কথাসাহিত্যে বৃহস্পতি গ্রহ

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে কথাসাহিত্যের বিষয়বস্তু হয়ে আসছে। গ্রহটির গঠনতন্ত্র সম্পর্কে মানুষ যত অবহিত হয়েছে কথাসাহিত্যে এই গ্রহের বর্ণনায় ততই বিবর্তন এসেছে; প্রথম দিকে দেখানো হত গ্রহটি সম্পূর্ণতই নিরেট, পরে দেখানো হয় এই গ্রহের উচ্চচাপ-বিশিষ্ট বায়ুমণ্ডলের নিচে রয়েছে একটি নিরেট ভূপৃষ্ঠ, শেষপর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ গ্যাসীয় গ্রহ হিসেবেই বর্ণিত হতে থাকে। কল্পবিজ্ঞানের পাল্প যুগে বৃহস্পতি ছিল এক জনপ্রিয় প্রেক্ষাপটএই গ্রহের জীবন কখনও মানুষ, কখনও মানুষের বৃহত্তর রূপান্তর, কখনও বা মনুষ্যেতর জীব হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে। মনুষ্যেতর জীবের ক্ষেত্রে কোনও কোনও রচনায় জীবনের আদিম অবস্থা, আবার কোনও কোনও রচনায় মানুষের তুলনায় উন্নততর অবস্থা দেখানো হয়েছে।

Refer to caption
বহু পাল্প কল্পবিজ্ঞান গল্পে বৃহস্পতিকে দেখা যায়। এই ছবিতে অ্যামেজিং স্টোরিজ পত্রিকার ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ সংখ্যার প্রচ্ছদ। এই সংখ্যায় "স্কেলিটন মেন অফ জুপিটার" প্রকাশিত হয়েছিল।

বহু সংখ্যক গল্পে বৃহস্পতির প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলিও উপস্থাপিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে প্রদর্শিত হয় চারটি গ্যালিলিয়ান উপগ্রহ (আইয়ো, ইউরোপা, গ্যানিমিডক্যালিস্টো)। সাধারণ বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে এই সকল জগতের পৃথিবীকরণ ও এখানে উপনিবেশ স্থাপন

বৃহস্পতি সম্পাদনা

আদি বিবরণ সম্পাদনা

 
আ জার্নি ইন আদার ওয়ার্ল্ডস গ্রন্থে বৃহস্পতির প্রাগৈতিহাসিক জীবন

বৃহস্পতি সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা বহুকাল যাবৎ পোষণ করা হয়েছে যে, এটি একটি শিলাময় গ্রহ এবং এখানে অবতরণ করা সম্ভব।[১][২] কথাসাহিত্যে বৃহস্পতির উপস্থিতি অন্ততপক্ষে ভলতেয়ারের মাইক্রোমেগাস (১৭৫২) উপন্যাস থেকে। এই উপন্যাসে দেখা যায় সিরিয়াসের এক ভিনগ্রহী এবং শনির আরেক ভিনগ্রহী বৃহস্পতির উপগ্রহগুলির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গ্রহটিতে অবতরণ করছে।[২][৩] ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যেই লেখকেরা সাধারণভাবে বৃহস্পতিকে শুধুমাত্র একটি নিরেট গ্রহ হিসেবে কল্পনা করতেই শুরু করলেন না, বরং সেখানে এক পৃথিবী-সদৃশ জগতেরও ধারণা করে নিয়ে সেই মতো গ্রহটিকে বর্ণনা করতে শুরু করলেন।[৪][৫][৬] ডব্লিউ. এস. ল্যাচ-জিরমা রচিত অ্যালেরিয়েল, অর আ ভয়েজ টু আদার ওয়ার্ল্ডস (১৮৮৬) উপন্যাসে দেখা যায়, বৃহস্পতি গ্রহটি একটি মহাসাগরের দ্বারা আবৃত এবং সেই মহাসাগরের বুকে জেগে থাকা কয়েকটি মাত্র দ্বীপে আদিম জলচর মানব-সদৃশ প্রাণী বাস করে।[৪][৭] চতুর্থ জন জেকব অ্যাস্টর রচিত আ জার্নি ইন আদার ওয়ার্ল্ডস (১৮৯৪) উপন্যাসে দেখা যায়, বৃহস্পতি প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীর মতো ডাইনোসরম্যাস্টোডন-জাতীয় প্রাণীতে আকীর্ণ এক গ্রহ।[৪][৬][৮][৯] বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের কয়েকটি ইউটোপীয় কথাসাহিত্যের প্রেক্ষাপটও বৃহস্পতি গ্রহ। এই জাতীয় উপন্যাসের মধ্যে জনৈক অজ্ঞাতনামা লেখকের টু জুপিটার ভায়া হেল (১৯০৮) ও এলা স্ক্রিমসরের দ্য পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড (১৯২২) উপন্যাস দু'টির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[৪][৬][১০] [১১]

বৃহস্পতিবাসী সম্পাদনা

অধিকাংশ লেখকই বৃহস্পতির অধিবাসীদের মানুষের আকারেই বর্ণনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে মেরি কোরেলির লেখা আ রোম্যান্স অফ টু ওয়ার্ল্ডস (১৮৮৬) এবং কর্নেলিয়াস শির মিস্টিক আইল্যান্ড; অর, দ্য টেল অফ আ হিডেন ট্রেজার (১৯০৫) উপন্যাসটির দু'টির নাম করা যায়।[১] ১৮৭৩ সালে জনৈক অজ্ঞাতনামা লেখকের আ ন্যারেটিভ অফ দ্য ট্রাভেলস অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চারস অফ পল আরমন্ট অ্যামং দ্য প্ল্যানেটস উপন্যাসে দেখা যায় বৃহস্পতির মানব অধিবাসীবৃন্দ বাতাসের চেয়ে ভারী বিমান ব্যবহার করছে।[৪][১২] কেউ কেউ আবার বৃহস্পতিবাসীদের দৈত্যাকার মানব হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অ্যালবার্ট ওয়াল্ডো হাওয়ার্ডের দ্য মিলটিলিয়নেয়ার (আনুমানিক ১৮৯৫) ও উইলিয়াম শুলার হ্যারিসের লাইফ ইন দ্য থাউজেন্ড ওয়ার্ল্ডস (১৯০৫) উপন্যাস দু'টির নাম এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।[১][১৩] ১৮৮৬ সালের ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস আ ফোর্টনাইট ইন হেভেন উপন্যাসে হ্যারোল্ড এ. ব্রিজেস দেখিয়েছেন যে, এক পৃথিবীবাসী বৃহস্পতি গ্রহে গিয়ে আমেরিকার এক ভবিষ্যকালীন রূপ আবিষ্কার করে এবং দেখতে পায় সেই গ্রহের অধিবাসীরা পৃথিবীবাসীদেরই দৈত্যাকার প্রতিমূর্তি।[৪][১৪] [১৫] অন্যরা অবশ্য ভিন্নভাবে এই গ্রহের অধিবাসীদের ছবি এঁকেছেন। যেমন ফ্রেড এইচ. ব্রাউনের ছোটোগল্প আ মেসেজ ফ্রম দ্য স্টারস-এ (১৮৯৩) দেখা যায় এই গ্রহের অধিবাসীরা সবাই মৃতের প্রেতাত্মা; আবার হোমার এওন ফ্লিন্টের ছোটোগল্প দ্য কিং অফ কনসার্ভ আইল্যান্ড-এ (১৯১৮) দেখা যায় বৃহস্পতিবাসীদের ডানা রয়েছে।[১][১৬][১৭]

পাল্প যুগ সম্পাদনা

বেশ কয়েকটি পাল্প কল্পবিজ্ঞান গল্পে বৃহস্পতির গ্রহ চিত্রিত হয়েছে। এগুলিরই অন্যতম হল এডগার রাইস বারোজের সর্বশেষ জন কার্টার গল্প "স্কেলিটন মেন অফ জুপিটার" (১৯৪৩)।[১][৪][৬] এডমন্ড হ্যামিলটনের ছোটোগল্প "আ কনকোয়েস্ট অফ টু ওয়ার্ল্ডস"-এ (১৯৩২) দেখা যায়, বৃহস্পতির এক শান্তিপূর্ণ সভ্যতায় মানুষের আক্রমণ এবং তারই ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবাসীদের পক্ষ নিয়ে জনৈক পৃথিবীবাসীর মানুষদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা।[৪][৬][১৮] [১৯] ফেস্টাস প্র্যাগনেলের দি এসেন্স অফ লাইফ (১৯৩৩) গল্পে দেখা যায়, বৃহস্পতি থেকে এক মানব-সদৃশ জীব এসে এক সমাজবিজ্ঞানীকে জানায় যে, তাদের কাছে এক ধরনের অমৃত রয়েছে যা তারা অন্যদের দিতেও প্রস্তুত; কিন্তু সেই সঙ্গে সে এও জানায় যে, অক্টোপাস-সদৃশ এক জীব তাদের শাসন করে এবং তাদের পোষ্য জীব হিসেবে রাখে।[১][২০][২১] বৃহস্পতির বৃহৎ লাল বিন্দুটিকে ফ্র্যাংক বেকন্যাপ লং-এর "রেড স্টর্ম অন জুপিটার" (১৯৩৬) গল্পে কল্পনা করা হয়েছে পরিবর্তনশীল কাঠিন্যের এক ভূমিখণ্ড হিসেবে, যেখানে তেজস্ক্রিয় পদার্থের খনি অবস্থিত। এয়ান্ডো বাইন্ডারের "লাউফ ডিজইনহেরিটেড" (১৯৩৭) গল্পে দেখা যায় এই বৃহৎ লাল বিন্দু সম্পূর্ণভাবেই বৃহস্পতি ত্যাগ করছে।[৪][২২]

বৃহস্পতির পৃষ্ঠতল সম্পাদনা

১৯৩০-এর দশকে বৃহস্পতির পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভালো ভাবে জ্ঞান অর্জন করার পর থেকে বেশ কিছু গল্পে এই গ্রহে এক উচ্চচাপ-বিশিষ্ট বায়ুমণ্ডলের তলায় কঠিন পৃষ্ঠভাগের কথা বর্ণিত হয়।[৪] কোনও কোনও লেখক লেখেন যে, এই গ্রহের প্রত্যাশিত উচ্চ পৃষ্ঠ অভিকর্ষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে স্থানীয় জীবেরা ক্ষুদ্র আকারবিশিষ্ট হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মিলটন এ. রথম্যানের "হেভি প্ল্যানেট" (১৯৩৯) গল্পটির নাম উল্লেখযোগ্য। আবার ই. ই. স্মিথের স্পেসহাউন্ডস অফ ইপিসি (১৯৩১) উপন্যাসে বৃহস্পতিবাসীদের অনেকগুলি পা দেখা যায়।[১] একইভাবে জেমুস ব্লিশ দ্য সিডলিং স্টারস-এ (১৯৫৭ সালে প্রকাশিত পূর্বপ্রকাশিত ছোটোগল্পের সংকলন) দেখিয়েছেন যে, বৃহস্পতি গ্রহে মানুষের টিকে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয়টি হল প্যানট্রোপি, অর্থাৎ ভিন্ন গ্রহের পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য মানুষের শারীরিক পরিবর্তন সাধন।[৫][২৩][২৪] ক্লিফোর্ড ডি. সিমাকের ছোটোগল্প "ডেসার্শন"-এ (১৯৪৪) দেখা যায়, এইভাবে রূপান্তরিত মানুষের কাছে বৃহস্পতিই বসবাসের যথাযোগ্য স্থান এবং তারা এই গ্রহ ছাড়তে অস্বীকার করে। উল্লেখ্য গল্পটি ১৯৫২ সালে ফিক্স-আপ উপন্যাস সিটি-র অন্তর্ভুক্ত হয়।[১][৫][৬] অন্যান্য লেখকেরা বিষয়টির সমাধান করেছেন এই বলে যে, বৃহস্পতির প্রত্যাশিত প্রতিকূল পরিবেশে একমাত্র রোবট ছাড়া আর কেউ যেতে পারে না। আইজ্যাক অ্যাসিমোভ "ভিক্ট্রি আনইন্টেনশনাল" (১৯৪২) গল্পে দেখিয়েছেন, এই ধরনের রোবটেরা এক বিরুদ্ধ মনোভাবাপন্ন ভিনগ্রহীদের মুখোমুখি হয় এবং সেই ভিনগ্রহীরা এই রোবটদের জীবন্ত প্রাণী ভেবে বসে। পল আন্ডারসনের ছোটোগল্প "কল মি জো"-এ (১৯৫৭) আবার দেখা যায়, দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত এক কৃত্রিম জীব বৃহস্পতির পৃষ্ঠভাগে অভিযান চালাচ্ছে।[১][৬][২৩]

বায়ুমণ্ডল সম্পাদনা

১৯৫০-এর দশকের শেষার্ধের মধ্যেই এই মত সর্বসাধারণ্যে গৃহীত হয় যে বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল সকল ব্যবহারিক দিক থেকেই তলশূন্য এবং সেই সময় থেকেই এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের নিচে একটি কঠিন পৃষ্ঠভাগের ধারণাটি পরিত্যক্ত হয়।[৪] আর্থার সি. ক্লার্কের ছোটোগল্প "আ মিটিং উইথ মেড্যুসা" (১৯৭১) প্রভৃতি সাহিত্যকর্মে দেখানো হয়েছে যে এই বায়ুমণ্ডলেই এই ধরনের ভিনগ্রহী জীবকুলের বাস।[১] টিমোথি জানের উপন্যাস মান্টা'জ গিফট-এ (২০০২) দেখা যায়, মানবজাতি বার্হস্পত্য বায়ুমণ্ডলে বুদ্ধিমান প্রাণীর সংস্পর্শে আসছে। আবার ইয়ান স্টুয়ার্টজ্যাক কোহেনের উপন্যাস হুইলার্স-এ (২০০০) দেখা যায়, বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে একাধিক ভাসমান শহর রয়েছে।[৫][২৫][২৬] বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে অভিযানও কথাসাহিত্যের একটি সাধারণ বিষয়। এই প্রসঙ্গে আরকেডি ও বরিস স্ট্রাগাৎস্কির ছোটোগল্প "দ্য ওয়ে টু অ্যামালথিয়া" (১৯৬০), বেন বোভার উপন্যাস অ্যাজ অন আ ডার্কলিং প্লেইন (১৯৭২) এবং গ্রেগরি বেনফোর্ডগর্ডন একলান্ডের উপন্যাস ইফ দ্য স্টারস আর গডস-এর (১৯৭৭) নামে উল্লেখযোগ্য।[৪][৬] বাড স্পারহকের ছোটোগল্প প্রিমরোজ অ্যান্ড থর্ন-এ (১৯৯৬) য়াবার বার্হস্পত্য বায়ুমণ্ডল পরিণত হয়েছে দৌড় প্রতিযোগিতার স্থানে।[৪]

আধুনিক চিত্রণ সম্পাদনা

১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ২০০১: আ স্পেস ওডিসি-তে বৃহস্পতি ছিল অভিযাত্রী দলের গন্তব্য; যদিও একই বছর প্রকাশিত আর্থার সি. ক্লার্কের যে উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয় তাতে গন্তব্যস্থল দেখানো হয়েছিল শনি গ্রহ[৫][৬] ক্লার্কের লেখা ১৯৮২ সালের সিক্যোয়েল উপন্যাস ২০১০: ওডিসি টু-এ দেখা যায় গ্রহটি একটি তারায় পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতির নক্ষত্রে পরিণত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে সাকয়ো কোমাৎসুর উপন্যাস সায়োনারা জুপিটার (১৯৮২) এবং সেই উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ বাই-বাই জুপিটার-এও (১৯৮৪)। এই ধারণাটি পরে অন্যান্য লেখকেরাও গ্রহণ করেন। এই প্রসঙ্গে চার্লস এল. হারনেসের উপন্যাস লুনার জাস্টিস (১৯৯১) এবং জন সি. রাইটের উপন্যাস দ্য গোল্ডেন এজ-এর (২০০২) নাম করা যায়।[৪][৫][৬] ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জুপিটার অ্যাসেন্ডিং নামক স্পেস অপেরাটির আংশিক প্রেক্ষাপট এই গ্রহ।[২৭][২৮]

প্রাকৃতিক উপগ্রহ সম্পাদনা

একবার যখন বোঝা যায় যে বৃহস্পতি আদতে একটি গ্যাসীয় গ্রহ, তখন থেকে সেটির প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলি মানুষ বা ভিনগ্রহী জীবন নিয়ে লেখা গল্পের প্রেক্ষাপট হিসেবে অধিকতর জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।[১] কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় সমগ্র উপগ্রহ-মণ্ডলীটিই সামগ্রিকভাবে আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জ্যাক ম্যাকডেভিটের ছোটোগল্প "প্রমিস টু কিপ"-এর (১৯৮৪) নাম করা যায়।[৪]

আইয়ো সম্পাদনা

স্ট্যানলি জি. ওয়েনবাউমের ছোটোগল্প "দ্য ম্যাড মুন"-এ (১৯৩৫) দেখা যায় আইয়োর জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শ্রেণির।[১][৬][২৯] ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আউটল্যান্ড-এ (১৯৫২ সালের ওয়েস্টার্ন হাই নুন-এর কল্পবিজ্ঞান রূপান্তর) দেখা যায়, এই উপগ্রহে খনিজ উত্তোলনের কাজ চলছে।[১][৫][৩০] মাইকেল সোয়ানউইকের ছোটোগল্প "দ্য ভেরি পালস অফ দ্য মেশিন"-এ (১৯৯৮) ইউরোপাকে চেতন সত্ত্বা হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে।[১][৪][৫] ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আইয়ো-তে দেখানো হয়েছে যে, দূষণের কারণে পৃথিবী প্রায় অবাসযোগ্য হয়ে পড়লে মানুষ গিয়ে এই উপগ্রহতে আশ্রয় গ্রহণ করে।[২৭][৩১]

ইউরোপা সম্পাদনা

স্ট্যানলি জি. ওয়েনবাউমের ছোটোগল্প "রিডেম্পশন কার্ন"-এ (১৯৩৬) দেখা যায়, ইউরোপায় একটি শ্বাসযোগ্য বায়ুমণ্ডল রয়েছে এবং এই উপগ্রহের যে অংশটি বৃহস্পতির দিকে জোয়ারের দ্বারা আবদ্ধ সেই দিকে স্থানীয় জীবমণ্ডলীও রয়েছে।[৬] চার্লস শেফিল্ডের উপন্যাস কোল্ড অ্যাজ আইস-এ (১৯৯২) দেখা যায়, ইউরোপার পৃথিবীকরণ করা হবে কি হবে না তা নিয়ে সংঘাত বেধেছে। [৫][৩২] ২০১৭ সালের ভিডিও গেম ডেস্টিনি ২-এ পৃথিবীকরণ ব্যতীত ইউরোপায় উপনিবেশ স্থাপন প্রদর্শিত হয়।[৩৩] বিজ্ঞানী যেহেতু অনুমান করেন যে, ইউরোপায় সম্ভবত জলপূর্ণ মহাসাগর রয়েছে এবং এটির বরফপৃষ্ঠের তলায় জীবনের অস্তিত্বও সম্ভব, তাই অনেক গল্প-উপন্যাসেই এই ধারণাটিকে গ্রহণ করা হয়। এগুলির মধ্যে পল জে. ম্যাকআউলির উপন্যাস দ্য কোয়াইট ওয়ার (২০০৮), ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ইউরোপা রিপোর্ট এবং মাইকেল ক্যারোলের উপন্যাস ইউরোপা'জ লস্ট এক্সপেডিশন: আ সায়েন্টিফিক নভেল-এর (২০১৬) নাম উল্লেখযোগ্য।[১][৬][৩৪]

গ্যানিমিড সম্পাদনা

জর্জ গ্রিফিথের আ হানিমুন ইন স্পেস (১৯০১) উপন্যাসে দেখা যায়, গ্যানিমিডে গম্বুজবিশিষ্ট অনেক শহর রয়েছে।[৪] রবার্ট এ. হেইনলেইনের লেখা ফার্মার ইন দ্য স্কাই (১৯৫০) উপন্যাসে এই উপগ্রহের পৃথিবীকরণ দেখানো হয়েছে।[১][৫] লেই ব্র্যাকেটের ছোটোগল্প "দ্য ড্যান্সিং গার্ল অফ গ্যানিমিড"-ও (১৯৫০) এই উপগ্রহের প্রেক্ষাপটে রচিত প্রথম যুগের একটি সাহিত্যকৃতি।[১][৬] গ্যানিমিডে উপনিবেশ স্থাপনের বিষয়টি অসংখ্য গল্প-উপন্যাসে উঠে এসেছে। এগুলির মধ্যে পল আন্ডারসনের উপন্যাস থ্রি ওয়ার্ল্ডস টু কনকার (১৯৬৪), গ্রেগরি বেনফোর্ডের উপন্যাস জুপিটার প্রোজেক্ট (১৯৭৫) এবং চার্লস এল. হারনেসের ছোটোগল্প "দ্য ফ্ল্যাগ ইন গর্বাচেভ ক্রেটার"-এর (১৯৯৭) নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[১][৪][৬]

ক্যালিস্টো সম্পাদনা

এরিক ফ্র্যাংক রাসেলের ছোটোগল্প "ইউ-টার্ন"-এ (১৯৫০) ক্যালিস্টোয় উপনিবেশ স্থাপন প্রদর্শিত হয়েছে।[৬] ১৯৭০-এর দশকে লিন কার্টারের ক্যালিস্টো ধারাবাহিকের সূত্রপাত ঘটে। এই ধারাবাহিকের প্রথম উপন্যাস জ্যান্ডার অফ ক্যালিস্টো (১৯৭২) এই উপগ্রহের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি গ্রহীয় রোম্যান্স। উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল এডগার রাইস বারোজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।[১][৬][৩৫]

অন্যান্য উপগ্রহ সম্পাদনা

আর্থার সি. ক্লার্ক রচিত ছোটোগল্প জুপিটার ফাইভ-এ (১৯৫৩) অ্যামালথিয়া হল একটি পরিত্যক্ত ভিনগ্রহী মহাকাশযান।[১] আইজ্যাক অ্যাসিমোভ রচিত উপন্যাস লাকি স্টার অ্যান্ড দ্য মুনস অফ জুপিটার-এর (১৯৫৭) প্রেক্ষাপট বৃহস্পতির আরেক অপ্রধান উপগ্রহ, যেটিকে বৃহস্পতি ৯ বা অ্যাড্রাস্টিয়া নামে অভিহিত করা হয়।[১][৩৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ওয়েস্টফাল, গ্যারি (২০২১-০৭-১৯)। "জুপিটার"সায়েন্স ফিকশন লিটারেচার থ্রু হিস্ট্রি: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। এবিসি-ক্লিও। পৃষ্ঠা ৩৭৯–৩৮১। আইএসবিএন 978-1-4408-6617-3 
  2. ওয়েস্টফাল, গ্যারি (২০২১-০৭-১৯)। "স্যাটার্ন"সায়েন্স ফিকশন লিটারেচার থ্রু হিস্ট্রি: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। এবিসি-ক্লিও। পৃষ্ঠা ৫৫৩–৫৫৫। আইএসবিএন 978-1-4408-6617-3 
  3. ক্যারোল, মাইকেল (২০১৪-১০-২৭)। "অধ্যায় ১: আর্লি আইডিয়াজ"লিভিং অ্যামং জায়েন্টস: এক্সপ্লোরিং অ্যান্ড সেটলিং দ্য আউটার সোলার সিস্টেম (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিংগার। পৃষ্ঠা ৬। আইএসবিএন 978-3-319-10674-8 
  4. স্টেবলফোর্ড, ব্রায়ান এম. (২০০৬)। "জুপিটার"সায়েন্স ফ্যাক্ট অ্যান্ড সায়েন্স ফিকশন: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস। পৃষ্ঠা ২৫৪–২৫৫। আইএসবিএন 978-0-415-97460-8 
  5. ম্যাককিনি, রিচার্ড এল. (২০০৫)। "জুপিটার অ্যান্ড দ্য আউটার প্ল্যানেটস"ওয়েস্টফাল, গ্যারি[[দ্য গ্রিনউড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন অ্যান্ড ফ্যান্টাসি: থিমস, ওয়ার্কস, অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স]] (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রিনউড পাবলিশিং গ্রুপ। পৃষ্ঠা ৪৪৮–৪৫০। আইএসবিএন 978-0-313-32951-7 
  6. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "জুপিটার"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  7. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "ল্যাচ-জিরমা, ডব্লিউ [ওয়াল্ডিস্লো] এস [সমারভিল] (১৮৪১–১৯১৫)"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৪১৬–৪১৮। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  8. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "অ্যাস্টর, জন জেকব"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  9. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "অ্যাস্টর, জন জেকব [চতুর্থ], (১৮৬৪–১৯১২)"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩–২৪। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  10. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "দ্য রেভ. জন স্মিথ ডায়েড—অ্যান্ড ওয়েন্ট টু জুপিটার ভায়া হেল"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬২০–৬২১। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  11. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "স্ক্রিমসর, এলা এম. (১৮৮৮–)"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬৬১–৬৬২। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  12. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "আরমন্ট, পল (অশনাক্তকৃত ছদ্মনাম)"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫–৬। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  13. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "হোভোরি, এম. অবার [অ্যালবার্ট ওয়াল্ডো হাওয়ার্ডের ছদ্মনাম]"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 373–374। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  14. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "ব্রিজেস, হ্যারোল্ড এ."[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৯–৯০। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
    • ডেসমন্ড, কেভিন (২০১৮-০৯-২০)। "ওয়ান: অরিজিনস"ইলেকট্রিক এরোপ্লেনস অ্যান্ড ড্রোনস: আ হিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 978-1-4766-6961-8 
    • ডেসমন্ড, কেভিন (২০১৮-১২-১৭)। "১: পাইয়োনিয়ারস"ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলস অ্যান্ড বাইসাইকেলস: আ হিস্ট্রি ইনক্লুডিং স্কুটারস, ট্রাইসাইকেলস, সেজওয়েজ অ্যান্ড মোনোসাইকেলস (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ১৩–১৪। আইএসবিএন 978-1-4766-7289-2 
  15. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "ব্রাউন, ফ্রেড. এইচ."[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৬–৮৭। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  16. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন (১৯৯০)। "ফ্লিন্ট, হোমার এওন (জন্মগত নামের বানান Flindt, ১৮৯২–১৯২৪)"[[সায়েন্স-ফিকশন, দি আর্লি ইয়ার্স: আ ফুল ডেসক্রিপশন অফ মোর দ্যান ৩,০০০ সায়েন্স-ফিকশন স্টোরিজ ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দি অ্যাপিয়ারেন্স অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ইন ১৯৩০: উইথ অথর, টাইটেল, অ্যান্ড মোটিফ ইনডেক্সেস]] (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৫২–২৫৩। আইএসবিএন 978-0-87338-416-2 
  17. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন; ব্লেইলার, রিচার্ড (১৯৯৮)। "হ্যামিলটন, এডমন্ড [মুর] (১৯০৪–১৯৭৭)"সায়েন্স-ফিকশন: দি গার্নসব্যাক ইয়ার্স: আ কমপ্লিট কভারেজ অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ... ফ্রম ১৯২৬ থ্রু ১৯৩৬ (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬৫। আইএসবিএন 978-0-87338-604-3 
  18. অ্যাশলি, মাইক (২০০৪)। "রোম্যান্টিসিজম ভার্সাস রিয়ালিজম"অ্যাশলি, মাইক; লনডেস, রবার্ট এ. ডব্লিউ.দ্য গার্নসব্যাক ডেজ: আ স্টাডি অফ দি ইভোলিউশন অফ মডার্ন সায়েন্স ফিকশন ফ্রম ১৯১১ টু ১৯৩৬ (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়াইল্ডসাইড প্রেস এলএলসি। পৃষ্ঠা ১৯৮–১৯৯। আইএসবিএন 978-0-8095-1055-9 
  19. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন; ব্লেইলার, রিচার্ড (১৯৯৮)। "প্র্যাগনেল, ফেস্টাস (১৯০৫–১৯৬৫)"সায়েন্স-ফিকশন: দি গার্নসব্যাক ইয়ার্স: আ কমপ্লিট কভারেজ অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ... ফ্রম ১৯২৬ থ্রু ১৯৩৬ (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩২৭–৩২৮। আইএসবিএন 978-0-87338-604-3 
  20. লনডেস, রবার্ট এ. ডব্লিউ. (২০০৪)। "দ্য ডার্ক ডেজ, ১৯৩৩"অ্যাশলি, মাইক; লনডেস, রবার্ট এ. ডব্লিউ.দ্য গার্নসব্যাক ডেজ: আ স্টাডি অফ দি ইভোলিউশন অফ মডার্ন সায়েন্স ফিকশন ফ্রম ১৯১১ টু ১৯৩৬ (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়াইল্ডসাইড প্রেস এলএলসি। পৃষ্ঠা ৩৫৩। আইএসবিএন 978-0-8095-1055-9 
  21. ব্লেইলার, এভারেট ফ্র্যাংকলিন; ব্লেইলার, রিচার্ড (১৯৯৮)। "লং, ফ্র্যাংক বেকন্যাপ, জুনিয়ার. (১৯০৩–১৯৯৪)"সায়েন্স-ফিকশন: দি গার্নসব্যাক ইয়ার্স: আ কমপ্লিট কভারেজ অফ দ্য জেনর্‌ ম্যাগাজিনস ... ফ্রম ১৯২৬ থ্রু ১৯৩৬ (ইংরেজি ভাষায়)। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৫৯–২৬০। আইএসবিএন 978-0-87338-604-3 
  22. ম্যাককিনি, রিচার্ড এল. (২০০৫)। "প্যানট্রোপি"ওয়েস্টফাল, গ্যারি[[দ্য গ্রিনউড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন অ্যান্ড ফ্যান্টাসি: থিমস, ওয়ার্কস, অ্যান্ড ওয়ান্ডারস]] (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রিনউড পাবলিশিং গ্রুপ। পৃষ্ঠা ৫৭৯–৫৮১। আইএসবিএন 978-0-313-32951-7 
  23. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "প্যানট্রোপি"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  24. ডি'অ্যামাসা, ডন (২০০৫)। "জ্যান, টিমোথি"এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ফ্যাক্টস অন ফাইল। পৃষ্ঠা ৪৩১–৪৩২। আইএসবিএন 978-0-8160-5924-9 
  25. "ফিকশন বুক রিভিউ: হুইলার্স"পাবলিশার্স উইকলি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০০-১০-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৭ 
  26. "জুপিটার ইন পপুলার কালচার"দি ইউনিভার্স: আ ট্রাভেল গাইড (ইংরেজি ভাষায়)। লোনলি প্ল্যানেট। ২০১৯-১০-০১। আইএসবিএন 978-1-78868-705-8 
  27. "জুপিটার"নাসা সোলার সিস্টেম এক্সপ্লোরেশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬ 
  28. ইভানস, আর্থার বি.; সিসেরি-রোনে, ইস্তভান; গর্ডন, জোয়ান; হলিংগার, ভেরোনিকা; লাথাম, রব; ম্যাকগার্ক, ক্যারোল, সম্পাদকগণ (২০১০)। "স্ট্যানলি জি. ওয়েনবাউম, "আ মার্শিয়ান ওডিসি" (1934)"দ্য ওয়েলেইয়ান অ্যান্থোলজি অফ সায়েন্স ফিকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়েসলেইয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৩৬। আইএসবিএন 978-0-8195-6955-4 
  29. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "আউটল্যান্ড"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  30. হর্টন, অ্যাড্রিয়ান (২০১৯-০১-১৮)। "আইয়ো রিভিউ – পোস্ট-ক্যাটাক্লিজমিক নেটফ্লিক্স অ্যাডভেঞ্চার এইমস হাই, ল্যান্ডস ইন মিডল"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬ 
  31. পেডারসন, জয় পি.; ফ্র্যাংকলিন, এইচ. ব্রুস; রেজিনাল্ড, রবার্ট (১৯৯৬)। সেন্ট জেমস গাইড টু সায়েন্স ফিকশন রাইটার্স (ইংরেজি ভাষায়)। সেন্ট জেমস প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৩৬। আইএসবিএন 978-1-55862-179-4Cold as Ice focuses on Europa, one of the moons of Jupiter, and on the struggle between those who with it made suitable for human habitation and those who wish it to remain pristine. 
  32. হ্যাডজামান, আলেকজান্ডার (২০২১-১২-০৯)। "হাও রিয়্যেলিস্টিক আর দ্য টেরাফর্মড প্ল্যানেটস অফ ডেস্টিনি ২?"স্পেস.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৭ 
  33. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "ইউরোপা রিপোর্ট"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  34. ক্লুট, জন; ল্যাংফোর্ড, ডেভিড; স্লেইট, গ্রাহাম (সম্পাদকগণ)। "কার্টার, লিন"দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ সায়েন্স ফিকশন (৪র্থ সংস্করণ)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  35. গেল, ফ্লয়েড সি. (সেপ্টেম্বর ১৯৫৮)। "গ্যালাক্সি'জ ৫ স্টার শেলফ"গ্যালাক্সি সায়েন্স ফিকশন। পৃষ্ঠা ১০৩।