কামরাঙা শিম
কামরাঙা শিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Psophocarpus tetragonolobus) বরবটি ও শিমের মতো লতা জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের লতা, ফুল, পাতা, ফল, শিকড় সব অংশই খাওয়া যায়। পশ্চিম আফ্রিকা কামরাঙা শিমের আদি স্থান।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭]
ধরন | তরকারি |
---|---|
অঞ্চল বা রাজ্য | আদি স্থান পশ্চিম আফ্রিকা। ভারত বাংলাদেশ সহ মিয়ানমার, মাদাগাসকার, পাপুয়া নিউগিনি, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া |
পরিবেশন | প্রধানত ভাত ও রুটির সাথে |
প্রধান উপকরণ | সবজি |
|
নামকরণ
সম্পাদনাফলের আকৃতি পাখা বা শিরা বিশিষ্ট কামরাঙা ফলের মতো দেখতে । এজন্য এই শিমের নামকরণ করা হয়েছে কামরাঙা শিম।[২]
পরিচিতি
সম্পাদনাবরবটি বা শিমের মতো লতা গাছ। এ শিম চওড়ায় ২-৩ সেন্টিমিটার ও লম্বায় বেশি ২০ সেন্টিমিটার হয়। ১০-১৫ ফুট লম্বা হয় একটা পূর্ণাঙ্গ শিম গাছ। প্রতিটি গাছে ৪০-৫০টা ফল ধরে। যখন শিম শক্ত হয় তখনই সবজি হিসেবে খাওয়া যায় না। শিমে বীজ আসলে মটরশুঁটির মতো খাওয়া যায়। ফল ধরা শুরু হলে ৩ মাস পর্যন্ত কামরাঙা শিম সবজি সংগ্রহ করা যায়।[৮][৯]
ইতিহাস
সম্পাদনাপশ্চিম আফ্রিকা হলো কামরাঙা শিমের আদি স্থান। কৃষি গবেষণা মতে এটি ভারত উপমহাদেশে প্রথমে চাষ শুরু হয়। কামরাঙা শিম আবাদ তুলনামূলকভাবে বেশি দক্ষিণ ও পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায়। এছাড়া পাপুয়া নিউগিনি, মিয়ানমার, মাদাগাস্কার, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বছর আগে থেকেই এ শিমের চাষ হতো। সমুদ্র স্তর থেকে ১৫০০-২৫০০ ফুট উচ্চতায় এ সবজি চাষের বেশি উপযোগী তাই পার্বত্য অঞ্চলে কামরাঙা শিমের চাষাবাদ বেশি। অতি আর্দ্রতা-উষ্ণ আবহাওয়া চাষের জন্য বেশি উপযোগী। কামরাঙা শিমের চাষে পানির প্রয়োজনীয়তা কম তাই শুকনা এলাকায় চাষের বেশি হয় এ শিম। জমিতে নাইট্রোজেন যোগ করে এ সবজির চাষ। [১০]
পুষ্টিগুণ
সম্পাদনাকামরাঙা শিমে প্রোটিন অনেক বেশি। বীজে সয়াবিনের মতো প্রোটিন থাকে (৩০-৩৯%)। আরও আছে মিনারেলস, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট। কার্বোহাইড্রেট ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে ও কোলেস্টেরল থাকে না। ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি এতে খুব বেশি। শিকড়েও প্রচুর প্রোটিন থাকে। টিউবার বা শিকড়ে প্রোটিনের উপস্থিতি প্রায় ২০%। অনেক হারবাল মেডিসিন উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কামরাঙা শিম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ‘ফডার’ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। লিগুমিনাস দলীয় ফসল হওয়ার কারণে জমির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।[১১][১২][১৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বারি কামরাঙা শিম | অন্যান্য | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫।
- ↑ ক খ "কামরাঙা শিম"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য। ১৫ জুলাই ২০১৯। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "বিচিত্র সবজির বিপুল সমারোহ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫।
- ↑ "শাকসবজি - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫।
- ↑ Khan, T. (১৯৮২)। Winged Bean Production in the Tropics। Food and Agriculture Organization of the United Nations। পৃষ্ঠা 1।
- ↑ Hymowitz, T; Boyd, J. (১৯৭৭)। "Ethnobotany and Agriculture Potential of the Winged Bean"। Economic Botany। 31 (2): 180–188। ডিওআই:10.1007/bf02866589।
- ↑ Council, National Research (১ জুন ২০০২)। Underexploited Tropical Plants with Promising Economic Value (ইংরেজি ভাষায়)। The Minerva Group, Inc.। আইএসবিএন 9780894991868।
- ↑ National Research Council (U.S.). (1975). Underexploited Tropical Plants with Promising Economic Value. 2nd Edition. U.S. National Academies.
- ↑ Yang, J., Tan, H. (মে ২০১১)। Winged Bean Milk। International Conference on New Technology of Agricultural Engineering, Zibo। পৃষ্ঠা 814–817। আইএসবিএন 978-1-4244-9574-0। ডিওআই:10.1109/ICAE.2011.5943916।
- ↑ Fagbenro, A. (1999). Comparative evaluation of heat-processed Winged bean Psophocarpus tetragonolobus meals as partial replacement for fish meal in diets for the African catfish Clarias gariepinus. Aquaculture 170 (1999), 297-305.
- ↑ National Research Council. The winged bean : a high-protein crop for the tropics : report of an ad hoc panel of the Advisory Committee on Technology Innovation. Board on Science and Technology for International Development, 1981
- ↑ National Research Council (U.S.), 1975
- ↑ Village Earth. (2011). Appropriate Technology: Sustainable Agriculture. Appropriate Technology Library. Chapter: Tropical Legumes. Retrieved from http://villageearth.org/pages/sourcebook/sustainable-agriculture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে