কঞ্চে
কঞ্চে (অনুবাদ: বেড়া) হল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় তেলুগু যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনিকার ও পরিচালক ছিলেন কৃষ। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন বরুণ তেজ, প্রজ্ঞা জয়সওয়াল ও নিকিতিন ধীর। ফার্স্ট ফ্রেম এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেন ওয়াই. রাজীব রেড্ডি ও জে. সাই বাবু। কঞ্চে ছবির প্রধান উপজীব্য বিষয় হল দুই বন্ধু ধুপতি হরিবাবু ও ঈশ্বর প্রসাদের শত্রুতা। ১৯৩০-এর দশকের শেষ দিকে হরিবাবু ও ঈশ্বরের বোন সীতাদেবী মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একে অপরের প্রেমে পড়েন। তাদের গ্রামে প্রচলিত জাতপাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঈশ্বর তাদের সম্পর্কের বিরোধিতা করেন এবং দুর্ঘটনাচক্রে সীতাদেবীকে হত্যা করে বসেন। বেশ কয়েক বছর পর হরিবাবু ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসাবে যোগ দেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রেরিত হন। সেই সময় ঈশ্বরও ছিলেন সেই বাহিনীতে কর্নেলের পদে এবং হরিবাবুর কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে।
কঞ্চে | |
---|---|
পরিচালক | কৃষ |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | চিরন্তন ভট্ট |
চিত্রগ্রাহক | ঘন শেখর ভি. এস. |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৫ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তেলুগু |
নির্মাণব্যয় | ১৮ কোটি টাকা[২] |
আয় | ২০ কোটি টাকা[৩] |
বেদম (২০১০) ছবির চলচ্চিত্রায়নের সময় বিশাখাপত্তনমের এক সংগ্রহালয়ে সংরক্ষিত একটি বোমা দেখে কৃষ এই ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। উক্ত বোমাটি জাপান সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী কর্তৃক নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। কৃষ এই ছবিটিকে তার সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প মনে করতেন। সাড়ে নয় মাসে তিনি ছবির চিত্রনাট্য রচনার কাজ শেষ করেন। চিরন্তন ভট্ট এই ছবিতে সুরারোপ করেন। তেলুগু ছবিতে এটিই ছিল তার প্রথম কাজ। ঘন শেখর ভি. এস. ছিলেন ছবির আলোকচিত্র পরিচালক; সাহি সুরেশ ছিলেন শিল্প নির্দেশক এবং সাই মাধব বুররা ছবির সংলাপ রচনা করেন। ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদে ছবির প্রধান চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হয়। কঞ্চে তাতিপক, দ্রক্ষরামম, কপোতবরম ও পলকোল্লুর কাছে পেরুরু অগ্রহারমে চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল। অধিকাংশ সেটই তৈরি হয়েছিল হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে। যুদ্ধের দৃশ্যগুলি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল জর্জিয়াতে এবং জর্জিয়া মিলিটারি ইনস্টিটিউট নামে এক সামরিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় ছবির ইউনিটের জন্য ৭০০টি বন্দুক, চারটি ট্যাংক ও একটি মেশিনগানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রধান চিত্রগ্রহণের কাজ শেষ হয়। কঞ্চে ছবিটি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল ৫৫ দিনে, তার মধ্যে জর্জিয়াতে শুটিং হয় ৩৫ দিন।
তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-কেন্দ্রিক ছবি হিসেবে প্রচারিত কঞ্চে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী ৭০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করে। ১৮ কোটি টাকা নির্মাণব্যয়ে নির্মিত ছবিটি মোট লাভ করে ২০ কোটি টাকা এবং সেই বছরের চতুর্দশ সর্বাধিক বাণিজ্যসফল তেলুগু ছবি ঘোষিত হয়। কঞ্চে ৬৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ তেলুগু ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাজ্যের জাতীয় সংহতি বিষয়ক চলচ্চিত্রের জন্য সরোজিনী দেবী পুরস্কার অর্জন করে। অল লাইটস ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২০১৬ সংস্করণেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
কাহিনি-সারাংশ
সম্পাদনা১৯৩৬ সালে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির মাদ্রাজ কালচারাল ক্লাবে ধুপতি হরিবাবুর সঙ্গে রচকোন্ডা সীতাদেবীর আলাপ হয়। সেদিন ছিল সীতাদেবীর জন্মদিন। আলাপ করে দু’জনে জানতে পারেন যে তারা দু’জনেই মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সীতাদেবী ছিলেন রচকোন্ডা এস্টেটের রাজকুমারী; অন্যদিকে হরিবাবু ছিলেন নিম্নবর্ণীয় এবং স্থানীয় এক নাপিতের নাতি। হরিবাবু ও সীতাদেবী যখন স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, ততদিনে তাদের মধ্যে একটি প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। পরীক্ষার পর সীতাদেবী রওনা হন তার শহর দেবরকোন্ডার উদ্দেশ্যে। সীতাদেবীর দাদা ঈশ্বরের সঙ্গে হরিবাবুর আলাপ হয় এবং দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বও স্থাপিত হয়।
ঈশ্বর ও তার ঠাকুরদা পেডাবাবু হরিবাবুর সঙ্গে সীতাদেবীর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এই সম্পর্কের ফলে দুই জাতের মানুষদের মধ্যে দাঙ্গা বেঁধে যায়। দুই পক্ষেরই শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং দুই গোষ্ঠীকে চিরতরে পৃথক করে দেওয়ার জন্য একটি বেড়া (কঞ্চে) তুলে দেওয়া হয়। ঈশ্বর ও পেডাবাবু স্থির করলেন তাদের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে সীতাদেবীর বিয়ে দেবেন। সেই সময় হরিবাবু শহরে ফিরে আসেন এবং ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। সীতাদেবী নিজের শয়নকক্ষে গোপনে তার শুশ্রুষা করলেন এবং বিবাহের দিনে হতাশাগ্রস্থ হরিবাবু সীতাদেবীর ঠাকুরমার উপস্থিতিতে তাকে বিবাহ করে চলে গেলেন। সেই সন্ধ্যায় ঈশ্বর ও হরিবাবু দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সেই সংঘাতের মধ্যেই দুর্ঘটনাচক্রে সীতাদেবী নিহত হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ব্রিটিশ সরকার পঁচিশ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবক সৈন্য প্রেরিত হয়েছিল অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীনে যুদ্ধ করার জন্য। হরিবাবু ক্যাপ্টেন হিসেবে সেই বাহিনীতে যোগ দেন। এদিকে ঈশ্বর তখন বাহিনীর কর্নেল এবং হরিবাবুর কমান্ডিং অফিসার। ১৯৪৪ সালের মে মাসে ইতালীয় অভিযানে নাৎসিরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আক্রমণ ও বন্দী করে। হরিবাবু, তার বন্ধু দাসু ও অন্য তিন সৈন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তারা বন্দী বাহিনীকে রক্ষা করার ও নাৎসিদের পিছু নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারা এক ইতালীয় রুটি-প্রস্তুতকারকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই ব্যক্তির নাতনি তাদের নাৎসিদের হাত থেকে রক্ষা করেন। মেয়েটির কাছে থেকে তারা জানতে পারেন, নাৎসিরা জন্মসূত্রে ইহুদি এক জার্মান ডাক্তারের শিশুকন্যাকে হত্যা করতে চাইছে।
নাৎসিরা সেই ডাক্তার ও একদল সাধারণ নাগরিকের খোঁজ পেয়ে যায়। হরিবাবু নিজের দলবল নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে তারা একটি পুরনো বাড়িতে বন্দী বাহিনীটিকেও খুঁজে বের করেন এবং নাৎসিদের হাত থেকে তাদের উদ্ধারও করেন। ঈশ্বর হরিবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন, তাদের দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি তাকে রক্ষা করলেন। হরিবাবু উত্তর দেন, সীতাদেবী তার দাদাকে ভালোবাসতেন। সেই কথা চিন্তা করেই তিনি ঈশ্বরকে রক্ষা করতে বাধ্য হয়েছেন। অন্য নাগরিকদের সঙ্গে তারাও সেই স্থান ত্যাগ করেন এবং একটি নদীর কাছে তারা এক জার্মান ঘাটির সন্ধান পান। সেই ঘাটিটি তারা পালানোর জন্য ব্যবহার করেন।
হরিবাবু একটি পরিকল্পনা করেন। ঈশ্বর তখনও হরিবাবুকে অপছন্দ করতেন। তিনি বলেন, সেই পরিকল্পনায় কিছু গলদ রয়েছে। হরিবাবু তাকে মনে করিয়ে দেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটেছে জাতিবিদ্বেষ থেকেই এবং তাদের গ্রামে যে রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি এখানে ঘটুক তা তিনি চান না। সৈন্যরা সব ক’টি তাঁবুতে খানাতল্লাসি চালালো এবং একটি নৌকা খুঁজে বের করল। সেই নৌকায় চড়ে সাধারণ নাগরিক ও অন্যান্য সৈন্যেরা বেরিয়ে পড়ল। জার্মান বাহিনীর মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যতক্ষণ না নৌকাটি নিরাপদে পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ হরিবাবু একাই যুদ্ধ চালিয়ে গেলেন। যুদ্ধে গুরুতর আহত হলেন তিনি। তারপর সীতাদেবীর সঙ্গে তার জীবনের সুখস্মৃতির কথা চিন্তা করতে করতে মুখে একটি হাসি নিয়ে প্রাণত্যাগ করলেন।
হরিবাবুর মৃত্যু দেখে ঈশ্বর মানসিকভাবে আঘাত পান। তিনি হরিবাবুর দেহটি ফিরিয়ে আনেন তাদের গ্রামে। যুদ্ধের সময় সীতাদেবীকে সম্বোধন করে হরিবাবুর লেখা একটি চিঠিও তিনি পড়ে শোনান এবং অনুধাবন করেন মানুষকে জাতের নিরিখে ভাগ করে দেওয়া উচিত না। গ্রামে পৌঁছে তিনি হরিবাবুর ঠাকুরদাকে একটি কবর খনন করতে বলেন। ঈশ্বর বলেন, হরিবাবু ছিলেন এক মহৎ মানুষ, সৈন্য, প্রেমিক, পুত্র এবং সর্বোপরি এমন এক ভালো বন্ধু যাকে তিনি কোনদিনও চিনতে পারেননি। তিনি স্বীকার করেন যে, জাতপাতের সীমারেখা না থাকলে সীতাদেবীকে নিয়ে সুখে সংসার করতে পারতেন হরিবাবু। তিনি হরিবাবুকে কুর্নিশ জানান। পেডাবাবুর আদেশে বেড়াটি সরিয়ে দেওয়া হয় এবং মানুষ সুখে কালাতিপাত করতে থাকে।
কলাকুশলী
সম্পাদনা- বরুণ তেজ - ধুপতি হরিবাবু
- প্রজ্ঞা জয়সওয়াল - রচকোন্ডা সীতাদেবী
- নিকিতিন ধীর - ঈশ্বর প্রসাদ
- শ্রীনিবাস অবসরল - দাসু, ধুপতি হরিবাবুর বন্ধু
- গোল্লাপুডি মারুতি রাও - কোন্ডায়া, ধুপতি হরিবাবুর ঠাকুরদা
- সওকার জানকী - মহালক্ষ্মাম্মা, সীতাদেবীর ঠাকুরমা
- অনুপ পুরী - পেডাবাবু, সীতাদেবীর ঠাকুরদা
- রবি প্রকাশ - জনার্দন শাস্ত্রী
- সত্যম রাজেশ - মু্নিস্বামী
- পোসানি কৃষ্ণা মুরলী - এলামান্ডা
- সিঙ্গীতম শ্রীনিবাস রাও - মাদ্রাজ কালচারাল ক্লাবের পিয়ানো-বাদক (ক্যামিও উপস্থিতি)
নির্মাণ
সম্পাদনাক্রমবিকাশ
সম্পাদনাবিশাখাপত্তনমে বেদম (২০১০) ছবির চলচ্চিত্রায়নের সময় কৃষ একটি সংগ্রহালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরে জাপান সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া একটি বোমা রাখা ছিল। পার্ল হারবার আক্রমণের অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বোমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে আরও পড়াশোনা করে কৃষ জানতে পারেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পঁচিশ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় সৈনিক অংশ নিয়েছিলেন এবং ভারতের ব্রিটিশ সরকার পশ্চিম গোদাবরী জেলার মাধবরাম থেকে ২০০০ তেলুগুভাষীকেও যুদ্ধে প্রেরণ করে।[১] সাড়ে নয় মাস ধরে কৃষ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেন। ছবির জন্য বিস্তারিতভাবে যথাযথ তথ্য সংগ্রহকেই তিনি এই দেরির কারণ হিসেবে দর্শিয়েছিলেন। অধিকাংশ তথ্য কৃষ সংগ্রহ করেছিলেন গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। এই কাজের জন্য দু’টি দলও নিয়োগ করেছিলেন — একটি ভারতে ও অপরটি ইতালিতে।[১] তিনি ১৯৩০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে একটি প্রেমকাহিনি উপস্থাপনার সিদ্ধান্ত নেন এবং জাতি, দেশ, বর্ণ ও ধর্মের মধ্যে ছোটো ছোটো বিভাজনরেখাগুলির উপর আলোকপাত করেন।[১]
জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে গব্বর ইজ ব্যাক ছবির প্রযোজনার সময় কৃষ বরুণ তেজের সাথে কাজ করেন। কৃষের ব্যানার ফার্স্ট ফ্রেম এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে ঊষাকিরণ মুভিজের ব্যানারে কঞ্চে ছবিটি প্রযোজনা করার কথা ছিল রামোজি রাওয়ের।[৪] প্রজ্ঞা জয়সওয়াল গব্বর ইজ ব্যাক ছবির জন্য অডিশন দিয়েছিলেন। তিনিই কঞ্চে ছবির নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[৫] ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হায়দ্রাবাদে ছবির কাজ শুরু হয় এবং এটির নামকরণ করা হয় কঞ্চে।[৬] কঞ্চে শব্দটির বাংলা অর্থ বেড়া। কৃষের কথায়, ছবিটির বিষয়বস্তু হল বন্ধুত্বে একটি বেড়ার প্রভাব।[৭] ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৫তম বার্ষিকীতে কৃষ ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে বলেন যে, কঞ্চে হল তাঁর "সর্বাপেক্ষা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প" এবং এটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত প্রথম তেলুগু ছবি।[৮]
সাই মাধব বুররা ইতিপূর্বে কৃষ্ণং বন্দে জগদ্গুরুম্ (২০১৩) ছবিতে কৃষের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি এই ছবিতেও সংলাপ রচনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[৯] ভি. এস. ঘনশেখর ছবির আলোকচিত্র পরিচালক এবং সাহি সুরেশ ছবির শিল্প নির্দেশক হিসাবে নির্বাচিত হন।[১০] অল্প বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে সুরেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতেন না। তাই তিনি তিন-চার মাস যুদ্ধ-বিষয়ক পুরনো ছবি ও যুদ্ধের সম্পর্কে পড়াশোনা করেন।[১১] চিরন্তন ভট্ট এর আগে গব্বর ইজ ব্যাক ছবিতে কৃষের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি এই ছবিতেও সুরারোপের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। কঞ্চে ছবির মাধ্যমেই চিরন্তন তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।[১২] রাম কৃষ্ণ আররম ও সুরজ জগতপ ছবিটি সম্পাদনা করেন।[১৩] কঞ্চে ছবিটি প্রযোজিত হয় ১৮ কোটি টাকা।[২]
কলাকুশলী নির্বাচন
সম্পাদনাবরুণ তেজ ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ধুপতি হরিবাবুর চরিত্রে অভিনয় করেন। হরিবাবুর চরিত্রের প্রথম পর্যায়টিকে বরুণ তেজ বর্ণনা করেন এক তেইশ বছরের "কলেজ-উত্তীর্ণ, ভবিষ্যৎ ভাবনা-শূন্য, শান্তস্বভাবের" ছেলে হিসাবে। কাহিনির সময়গত প্রেক্ষাপটের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নিজের শব্দচয়নকে বদল করে নিতে হয় এবং পুরনো তেলুগু ছবির অভিনেতাদের সংলাপ বলার ধরনটি অনুসরণ করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য বরুণ তেজ সেনাবাহিনীর এক আধিকারিকের থেকে সৈন্যদের শারীরিক ভাষা, বন্দুক ধরা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। সেই সঙ্গে তিনি সেভিং প্রাইভেট রায়ান (১৯৮৮), দ্য থিন রেড লাইন (১৯৯৮), ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস (২০০৯) ও ফিউরি (২০১৪) ইত্যাদি ছবিগুলিও দেখেন।[১৪] ভারত ও জর্জিয়ার কর্মসূচির ফাঁকে এক সপ্তাহেরও কিছু বেশি সময়ের জন্য তিনি একটি বুট ক্যাম্পেও ট্রেনিং নেন। জর্জিয়ায় যুদ্ধের দৃশ্যগুলি শ্যুটিং-এর সময় বরুণ তেজের হাতে একটি আসল থমসন সাবমেশিন গান দেওয়া হয়েছিল। ১৯৩৯ সালে নির্মিত সেই অস্ত্রটি প্রকৃত যুদ্ধের সময়ও ব্যবহার করা হয়েছিল।[১৫]
রাজকুমারী সীতাদেবীর চরিত্রে অভিনয় করেন প্রজ্ঞা জয়সওয়াল। এই চরিত্রটি জয়পুরের মহারানি গায়ত্রী দেবীর চরিত্রের ছায়া অবলম্বনে সৃষ্ট।[১৬] চরিত্রটির জন্য অডিশন দেওয়ার পর প্রজ্ঞা কৃষের 'বেদম ও কৃষ্ণং বন্দে জগদ্গুরুম্ ছবি দু’টি দেখেন পরিচালকের কাজের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম ছবি "সত্যিই তাঁর হৃদয় স্পর্শ করেছিল"।[১৭] কৃষ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পুরনো তেলুগু ছবি না দেখে বরং পুরনো ইংরেজি ও হিন্দি ছবিগুলিকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতে। প্রজ্ঞা তাঁর চরিত্রটির কথা বলতে গিয়ে বলেন যে, চরিত্রটিতে "অভিনয়ের পরিবর্তে অভিব্যক্তির প্রকাশের উপর অধিকতর" গুরুত্ব আরোপের প্রয়োজন হয়েছিল। ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর তিনি কত্থক শিখতে শুরু করেন। তাঁর জন্য কোনও কর্মশালারও আয়োজন করা হয়নি।[১৬]
কর্নেল ঈশ্বর প্রসাদের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নিকিতিন ধীর।[১০] কারণ, কৃষ বরুণ তেজের ভাবনার অভিপ্রকাশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন এমন একজন অভিনেতাকে চাইছিলেন এবং চেন্নাই এক্সপ্রেস (২০১৩) ছবিতে নিকিতিনের অভিনয় দেখে তিনি আপ্লুত হয়েছিলেন।[১] শ্রীনিবাস অবসরল হরিবাবুর বন্ধু তথা অপর স্বেচ্ছাসেবী সৈনিক দাসুর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রটি তেলুগু কবি ও লেখক শ্রী শ্রীকে নিজের বন্ধু শ্রীনিবাস রাও হিসাবে উল্লেখ করে।[১০] অবসরলও হায়দ্রাবাদে বন্দুকের ব্যবহার শিক্ষা করেন এবং বরুণ তেজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর এক আধিকারিকের থেকে সৈনিকের শারীরিক ভাষা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[১৮]
হরিবাবুর ঠাকুরদা ও সীতাদেবীর ঠাকুরমার চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে গোল্লাপুডি মারুতি রাও ও সওকার জানকী।[১৯] মাদ্রাজ কালচারাল ক্লাবের (যেখানে হরিবাবু পার্ট-টাইমের কর্মচারী ছিলেন) পিয়ানো-বাদকের চরিত্রে চলচ্চিত্রকার সিঙ্গীতম শ্রীনিবাস রাওয়ের একটি ক্যামিও উপস্থিতি দেখা যায় এই ছবিতে। রাওয়ের ক্যামিওটিকে কৃষ একটি "বর্ণময়" উপস্থিতি হিসাবে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে তাঁর চেহারাটি কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেনের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল স্যান্ডার্সের চেহারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সৃষ্টি করা হয়েছিল।[২০] ছবির জন্য বাহিনী গঠন করতে সাতশো লোকের প্রযোজন পড়েছিল এবং স্থানীয় লোকজন ছাড়াও প্রায় একশো জন অনাবাসী ভারতীয়কে ছবির ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। ছবির সেটে নিয়ে যাওয়ার আগে তাঁদের সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।[১৮]
চলচ্চিত্রায়ন
সম্পাদনাযেখানে আমরা থাকতাম, সেটা ছিল একটি আসল সামরিক ক্যাম্পের মতো। সেখানে তাঁবু ছিল আর আমরা প্রায় সেগুলিতেই থাকতাম। জর্জিয়ায় ৯টা নাগাদ সূর্যাস্ত হয়। আমরা সকাল ৬টায় শ্যুটিং শুরু করতাম আর সূর্যাস্তের পরেই দিনের কাজ শেষ হত। গড়পরতা দিনে ৪০০-৫০০ জন লোক সেটে থাকত।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত জর্জিয়ায় ছবির শ্যুটিং প্রসঙ্গে বরুণ তেজের বিবরণ[১৫][২১]
হায়দ্রাবাদে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ছবির মূখ্য চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হয়।[২২] অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার রাজোলের কাছে তাতিপক গ্রামে ২৩ মার্চ দ্বিতীয় কর্মসূচির সূত্রপাত ঘটে।[২৩] দ্রক্ষরামম ও কপোতবরম ছাড়া ছবির গ্রাম্য দৃশ্যুগুলির চিত্র গৃহিত হয়েছিল পলকোল্লুর অগ্রহরমে। কারণ কৃষ অনুন্নত পরিকাঠামো ও প্রাসাদ সহ একটি সেকেলে জনবসতি চাইছিলেন, যেটির সঙ্গে প্রাক্-স্বাধীনতা যুগের জনবসতির মিল আছে। ছবির কর্মীরা তারপর ফুল ও ফলের বাজার বসান এবং পুরনো সস্তা জিনিসের একটি বাজার থেকে পুরনো শিল্পকর্ম কিনে আনেন।[১] ভালো রাস্তাঘাট বানিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে স্থানীয় লোকজনও ছবির নির্মাতাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।[১০] অন্যান্য গ্রামে যেখানে পরিকাঠামো অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল, সুরেশ ও তাঁর কর্মীরা গ্রামের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তার অধিকাংশ বালি ও কাদায় ঢেকে নেন। ছবির শ্যুটিং-এর জন্য বাড়িগুলিকে সাদা রং করে নেওয়া হয় এবং পরে সেগুলির পুরনো রং ফিরিয়ে দেওয়া হয়।[১১]
সেই সব গ্রামের বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল রিইনফোর্সড কনক্রিট দিয়ে। হায়দ্রাবাদ থেকে ৭০ জনের একটি দলকে ডাকা হয়েছিল ১৯৪০-এর দশকের শৈলীটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য। সুরেশের মতে, নারকেল গাছের উপস্থিতির জন্য "স্থানটিকে জীবন্ত মনে হচ্ছিল"।[১১] যে ট্রেনটিতে করে হরিবাবু ও সীতাদেবী মাদ্রাজ থেকে দেবরকোন্ডায় আসেন, সেটির বাষ্পীয় ইঞ্জিন ও প্রথম শ্রেণির কামরাগুলির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে। সুরেশ বেঙ্কটাদ্রি এক্সপ্রেস (২০১৩) ছবির শিল্প নির্দেশক হওয়ায় তাঁর সেই অভিজ্ঞতা এই ছবিতেও কাজে লাগান।[১১] সীতাদেবী যে প্রাসাদটিতে থাকতেন সেটি চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ৪ লক্ষ টাকায় নির্মিত হয়েছিল।[১১] যুদ্ধের দৃশ্যগুলি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল জর্জিয়াতে। ছবির নির্মাতারা ২০টি স্থানকে চূড়ান্ত করেন এবং সেখানেই ৩৫ দিনে যুদ্ধের দৃশ্যগুলির চিত্রগ্রহণ শেষ হয়।[১৮]
জর্জিয়া সরকারের সহযোগিতায় এক বিরাট সেট গড়ে তোলা হয়। সেই সেটের মধ্যেই বানানো হয়েছিল পরিখা ও বাঙ্কার সহ একটি জার্মান সামরিক ঘাটি।[১] শ্যুটিং-এর জন্য কৃষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত কয়েকটি টেলিগ্রাফ যন্ত্র, টাইপ রাইটার, কফির পেয়ালা ও পিরিচ ভাড়া করে আনেন।[১৮] সংঘাতের কয়েকটি দৃশ্যের শ্যুটিং হয় জর্জিয়ার কাছে অবস্থিত কয়েকটি পুরনো বাড়ির ধ্বংসস্তুপের মধ্যে। বরুণ তেজ কোনও বডি ডাবলের সাহায্য ছাড়াই নিজের স্টান্টগুলিতে অভিনয় করেন। কয়েকটি দৃশ্যের শ্যুটিং হয় জর্জিয়ার ৎবিলিসির আনানুরি সেতুতে।[১৮]
সামরিক বিদ্যালয় জর্জিয়া মিলিটারি ইনস্টিটিউট থেকে বরাদ্দ করা ৭০০টি বন্দুক, চারটি ট্যাংক ও একটি মেশিন গান যুদ্ধের দৃশ্যগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। জর্জিয়ান সশস্ত্র বাহিনী ছবির ইউনিটকে অস্ত্রগুলি যথাযথভাবে ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রতিটি ট্যাংকের দৈনিক ভাড়া ছিল ৫০০০ ডলার। সুরেশ ও তাঁর দল আরেকটি ট্যাংকের নকশা প্রস্তিত করেছিলেন।[১৮] প্রতিদিন কয়েক হাজার বুলেটের দরকার হত এবং ১৫ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল বন্দুকগুলি লোড করার জন্য। শেষ দিনে ক্ল্যাইম্যাক্স পর্বের শ্যুটিং-এ বরুণ তেজ ৭০০০টিরও বেশি বুলেট ব্যবহার করেছিলেন। কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্য চলচ্চিত্রায়নের জন্য ছবির ইউনিট কয়েকজন হলিউড টেকনিশিয়ানের পরামর্শ নেয়।[১৮] মোট ৫৫ দিন শ্যুটিং-এর পর[২] প্রিন্সিপল ফোটোগ্রাফির কাজ শেষ হয় ৬ জুলাই।[২৪]
সংগীত
সম্পাদনাযুদ্ধের দৃশ্যগুলি আমরা হলিউডের ধাঁচে করতে চেয়েছিলাম। যুদ্ধের কোনও কোনও দৃশ্যের দৈর্ঘ্য ছিল নয় মিনিটের মতো। কয়েকটি আগ্রাসী যুদ্ধের পরে কয়েক মিনিটের জন্য ঘুম পাড়ানি সুরের ব্যবহার করতে হত। তাই আগ্রহের মাত্রাটি যাতে ধরে রাখা যায়, সেই জন্য সুর নিয়ে আমাদের নিরন্তর নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হত।
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছবির পুনঃ-রেকর্ডিং সম্পর্কে চিরন্তন ভট্ট[১২][২৫]
কঞ্চে | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | |||
শব্দধারণের সময় | ২০১৫ | |||
ঘরানা | কাহিনিচিত্র সাউন্ডট্র্যাক | |||
দৈর্ঘ্য | ২৮:৭ | |||
ভাষা | তেলুগু | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | আদিত্য মিউজিক | |||
প্রযোজক | চিরন্তন ভট্ট | |||
চিরন্তন ভট্ট কালক্রম | ||||
|
কঞ্চে ছবির প্রাতিষ্ঠানিক সাউন্ডট্র্যাকে সুরারোপ করেছিলেন চিরন্তন ভট্ট। এটিতে মোট ছয়টি ট্র্যাক ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল যন্ত্রসংগীতে সৃষ্ট ছবির থিম সংগীত। অবশিষ্ট পাঁচটি গানের কথা রচনা করেন শ্রীবেন্নেলা সীতারামশাস্ত্রী।[২৬] কঞ্চে ছবির মাধ্যমেই চিরন্তন দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। কৃষ চিরন্তনের সঙ্গে কাজ করেন গব্বর ইজ ব্যাক ছবিতে। চিরন্তনকে তিনি কঞ্চে ছবির একটি গানে সুরারোপ করতে বলেন। সেই কাজে সন্তুষ্ট হয়ে কৃষ তাঁকে এই ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসাবে চুক্তিবদ্ধ করেন। চিরন্তনের মনে হয় কঞ্চে ছবিটি "একটি গভীর ও আবেগময় কাহিনি" হতে চলেছে। তাই তিনি নিশ্চিত করেন যাতে ছবির সংগীত নির্দিষ্ট কোনও শ্রেণির জন্য সামগ্রিকভাবে প্রযোজ্য না হয় এবং ছবির মাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।[২৭]
সুরারোপের সময় কৃষ ইলাইয়ারাজা ও এম. এম. কীরবাণীর কিছু সৃষ্টিকর্মের উদাহরণ তুলে ধরেন চিরন্তনের সামনে। বাদ্যের ক্ষেত্রে চিরন্তন প্রধানত ব্যবহার করেন তবলা তরঙ্গ ও সরোদ। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল এই ছবির গানগুলিকে "প্রভূত পরিমাণে মনের খেয়াল ও আবেগ প্রকাশ করতে হবে"।[১২] চারুকেশী রাগে নিবদ্ধ "নিজামেনানি নাম্মানি" গানটিতে শ্রেয়া ঘোষালের সাথে অতিরিক্ত কণ্ঠ দেন নন্দিনী শ্রীকর। তবে ঘোষালের নাম অ্যালবামে প্রকাশ করা হয়নি।[২৮] "ইটু ইটু আনি চিটিকেলু এব্বারিবো" গানটির একটি স্থূল সংস্করণ অভয় যোধপুরকর তাঁর এক বন্ধুর স্টুডিওতে দুই ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড করেন। চিরন্তন কণ্ঠস্বরটিকে সঙ্গত বিবেচনা করে কোনও রকম সংশোধন ছাড়াই গানটি চূড়ান্ত সংস্করণ হিসাবে গ্রহণ করেন।[২৯] "ইটু ইটু আনি চিটিকেলু এব্বারিবো" ও "ভগ ভগমণি" গান দু’টি যথাক্রমে নটভৈরবী ও কামবর্ধিনী রাগে নিবদ্ধ। অন্যদিকে "রা মুন্ডাডুগেড্ডাম" গানে চিরন্তনি চারুকেশী ও কামবর্ধিনী দু’টি রাগকেই ব্যবহার করেছিলেন।[৩০]
"নিজামেনানি নাম্মানি" গানটির একটি টিজার ইউটিউবে প্রকাশের পর বরুণ তেজ হায়দ্রাবাদের রেডিওসিটি এফএম স্টেশনে গণেশ চতুর্থীর প্রাক্-সন্ধ্যায় (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫) অভয় ও শ্রেয়ার দ্বৈতকণ্ঠে গীত "ইটু ইটু আনি চিটিকেলু এব্বারিবো" গানটি প্রকাশ করেন। সেই দিনই হায়দ্রাবাদে একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে আদিত্য মিউজিকের লেবেলে প্রকাশিত সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাম চরণ।[৩১]
দ্য হিন্দু পত্রিকার কার্তিক শ্রীনিবাসন "নিজামেনানি নাম্মানি" গানটিকে সাউন্ডট্র্যাকের শ্রেষ্ঠ গান বলে উল্লেখ করেন এবং শ্রেয়া ও নন্দিনীর সংগীত উপস্থাপনারও প্রশংসা করেন।[২৮] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া সাউন্ডট্র্যাকটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ তারকা রেটিং দেয় এবং সেটির বিষয়গত শৈলী সম্পর্কে লেখে: "[এটি] আজকালকার দিনের গতানুগতিক গান ও নাচের থেকে এক আনন্দদায়ক পরিবর্তন"।[৩২] বিহাইন্ডউডস সাউন্ডট্র্যাকটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.২৫ তারকা রেটিং দিয়ে বলে যে: "[এটি] শ্রুতিমধুর এক সাংগীতিক ও কাব্যময় উৎসব"।[৩০]
ট্র্যাক তালিকা[২৬]
সকল গানের গীতিকার সিরিবেন্নেলা সীতারামশাস্ত্রী।
নং. | শিরোনাম | শিল্পী(বৃন্দ) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "ইটু ইটু আনি চিটিকেলু এব্বারিবো" | অভয় যোধপুরকর, শ্রেয়া ঘোষাল | ৫:১১ |
২. | "উরু এরায়িন্ডি এরু হোরেট্টিন্ডি" | শঙ্কর মহাদেবন | ৫:১১ |
৩. | "নিজামেনানি নাম্মানি" | শ্রেয়া ঘোষাল | ৪:৪৮ |
৪. | "ভগ ভগমণি" | বিজয় প্রকাশ | ৩:০০ |
৫. | "রা মুন্ডাডুগেড্ডাম" | বিজয় প্রকাশ, কীর্তি সাগাতিয়া | ৬:৪৯ |
৬. | "লাভ ইজ ওয়ার" | চিরন্তন ভট্ট | ৩:০৮ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ২৮:০৭ |
মুক্তি ও প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাপ্রথমে ঠিক ছিল ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর কঞ্চে বিশ্বব্যাপী মুক্তি লাভ করবে।[৩৩] কিন্তু পুলি ও সিং ইজ ব্লিং ছবির মুক্তির সঙ্গে সংঘাত এড়াতে এই ছবির মুক্তি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়।[৩৪] অখিল: দ্য পাওয়ার অফ জুয়া ছবিটি ২২ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পোস্ট-প্রোডাকশনে একটু দেরির কারণে সেই ছবির মুক্তি পিছিয়ে যায়। পরিবর্তে স্থির হয় বিজয়াদশমী উৎসব উপলক্ষ্যে ২২ অক্টোবর কঞ্চে ছবিটি মুক্তি পাবে।[৩৫] অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার ৪০০টি প্রেক্ষাগৃহে এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে ১৫০টি পৃক্ষাগৃহে মুক্তি পায় কঞ্চে।[৩৬] ভারতের বাইরে ছবির মুক্তির জন্য প্রথমে ৮০টি প্রেক্ষাগৃহ সংরক্ষণ করা হলেও,[৩৭] পরে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫০টি, যার মধ্যে ১৩০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।[৩৬]
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাকঞ্চে ছবিটি সমালোচকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই অর্জন করে।[৩৮] দ্য হিন্দু পত্রিকার সঙ্গীতা দেবী ডুন্ডু বলেন যে, কঞ্চে এমন একটি ছবি যা "শুধুমাত্র অন্য রকম বলে নয়, বরং এটির আন্তরিকতার দিক থেকেও" অসাধারণ এবং সেই সঙ্গে এও বলেন যে কৃষ "বেড়া টপকে গল্প বলার এক নতুন জগতে উত্তীর্ণ হয়েছেন"।[৩৯] কৃষের বর্গনির্বাচনের প্রশংসা করে ডেকান ক্রনিকল পত্রিকার সুরেশ কবিরায়ানি ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ তারকা রেটিং দেন এবং বলেন, "যদিও রোজকার অ্যাকশন-মশালা-নাচ-গান-ড্রামা ধাঁচের ছবির থেকে স্বাদ বদল করতে চান, তাহলে কঞ্চে দেখুন"। সেই সঙ্গে কবিরায়ানি আরও বলেন: "যুদ্ধের দৃশ্যগুলি অকৃত্রিম। এই দৃশ্যগুলি ক্যামেরাবন্দী করার কৃতিত্ব সিনেম্যাটোগ্রাফার ঘন শেখর ভি. এস.-এর। যুদ্ধের এই দৃশ্যগুলির দিক থেকে দেখতে গেলে কঞ্চে হলিউডের যে কোনও ছবির থেকে কোনও অংশে কম নয়।"[৪০] দ্য হংস ইন্ডিয়া পত্রিকার রাজেশ্বরী কল্যাণমও ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ রেটিং দেন এবং বলেন: "কঞ্চে ছবিটির মাধ্যমে জগরলামুডি কৃষ আরেকবার অন্য ধারার বিষয় নির্বাচন, বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক শৈলীতে গল্প বলা এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেটির একটি অসামান্য সিনেম্যাটিক উপস্থাপনায় তাঁর দক্ষতা প্রমাণ করলেন।"[১৯]
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রণীতা জোন্নালাগেড্ডা কঞ্চে ছবিটিকে ৫-এ ৩ রেটিং দিয়ে বলেন: "কঞ্চে হল মূলধারার [তেলুগু চলচ্চিত্রের] ক্ষেত্রে একটি সাহসী প্রয়াস। এতে একটি কৌতুহলোদ্দীপক গল্প আছে, যেটি সত্যিই সুন্দরভাবে বলা হয়েছে। তবে দেখার পরে আপনার মনে হতেই পারে এটা আরও অনেকটা ভালো হতে পারত।"[৪১] সাইফিও কঞ্চে ছবিটিকে ৫-এর মধ্যে ৩ রেটিং দেয় এবং ছবিটিকে "শুধুমাত্র প্রাজ্ঞ দর্শকদের উপযুক্ত" ছবি বলে উল্লেখ করে। এই সমালোচনায় ছবির গল্প, অভিনয়, প্রযোজনা ও সংলাপেরও প্রশংসা করা হয়েছিল।[৪২] বিহাইন্ডউডস ছবিটিকে ৫-এ ৩ রেটিং দিয়ে এটিকে একটি "প্রশংসাযোগ্য প্রয়াস" বলে উল্লেখ করে এবং সেই সঙ্গে লেখে:
যুদ্ধ নিয়ে খুব বেশি ভারতীয় ছবি আপনি পাবেন না। বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এই জাতীয় ছবি খুব বেশি তৈরি হয়নি। এমনকি যেগুলি নির্মিত হয়েছে বা, সেগুলিও বিরাট অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারেনি, বিশেষত যুদ্ধের দৃশ্যগুলির দিক থেকে দেখলে তা-ই বলতে হয়। সেখানে কঞ্চে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যুদ্ধের দৃশ্যগুলি দেখে বিশ্বাসযোগ্য ও কৌতুহলোদ্দীপক মনে হয়। এটি সুদূরপ্রসারী এবং এর গভীরতা সব সময়ই বজায় ছিল।"[১৩]
বক্স অফিস
সম্পাদনাকঞ্চে ছবিটি মোট লাভ করে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী পরিবেশকের ভাগ ছিল ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। এই হিসাবে ছবিটি রাজু গারি গাদি ও কলম্বাস ছবি দু’টির তুলনায় ভালো বাণিজ্য করেছিল।[৩৬] বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শের মতে, কঞ্চে ছবির আর্থিক প্রাক্-বীক্ষণ থেকে এটি প্রথম দিন ৪৬,৭৫১ মার্কিন ডলার এবং দ্বিতীয় দিন ৯২,৯৯৮ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করে। দুই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ছবির মোট আয় ছিল ১৯২,৮০৬ মার্কিন ডলার (১ কোটি ২৫ লক্ষ ভারতীয় টাকা)।[৪৩] প্রথম সপ্তাহান্তে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে মোট ও পরিবেশকের ভাগ দাঁড়ায় প্রায় যথাক্রমে ১৩ কোটি টাকা ও ৭ কোটি টাকা।[৪৪]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে প্রথম সপ্তাহান্তে কঞ্চে সংগ্রহ করে ৩৮০,৩৬১ মার্কিন ডলার (২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা)। কানাডার দু’টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে এই ছবিটি ৬,৮২৬ মার্কিন ডলার (৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা) এবং প্রথম সপ্তাহান্তে মালয়েশীয় বক্স অফিস থেকে এটি ১৫,৯২১ মালয়েশীয় রিংগিত (২ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা) আয় করে। এই ভাবে ছবিটি বহির্ভারতীয় পরিবেশকদের বিনিয়োগের ১০০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিল।[৪৫] দশ দিনে ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ৪৮৯,৭০১ মার্কিন ডলার (৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা), কানাডার বক্স অফিসে ৯,২৮১ মার্কিন ডলার (৬ লক্ষ ৭ হাজার টাকা) এবং মালয়েশীয় বক্স অফিসে ১৯,৩১৬ মালয়েশীয় রিংগিত (২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা) আয় করে। দশ দিনে বহির্ভারতীয় বক্স অফিসে ছবির মোট আয় ছিল ৫০৩,৪৬১ মার্কিন ডলার (৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা)।[৪৬]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে ১৭ দিনে কঞ্চে আয় করেন ৫২২,৩২৫ মার্কিন ডলার (৩ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা)।[৪৭] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মুক্তি-পাওয়া ছবিগুলির কাছে অনেকগুলি প্রেক্ষাগৃহ হারানোর পর কঞ্চে ছবির ৩১ দিনের সামগ্রিক আয় দাঁড়ায় ৫২৭,৭২৪ ডলার (৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা)।[৪৮] সামগ্রিকভাবে কঞ্চে বিশ্বব্যাপী মোট আয় করে ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিবেশকের ভাগ ছিল ১৪ কোটি টাকা। ফলে ছবিটি বাণিজ্যসফল ছবি হিসাবে ঘোষিত হয়। এটি ছিল সেই বছর ১৪শ সর্বাধিক লাভজনক তেলুগু ছবি।[৩]
সম্মাননা
সম্পাদনা৬৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে কঞ্চে ছবিটি শ্রেষ্ঠ তেলুগু ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে।[৪৯] ছবিটি রাজ্য সরকারের জাতীয় সংহতি বিষয়ক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য নন্দী পুরস্কারও জয় করে এবং অল লাইটস ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের "ইন্ডিউড প্যানোরামা" বিভাগের ২০১৬ সংস্করণে প্রদর্শিত হয়।[৫০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ রাজমণি, রাধিকা (২০ অক্টোবর ২০১৫)। "'In India, nobody has told a story like this'"। রেডিফ.কম। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ দেবল্লা, রাণী (২৭ অক্টোবর ২০১৫)। "`Kanche' team savouring the success"। দ্য হিন্দু। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ এইচ. হুলি, শেখর (৫ জানুয়ারি ২০১৬)। "Baahubali to Kumari 21F: Top 20 highest-grossing Telugu/Tollywood movies of 2015"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Krish to direct Varun Tej's next"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ৩১ জানুয়ারি ২০১৫। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ জোন্নালাগেদ্দা, প্রণিতা (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Pragya Jaiswal auditioned for Gabbar and landed in T-town"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Varun Tej'new film Kanche launched"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ কৃষ্ণমূর্তি, পি. (৩১ আগস্ট ২০১৫)। "First Telugu film on World War II"। দ্য হংস ইন্ডিয়া। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "'Kanche' most ambitious film of my career: Krish Jagarlamudi"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Story of the dialogues that evoke humanity"। দ্য হংস ইন্ডিয়া। ১ নভেম্বর ২০১৫। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ দুন্ডু, সঙ্গীতা দেবী (১৯ অক্টোবর ২০১৫)। "Love in the time of WWII"। দ্য হিন্দু। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চৌধরী, ওয়াই. সুনিতা (৬ অক্টোবর ২০১৫)। "Art behind the fence"। দ্য হিন্দু। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ "'Kanche' allowed me to experiment musically: Chirantan Bhatt"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। Indo-Asian News Service। ১৮ অক্টোবর ২০১৫। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ "Kanche (aka) Kaanche review"। বিহাইন্ডউডস। ২২ অক্টোবর ২০১৫। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
"You don’t get to see too many Indian films being made on war, especially South Indian industry hasn’t made many.(sic) Even the ones that have been made have not made a huge impact, especially with it comes to battle scenes. But that is where Kanche scores big time. The war sequence looks authoritative and intriguing. It travels throughout and the intensity has been maintained right through".
- ↑ রাজমণি, রাধিকা (২১ অক্টোবর ২০১৫)। "'It feels great to be part of something never tried before'"। রেডিফ.কম। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ জোন্নালাগেদ্দা, প্রণিতা (১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Varun Tej shot with a real WW II gun"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ কবিরযানী, সুরেশ (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "I was scared to slap Varun: Pragya Jaiswal"। ডেকান ক্রনিকল। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ শ্রীনিবাসন, লতা (১ নভেম্বর ২০১৫)। "'Kanche' actress Pragya Jaiswal says working with Mahesh Babu would be a dream come true"। ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ "'కంచె' కోసం క్రిష్ చేసిన యుద్ధం" [Krish's struggle for 'Kanche']। এনাডু (Telugu ভাষায়)। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ কল্যাণম, রাজেশ্বরী (২৪ অক্টোবর ২০১৫)। "Breaking new grounds"। দ্য হংস ইন্ডিয়া। ২৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Honour to work with Singeetham Srinivasa Rao: Krish"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ উদ্ধৃতি: "It was like a proper military camp that we were living in. There were tents on the location and we pretty much lived there. Georgia has sunsets at 9 pm and we used to begin shooting in the morning 6 am and wrap up only after the sunset. There were 400-500 people on the sets on an average day."
- ↑ "Varun's film to roll out from Feb 27"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Varun Tej to shoot in Rajole"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৩ মার্চ ২০১৫। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (৮ জুলাই ২০১৫)। "Varun Tej Wraps up Krish's 'Kanche' Shoot, Starts 'Loafer' with Puri Jagannath [PHOTOS]"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ উদ্ধৃতি: "We tried to approach the battle scenes like the way Hollywood would. Some of these war scenes were like nine-minutes long. There’d be a few minutes of lull followed by some aggressive fighting, so we had to constantly innovate with the music to keep the interest level intact."
- ↑ ক খ "Kanche (2015)"। রাগ.কম। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ রাজপাল, রক্তিম (২৬ আগস্ট ২০১৫)। "'Kanche' is an intense and emotional film: Chirantan Bhatt"। সিএনএন-আইবিএন। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ শ্রীনিবাসন, কার্তিক (৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Hitman"। দ্য হিন্দু। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ দুন্ডু, সঙ্গীতা দেবী (১১ মার্চ ২০১৬)। "The music makers"। দ্য হিন্দু। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ ক খ "Kanche (aka) Kaanche songs review"। বিহাইন্ডউডস। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Varun Tej's 'Kanche' audio launch to be held today: Watch Ram Charan releasing music live [VIDEOS]"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Music Review: Kanche"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Watch 'Kanche' Trailer: Varun Tej is convincing in Krish's World War 2 drama"। ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Kanche's release date pushed to November"। ডেকান ক্রনিকল। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (১৬ অক্টোবর ২০১৫)। "Release dates update: Nithin's 'Akhil — The Power of Jua' postponed; Varun Tej's 'Kanche' advanced"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ গ এইচ. হুলি, শেখর (২৩ অক্টোবর ২০১৫)। "'Kanche' 1st day box office collection: Varun Tej starrer beats 'Columbus', 'Raju Gari Gadhi' on opening day"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Kanche to be screened massively overseas"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৩ অক্টোবর ২০১৫। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (২৫ অক্টোবর ২০১৫)। "'Kanche' movie review roundup: Critics call it a brave attempt by Krish, Varun Tej"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ দুন্ডু, সঙ্গীতা দেবী (২৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Kanche: Breaking the fence"। দ্য হিন্দু। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ কবিরযানী, সুরেশ (২৪ অক্টোবর ২০১৫)। "Movie review 'Kanche': Love reigns in war zone"। ডেকান ক্রনিকল। ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ জোন্নালাগেদ্দা, প্রণিতা (২৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Kanche Movie Review"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Review : Kanche"। সাইফি। ২৩ অক্টোবর ২০১৫। ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (২৫ অক্টোবর ২০১৫)। "'Kanche' US box office collection: Varun Tej starrer set to beat Bruce Lee — The Fighter weekend record"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (২৬ অক্টোবর ২০১৫)। "'Kanche' 1st weekend box office collection: Varun Tej starrer tops chart, beats 'Raju Gari Gadhi' and 'Columbus'"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ২৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (২৭ অক্টোবর ২০১৫)। "'Kanche' overseas box office collection: Varun Tej's film fails to beat record of 'Bhale Bhale Magadivoy' in US"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ১১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (৩ নভেম্বর ২০১৫)। "Overseas box office collection: 'Kanche' continues to rock, 'Sher' opens to poor response"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (১০ নভেম্বর ২০১৫)। "Kanche US box office collection: Varun Tej's film beats 17-day business of Shaandaar"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ১০ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ এইচ. হুলি, শেখর (১৫ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Tollywood 2015: Top 10 highest grosser Telugu movies at US box office"। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ইন্ডিয়া। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "63rd National Film Awards: Complete List of Winners"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ২৮ মার্চ ২০১৬। ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Competition for Indian Films Indywood Panorama"। আলিফ.কম। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে কঞ্চে (ইংরেজি)