কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ

(কলন কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ (জার্মান: DITIB-Zentralmoschee Köln, তুর্কি: Merkez-Camii) কোলন শহরে অবস্থিত জার্মানির মুসলমানদের সংগঠন (ধর্ম বিষয়ক তুর্কি-ইসলামিক ইউনিয়ন) কর্তৃক নির্মাণাধীন বৃহৎ এবং প্রতিনিধিত্বশীল কেন্দ্রীয় মসজিদ।[১] কিছু বিরোধিতার পর, প্রকল্পটি কলন সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন লাভ করে।[২]

কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ
এপ্রিল ২০১৫ সালে কলন মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি (ইসলাম)
অবস্থান
অবস্থানএহ্রেনফেল্ড, কোলন
 জার্মানি
স্থানাঙ্ক৫০°৫৬′৪৪″ উত্তর ৬°৫৫′৪২″ পূর্ব / ৫০.৯৪৫৫৬° উত্তর ৬.৯২৮৩৩° পূর্ব / 50.94556; 6.92833
স্থাপত্য
স্থপতিপল বহম
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীআধুনিক
নির্মাণ ব্যয়ইউরো ১৭ - ২০ মিলিয়ন
ওয়েবসাইট
www.ditib.de/ (জার্মান)
এপ্রিল ২০১১ সালে মসজিদ নির্মাণের অবস্থা

মসজিদটির নকশা করা হয় উসমানীয় স্থাপত্যশৈলী অনুসারে, কাচের দেয়াল, ২টি মিনার এবং একটি গম্বুজ। এই মসজিদে কাটরা এবং সেই সাথে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মিথষ্ক্রিয়া রাখার প্রস্তাব করা হয়। মসজিদ হিসাবে এটি ইউরোপের বৃহত্তম মসজিদের একটি হবে, এটির আয়তন নিয়ে সমালোচিত হয়, বিশেষিত এটি মিনারের উচ্চতা নিয়ে।[৩]

নকশা সম্পাদনা

৪৮,০০০-বর্গফুট (৪,৫০০ মি) আয়তনের এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হবে £১৫–২০ মিলিয়ন,[৪] যাতে ২,০০০ থেকে ৪,০০০ মুসল্লির ব্যবস্থা থকবে।[৫][৬] প্রস্তাবিত এই মসজিদের অর্থ আসবে - ধর্ম বিষয়ক তুর্কি-ইসলামিক ইউনিয়ন, তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা,[৭] ব্যাংক ঋণ, এবং ৮৮৪টি মুসলিম সংস্থা থেকে অনুদান থেকে।[৬] কলনের সেন্ট থেডর ক্যাথলিক চার্চ এই মসজিদ নির্মাণে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। [৮] এই মসজিদের নকশাবিদ পল বহম,[৯] যিনি চার্চ নির্মাণে বিশেষজ্ঞ।[১০]

প্রস্তাবিত মসজিদটি হবে উসমানীয় স্থাপত্যশৈলী অনুসারে। এটিতে থাকবে কংক্রিটের এবং কাচের গম্বুজ, এবং ৫৫ মিটার উচ্চতার দুইটি মিনার। এই মসজিদের নিচ তলায় থাকবে প্রধান ফটক, বেসমেন্টে একটি বক্তৃতা হল, উপর তলায় নামাযের জায়গা এবং একটি ইসলামিক লাইব্রেরী। [৫] দুইটি ছাদকে সংযুক্ত করার জন্য কেন্দ্রে একটি কুপ স্থাপন করা হবে, যাতে আনন্দঘন আবহ তৈরি হয়। এই মসজিদে মাঝখানে গম্বুজ তৈরির জন্য সমতলের মত একটি দেয়ালের পর্দা থাকবে।[১]

এখানে আরও থাকবে কাচের দেয়াল, যেটি ডিআইটিআইবির মুখপাত্র আলবগার ভাষায় এটি দর্শনার্থীদের অসঙ্কোচ অনুভূতি দিবে।[১১] আর্কিটেক্টের মতে, রাস্তা থেকে স্বাগত সিঁড়ি মনের উদারতা আরও বৃদ্ধি করবে। [১০] উন্নয়নকারীরা মসজিদের ধর্মনিরপেক্ষ এলাকা (যেমন, রেঁস্তোরা, ইভেন্ট হল ও দোকান ইত্যাদি) সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখবে।[১০]

কলনের তৎকালীন মেয়র ফ্রিটজ স্রেম্মা কর্তৃক আদৃত ছোট মিনার তৈরির পরিকল্পনা আর্কিটেক্ট বাদ দিয়ে বলেন, খাটো মিনার ভবনের বাকি অংশ এবং পার্শ্ববর্তী কাঠামোর সঙ্গে অনুপাতে অসামঞ্জস্য হবে। উঁচু মিনার নির্মাণের বিরোধিতা চলতেই থাকবে।[৩]

বিতর্ক সম্পাদনা

এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে লেখক রালফ গিয়ারডানো,[৪] ডান পন্থী গ্রুপ, এবং নব্য নাৎসীবাদ গ্রুপ।[৪] তৎকালীন স্থানীয় জেলার ডেপুটি গভর্নর, জর্গ উকারমান, প্রকল্পের সমালোচনা করে বলেন "আমরা এহ্রেনফেল্ডে তুর্কি বসতি গড়তে চাই না। আমরা লন্ডনিস্তান সম্পর্কে জানি এবং এখানে সেটা চাই না।"[৪]

জার্মানপন্থী নাগরিক আন্দোলনের স্থানীয় কর্মী গ্রুপের কর্মী মারকাস অয়েনার,[১২] তার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কলন মসজিদ এই এলাকায় মুসলমান জনগোষ্ঠীর ক্ষমতা অত্যধিক বাড়াবে। [১৩]

২০০৭ সালের ১৬ জুন, অস্ট্রিয়ার ফ্রীডম পার্টি এবং বেলজিয়ামের ভ্লামস বেলাং এর প্রতিনিধিসহ কলনপন্থীদের আয়োজনে প্রায় ২০০ লোক মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে সমাবেশ করে।[৫][১৪] তৎকালীন জেলা ডেপুটি মেয়র উকারমান সমর্থন করে বলেন, তিনি মনে করেন অনেক অধিবাসী এখানে মসজিদ প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ তারা মনে করে কলন একটি "খৃস্টান শহর"।[১৫] বিশিষ্ট লেখক রালফ গিয়ারডানো এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে বলেন, এই মসজিদের মাধ্যমে আমাদের মাটিতে ইসলাম বিস্তার ঘটবে, যা "যুদ্ধের ঘোষণা"[১৩] এবং তিনি দেখতে চান না জার্মানির রাস্তায় মহিলারা মাথায় স্কার্ফ পরুক, যাদেরকে তিনি মানব পেঙ্গুইন হিসাবে তুলনা করেছেন। হেনরিক এম. ব্রডার, সাংবাদিক, গিয়ারডানোর উপমার বিরোধিতা করেন এবং বলেন "মসজিদ চার্চ বা ইহুদি ধর্মস্থান থেকে বেশি। এটি একটি রাজনৈতিক বক্তব্য।”[১৪] গিয়ারডানোর মন্তব্য একটি স্থানীয় সমস্যাকে জার্মানিতে ইসলামের স্থান নিয়ে জাতীয় বিতর্কে পরিণত করে।[১৪] এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জার্মানরাও এই প্রকল্পের সমালোচনা করেন। জেলা মেয়র উকারমান বলেন যে, গিয়ারডানোর মন্তব্য " দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে। পূর্বে যদি আপনি এই মসজিদের সমালোচনা করেন তাহলে আপনি নাৎসি ছিলেন। কিন্তু আমাদের মুসলমানদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা আছে। এটা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রশ্ন"[৪] উখারমান ২০০৮ সালে জেলা ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে হেরে গিয়ে এবং দল থেকে প্রথ্যাখাত হওয়ার কারণে রক্ষণশীল দল ছেড়ে দেন ডানপন্থী কলনদের জন্য।[১৬]

মার্লিস ব্রেদেহরস্টের একত্রী অনুষ্ঠানে শহরের কর্তারা বলেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, মুসলিমরা নামাযের জন্য একটি সন্মানজনক জায়গা পেয়েছে এবং আরও যোগ করেন, দুইশ বছর আগে, প্রোটেস্ট্যান্টদের ক্যাথলিক কলনে গোপনে প্রার্থনা করতে হত [...] যেটা আমরা এই সময়ে কল্পনা করতে পারি না।[৫] সিটি মেয়র ফ্রিটজ স্রেম্মা, যিনি এই প্রকল্পটি সমর্থন করেন, বলেন যে, "আমার জন্য, এটি স্বত: সিদ্ধ যে, মুসলিমদের উপাসনার জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় থাকা দরকার, কিন্তু এটি আমার কাছে খুব বিরক্তিকর, যখন এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করে কিন্তু একটি জার্মান ভাষার শব্দ ব্যয়ভার করে না। [১৪] খ্রিস্টান নেতারা একই ধরনের বিরোধিতা শুরু করেছে, ক্যাথলিক চার্চ বহুদিন ধরেই এই প্রকল্পকে সমর্থন করেছে, যদিও সাম্প্রতিক কলনের আর্চবিশপ জয়াসিম মেইস্নসের যথেষ্ট সতর্ক হয়েছেঃ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি মসজিদ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, তিনি বলেন " আমি বলতে চাই না, আমি উদ্বিগ্ন, কিন্তু আমার অস্বস্তিকর অনুভূতি আছে।”[১১] তিনি আরও দাবি করেন, তুর্কিদের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের আরও একই ধরনের অধিকার প্রদান করা উচিত। তিনি বলেন, মসজিদ কলনের দিগন্ত রেখা পরিবর্তন করবে।[৭] উলফগাং হুবার, জার্মানির শীর্ষ প্রোটেস্ট্যান্ট বিশপ,ইসলামের "পুরুষ আধিপত্যর" সমালোচনা করেন এবং বলেন মুসলমানদের প্রতিহিংসা এবং মৃত্যুদণ্ডের পর‍্যা না করে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করা উচিত।[৭]

জনমত দেখে মনে হচ্ছে "সতর্কভাবে সহায়ক, অধিকাংশ জনগণ বলছে, তারা এটার পক্ষে।[১১] স্থানীয় প্রত্রিকার জনমতে, ৫০০ কলনবাসির মধ্যে ৬৩% জনগণ এই প্রকল্পের পক্ষে এবং যাদের ২৭% চায় এটির আয়তন কমানো হোক। [১৪][১৭]

২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, কলনপন্থীদের একটি বিক্ষোভ পরিকল্পনা পুলিশ শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেয় জননিরাপত্তার স্বার্থে, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে। [১৮][১৯]

২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট, কলন সিটি পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে এই মসজিদ নির্মাণ অনুমোদন পায়। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (জার্মানি) ছাড়া সবাই এতে অংশ নেয়, ৩০ জনের একটি গ্রুপ অনুমোদনের বিপক্ষে বিক্ষোভ করে, যেখানে ১০০ জন মসজিদের পক্ষে বিক্ষোভ করে।[২]

কলন মসজিদ প্রকল্পের বিপরীতে কম বিতর্কিত হয়েছে ডুইসবার্গ প্রকল্প, জার্মানি থেকে: ডুইসবার্গে মসজিদের শুরু থেকেই রাজনীতিবিদ, চার্চ এবং স্থানীয় সমাজের মধ্যে সহযোগিতা এবং যোগাযোগের মধ্যমে নির্মিত হয়েছে।[১৩][২০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Böhm, Plul। "ZENTRALMOSCHEE KÖLN" (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (বাংলা অনুবাদ)
  2. Jenkner, Carolyn. "Go-Ahead for Germany's Biggest Mosque," Spiegel Online. August 29, 2008.
  3. "Plans to lower height of Cologne mosque dropped" (ইংরেজি ভাষায়)। expatica.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. Harry de Quetteville. "Huge mosque stirs protests in Cologne ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে". Telegraph, June 26, 2007. (ইংরেজি ভাষায়)
  5. Grieshaber, Kirsten.Tempers flare in German mosque dispute. Associated Press, July 4, 2007.
  6. Burke, Jason (জুলাই ১৫, ২০০৭)। "Mosque stirs racial passion in Germany"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। London। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১০ 
  7. Turks’ plans to build mosque in Germany divides religions ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে. Today's Zaman. Retrieved July 8, 2007 (ইংরেজি ভাষায়)
  8. "Catholic church collects money for mosque" (ইংরেজি ভাষায়)। Expatica। মার্চ ১৬, ২০০৭। ২০০৭-১২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০২ 
  9. "Mosque project stirs concerns about the integration of Islam in Germany" (ইংরেজি ভাষায়)। Detroit Free Press। আগস্ট ২২, ২০০৭। ২০০৭-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-১৬ 
  10. "Muslims Should Not Try to Hide" (ইংরেজি ভাষায়)। Qantara। অক্টোবর ৫, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০২ 
  11. Effort to build a large mosque rattles some in Cologne. International Herald Tribune
  12. Killguss, Hans-Peter; Peters, Jürgen; Häusler, Alexander (২০০৮)। "PRO KÖLN – Entstehung und Aktivitäten" (পিডিএফ)। Häusler, Alexander। Rechtspopulismus als "Bürgerbewegung": Kampagnen gegen Islam und Moscheebau und kommunale Gegenstrategien। Wiesbaden: VS Verlag für Sozialwissenschaften। পৃষ্ঠা 55–71, S. 55। আইএসবিএন 978-3-531-91119-9 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ].
    Häusler, Alexander (২০০৮)। "Politische Programmatik von PRO NRW" (পিডিএফ)। Häusler, Alexander। Rechtspopulismus als "Bürgerbewegung": Kampagnen gegen Islam und Moscheebau und kommunale Gegenstrategien (ইংরেজি ভাষায়)। Wiesbaden: VS Verlag für Sozialwissenschaften। পৃষ্ঠা 88–93, S. 90 [90]। আইএসবিএন 978-3-531-91119-9 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  13. Harris, Emily (অক্টোবর ১১, ২০০৭)। "Two Mosques, Two Different Reactions in Germany" (ইংরেজি ভাষায়)। National Public Radio। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০২ 
  14. Germans Split Over a Mosque and the Role of Islam. New York Times
  15. Mosque project stirs concerns about the integration of Islam in Germany[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]. Chicago Tribune. August 22, 2007.
  16. Schmalenberg, Detlef (২০ মে ২০০৮)। "Jörg Uckermann: Eine zweifelhafte Karriere" [Jörg Uckermann: একটি দ্বিধাগ্রস্ত কর্মজীবন]। www.ksta.de (জার্মান ভাষায়)। Kölner Stadt-Anzeiger। ৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১১ 
  17. Omniquest: Neubau einer Zentralmoschee in Ehrenfeld ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে (PDF), published Kölner Stadtanzeiger, Juni 19, 2007
  18. "Street clashes erupt in Germany" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC। ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-৩১ 
  19. "german citizens protest against anti-Islam congress in Cologne" (ইংরেজি ভাষায়)। Afp.google.com। সেপ্টে ২০, ২০০৮। ২০০৮-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-৩১ 
  20. "Constructing conflict" (ইংরেজি ভাষায়)। The Economist। আগস্ট ৩০, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা