কান
কর্ণ বা কান প্রাণিদেহের শ্রবণ অঙ্গ, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে ভারসাম্যও রক্ষা করার কাজ করে। এটি মানবদেহের একটি অঙ্গ, যা মাথার দুই দিকে অবস্থিত। এর দ্বারা মানুষ শ্রবণ করে।[১] এর সাহায্যে আমরা বহিরাগত শব্দ শুনি, তাই এটি একটি শ্রবণেন্দ্রিয়। অনেক মানুষ কান নিয়ে অবহেলা করে, তা ঠিক নয়। কারণ কানকে অবহেলা করলে কানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। যা সবার জন্য ক্ষতিকর। তাই কানকে অবহেলা করা উচিত নয়।
কান | |
---|---|
মানবদেহের কান | |
বিস্তারিত | |
তন্ত্র | শ্রবণ ও ভারসাম্য |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | Auris |
মে-এসএইচ | D004423 |
নিউরোলেক্স আইডি | birnlex_1062 |
টিএ৯৮ | A01.1.00.005 A15.3.00.001 |
টিএ২ | 6861 |
এফএমএ | FMA:52780 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
গঠন সম্পাদনা
মানুষের কানের প্রধান তিনটি[২] অংশ হল-
বহিঃকর্ণ সম্পাদনা
কর্ণছত্র , কর্ণকুহর ও কর্ণপটহ দ্বারা গঠিত। এদের কাজ হল শব্দতরঙ্গকে বাইরের থেকে মধ্যকর্ণে প্রবাহিত করা...
মধ্যকর্ণ সম্পাদনা
মেলিয়াস, ইনকাস ও স্টেপিস নামে তিনটি অস্থি দ্বারা গঠিত।এদের কাজ হল শব্দতরঙ্গকে কর্ণপটহ থেকে অন্তকর্ণে প্রবাহিত করা। স্টেপিস মানবদেহের সর্বাপেক্ষা ছোট অস্থি। স্টেপিস ত্রিকোণাকার অস্থি।
অন্তঃকর্ণঃ সম্পাদনা
করোটির অডিটরি ক্যাপ্সুলের পেরিওটিক অস্থির অভ্যন্তরে অন্তঃকর্ণ অবস্থান করে। অন্তঃকর্ণের প্রধান অংশ হলো পাতলা পর্দা জাতীয় মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ নামক একটি জটিল অঙ্গ। এ অঙ্গটি এন্ডোলিম্ফ নামক তরল পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে। পেরিলিম্ফ নামক তরল পদার্থপূর্ন অস্থিময় ল্যাবিরিন্থ দ্বারা মেমব্রেনাস লেবিরিন্থ পরিবেষ্টিত থাকে। এন্ডোলিম্ফ ও পেরিলিম্ফ সম্পূর্নভাবে পৃথক থাকে।
মেমব্রেনাস ল্যাবিরিন্থ এর মূলদেহ ইউট্রিকুলাস ও স্যাকুলাস নামক দুটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত। ইউট্রিকুলাস আকারে বড় ও উপরে অবস্থান করে। স্যাকুলাস ছোট এবং নিচে অবস্থান করে। স্যাকুলোইউট্রিকুলার নামক একটি সংক্ষিপ্ত নালী দ্বারা দুটি প্রকোষ্ঠ পরস্পর সংযুক্ত থাকে । প্রতিটি প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে ম্যাকুলা নামের কতগুলো সংবেদি কোষ থাকে এবং এগুলো থেকে সংবেদী লোম বের হয়। লোমগুলো কানের পাথর বা অটোলিথ সমন্বিত জেলিতে ডুবে থাকে। এসব সংবেদি কোষ ও লোম মানুষের মাথার অবস্থান ঠিক রাখে।
ইউট্রিকুলাস বা ভেস্টিবিউলার অ্যাপারেটাস কানের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ। এটি একটি ভেস্টিবিউল বা গোলাকার প্রকোষ্ঠ এবং তিনটি অর্ধবৃত্তাকার নালী নিয়ে গঠিত। নালীগুলোর মধ্যে দুটি উলম্বিক এবং একটি আনুভূমিকভাবে অবস্থান করে। নালীগুলো পরস্পর সমকোণে অবস্থান করে। প্রতিটি নালীর একপ্রান্ত কিছুটা স্ফিত হয়ে অ্যাম্পুলা গঠন করে যার অভ্যন্তরে ক্রিস্টি নামের সংবেদি লোমবাহী কতগুলো কোষ থাকে। সংবেদী লোমগুলো চুনময় জেলীর মত অটোলিথ দ্বারা আবৃত থাকে।
কাজঃ এটি দেহের ভারসাম্য রক্ষায় প্রধান ভূমিকা রাখে।
ককলিয়া ও ভেস্টিবিউলার যন্ত্র দ্বারা নির্মিত।ককলিয়ার মধ্যেই শ্রুতি-যন্ত্র অবস্থিত।
কাজ সম্পাদনা
- শ্রবণ।
- দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ।
- দেহের প্রতিরক্ষা।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Ear"। Oxford Dictionary (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Standring, Susan (২০০৮)। Borley, Neil R., সম্পাদক। Gray's Anatomy: The Anatomical Basis of Clinical Practice (40 সংস্করণ)। Edinburgh: Churchill Livingstone/Elsevier। পৃষ্ঠা Chapter 36. "External and middle ear", 615–631। আইএসবিএন 978-0-443-06684-9। ১০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।