কার্টিস জে. হামফ্রেস

মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী
(কার্টিস জে হামফ্রেস থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কার্টিস জাডসন হামফ্রিজ (ইংরেজি: Curtis Judson Humphreys; ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ – ২২ নভেম্বর ১৯৮৬) ছিলেন একজন আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের অ্যালায়েন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন, এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। চল্লিশের দশকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর রেডিওমিতি শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হাইড্রোজেনের পারমাণবিক বর্ণালির হামফ্রিজ শ্রেণি আবিষ্কারের জন্য তিনি বিখ্যাত।[১]

কার্টিস জে. হামফ্রিজ
কার্টিস জে হামফ্রেস (বামে)
জন্ম(১৮৯৮-০২-১৭)১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮
মৃত্যু২২ নভেম্বর ১৯৮৬(1986-11-22) (বয়স ৮৮)
জাতীয়তাআমেরিকান
মাতৃশিক্ষায়তনমিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় পি.এইচডি. (১৯২৮)
পরিচিতির কারণহাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালির হামফ্রিজ শ্রেণি
পুরস্কারবিজ্ঞানে অবদানের জন্য নৌবাহিনী পুরস্কার
উইলিয়াম এফ. মেগার্স পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞানী
প্রতিষ্ঠানসমূহযুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী
ডক্টরাল উপদেষ্টাউইলিয়াম এফ. মেগার্স

জীবনবৃত্তান্ত সম্পাদনা

জিনেট্টা মে রাউম (Jeanetta Mae Raum) নামক এক মহিলার সাথে হামফ্রিজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির ঘরে রিচার্ড নামে এক পুত্র এবং জিন, ক্যাথেরিন ও জেমি নামে তিন কন্যার জন্ম হয়।

কার্টিস হামফ্রিজ বর্ণালিবীক্ষণ কর্মসূচির সাথে জড়িত ছিলেন, যার পরিসর ছিল এনবিএস এবং যুক্তরাষ্ট্র নৌ অধ্যাদেশ গবেষণাগার, করোনা, ক্যালিফোর্নিয়া। তার আবিষ্কারের কারণে রেডিওমিতি এবং বর্ণালিআলোকমিতি’র (spectrophotometry) কৌশলের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছিল। অবলোহিত বর্ণালির পারমাণবিক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব, করোনা গবেষণাগার কর্মসূচি’র বলে তিনি উল্লেখ করেন।

১৯৫৪ সালে, হামফ্রিজ পারমাণবিক বর্ণালিবীক্ষণ বিষয়ক রিডবার্গ শতবার্ষিকী সম্মেলন – এ অংশগ্রহণ করেন। এটি ছিল ঐ সময়ের সবচেয়ে বিশিষ্ট বর্ণালিবীক্ষণ–বিষয়ক ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানীদের এক অনন্য সমাবেশ, যার মধ্যে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী নিলস বোর–ও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

১৯২৮ সালে, মিশিগানে থাকাকালে তিনি উইলিয়াম এফ মেগার্স এর সাথে যোগাযোগ করতেন।

সম্মাননা ও পুরস্কার সম্পাদনা

(ক) তিনি বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নৌবাহিনী পুরস্কার লাভ করেন।

(খ) তিনি ১৯৭৩ সালে উইলিয়াম এফ মেগার্স বর্ণালিবীক্ষণ পুরস্কার-এ ভূষিত হন।[২]

(গ) ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত “World Who's Who in Science” (ওয়ার্ল্ড হু’জ হু ইন সায়েন্স) এর তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

কর্ম সম্পাদনা

হামফ্রিজ অগণিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ এবং বইয়ের রচয়িতা, যার মধ্যে ১৯৭৩ সালে পারডু বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিম লাফায়েত, ইন্ডিয়ানা তে থাকাকালে রচিত, ফার্স্ট স্পেক্‌ট্রা অফ নিয়ন, আর্গন, অ্যান্ড জেনন ১৩৬ ইন দ্য ১.২–৪.০ µm রিজিয়ন  অন্তর্ভুক্ত।

তার অন্যান্য কর্মের মধ্যে রয়েছে:

(ক) "The 29 and 30 electron-system spectra of arsenic and selenium" Curtis J Humphreys, ১৯২৮।

(খ) T.L. De Bruin, C.J.Humphreys, and W.F. Meggers, J. Res. NBS (U.S.) ১১, ৪০৯ (১৯৩৩)।

(গ) "Element Ne I" Meggers, W. F., and Humphreys, C. J. ১৯৩৩, J. Res. N. B. S. ১০, ৪২৭। [EA, 7724-18549, a UMT and RMTsource] C.J.Humphreys, J. Res. NBS (U.S.) ২২, ১৯ (১৯৩৯)। C.J.Humphreys, J. Opt. Soc. Am. ৪৩, ১০২৭ (১৯৫৩)।

(ঘ) "Humphreys Series" Humphreys, C.J., J. Research Natl. Bur. Standards ১৯৫৩, ৫০, ১।

(ঙ) "Interferometric measurement of wavelengths of infrared atomic emission lines in the extraphotographic region" Applied Optics, ১৯৬৩। Co-authored Rao, K. Narahari।

(চ) Curtis J. Humphreys; D.H. Rank, "Wavelength Standards in the Infrared", Academic Press, ১৯৬৬।

(ছ) Humphreys, C. J., & Paul, E. ১৯৭০, J. Opt. Soc. Am., ৬০, ১৩০২।

(জ) H.H. Li and C.J. Humphreys and J. Opt. Soc. Am. ৬৪ (১৯৭৪) ১০৭২।

(ঝ) C.J. Humphreys, Rep. Prog. Phys. ৪২ (১৯৭৯) ১২২।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Andrew, Kenneth L. (আগস্ট ১৯৮৭)। "Obituary: Curtis Judson Humphreys"Physics Today40 (8): 84–86। ডিওআই:10.1063/1.2820160বিবকোড:1987PhT....40h..84A। ২০১৩-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০১ 
  2. "William F. Meggers Award"। Optical Society। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা