়, ভূতত্ত্ব এবং জীবাশ্মবিজ্ঞানে পৃথিবী এবং প্রাণের উদ্ভব ও বিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য কয়েক শত বা কয়েক হাজার বছরের স্কেল ব্যবহার করা হয়। ভূ-কালনিরূপণবিদ্যা একেবারে প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে এমনকি সভ্যতার ইতিহাস পর্যন্ত নেমে আসে, এটিও কয়েক হাজার বছরের স্কেলে কাজ করতে পারে। সব ধরনের কালনিরূপণবিদ্যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট স্কেল ব্যবহার করা হয় মানব সভ্যতার বিভিন্ন ঘটনা লিপিবদধ করতে।

প্রাচীন কালের মানুষরা যে ধরনের ঐতিহাসিক কালনিরূপণবিদ্যায় অভ্যস্ত ছিল তা আধুনিক কালের নিখুঁত গবেষণায় অনেক সময়ই ভুল বিবেচিত হয়। কারণ তাদের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেক সময় স্পষ্ট কিছু জানা যায় না এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের কালনিরূপণের পদ্ধতিটিই খুব ঘোলাটে। সেকালের সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে তাই অনেক সময়ই জীবাশ্ম এবং প্রত্নতত্ত্ব ব্যবহার করা হয়।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Richards, E. G. (১৯৯৮)। Mapping Time: The Calendar and History। Oxford: Oxford University Press। পৃষ্ঠা ১২–১৩। আইএসবিএন 0-19-286205-7  একের অধিক |লেখক= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. Chronology, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা