কল্যাণী দাস

রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী নারী।

কল্যাণী দাস (২৮ মে ১৯০৭ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।[]

কল্যাণী দাস
জন্ম২৮ মে ১৯০৭
কৃষ্ণনগর, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান ভারত ভারত)
মৃত্যু১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত)
ভারত
শিক্ষাকটকে র‍্যাভেশন কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতা থেকে এম.এ.
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
রাজনৈতিক দলযুগান্তর দল
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীনির্মলেন্দু ভট্টাচার্য
পিতা-মাতা

জন্ম ও পরিবার

সম্পাদনা

কল্যাণী দাস ১৯০৭ সালে কৃষ্ণনগরে এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পিতৃভূমি ছিল চট্টগ্রাম। তার পিতার নাম বেণী মাধব দাস ও মাতার নাম সরলা দাস। তার বোন বীণা দাসও সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন । পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। এছাড়া কল্যাণী দাসের ছিল মায়ের মতোই সংগঠনী ক্ষমতা। []

শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

কলকাতায় তিনি কটকে র‍্যাভেনশ্ কলেজিয়েট স্কুল পড়াশুনা করেছেন। ১৯২৮ সালে বি.এ. পাস করবার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ. পড়তে যান। ছাত্রাবস্থায় কলিকাতার স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের নিয়ে এই ‘ছাএীসংঘ' গঠিত হয়। এর সভানেত্রী ছিলেন সুরমা মিত্র ও সম্পাদিকা ছিলেন কল্যানী দাস।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

কল্যাণী দাসের পরিবার ছিল রাজনৈতিক পরিবার। অসহযোগ ও জাতীয় আন্দোলনের যোগ দেওয়ার কারণে তার মেজদাদা কারাবরণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিক মনস্ক হয়ে ওঠেন। সে সময় যুগান্তর দল এর কতিপয় সদস্যের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯৩০ সালে ডালহৌসির অত্যাচারের বিরুধে প্রতিবাদের জন্য আইন অমান্য করে আন্দোলন ছাত্রীদের যোগদানের জন্য নেতৃত্ব দেন। ১৯৩২ সালে 'আইন অমান্য আন্দোলন'এ অংশ নেন এবং গ্রেপ্তার হন। তিনি সমাজ সেবা ও বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি ছাত্রী সংঘের উদ্যোক্তা এবং ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতির জন্য কারাবরণ করেন। সহপাঠী হিসাবে ছিল কমলা দাশগুপ্ত[]

বৈবাহিক জীবন

সম্পাদনা

১৯৩৮ সালের মার্চ মাসে নির্মলেন্দু ভট্টাচার্যের সঙ্গে কল্যাণী দাসের বিবাহ হয়। বিয়ের পরও রাজনৈতিক কাজের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪০ সালে কল্যাণী ভট্টাচার্য বোম্বে চলে যান স্বামীর কর্মস্থলে। ১৯৪২ সালের ‘ভারত ছাড়' আন্দোলনে যোগদান করে তিনি বোম্বেতে তিন মাসের জন্য কারাবরণ করেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

১৯৩৮ সালে বিয়ের পরে তিনি নারী রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে 'মন্দিরা' নামে মুখপত্র প্রকাশ করেন। 'জীবন অধ্যায়' নামক আত্নচরিত প্রকাশ করেন। যেখানে নিজের নানা অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। কল্যাণী দাসের ১৯৮৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী (ঢাকা বইমেলা ২০০৪)। জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম,ঢাকা: ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ। পৃষ্ঠা ২২০। আইএসবিএন 984-8457-00-3  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  2. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১২৫-১৩০। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0