কচ্ছের শাল

তাঁত শিল্পে উৎপাদিত

কচ্ছের শাল হল ভারতের গুজরাত রাজ্যের কচ্ছ অঞ্চলে বোনা একটি ঐতিহ্যবাহী শালকচ্ছের ভূজোদি গ্রামে এগুলি বেশিরভাগই কাচ্ছি উপাদান দিয়ে বোনা হয়।[১] ঐতিহ্যগতভাবে কাচ্ছি তাঁতিরা মারওয়াড় ও মাহেশ্বরী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।[২]

গুজরাটের কচ্ছের ঐতিহ্যবাহী শাল প্রস্তুতকারক

কচ্ছের শাল ভৌগোলিক সূচকসমূহের (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন, ১৯৯৯ এর অধীনে ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন পেয়েছে।

উৎস সম্পাদনা

প্রায় ৫০০ বছর আগে কচ্ছ অঞ্চলে তাঁতীদের অভিবাসন সম্পর্কে দুটি গল্প রয়েছে। প্রথম কাহিনী অনুসারে ধনী রাবারি পরিবারের এক কন্যা কচ্ছের এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এবং যৌতুক হিসাবে তাকে একজন তাঁতি দেওয়া হয়েছিল। এই তাঁতি পরিবার পরবর্তীকালে একটি বিশাল সম্প্রদায় হয়ে ওঠে।[১]

দ্বিতীয় গল্পটি রামদেব পীর সম্পর্কিত যিনি রাজস্থান থেকে কচ্ছ এসেছিলেন। খুব শীঘ্রই তাঁর অনুগামীদের মধ্যে কয়েকজন তাঁর মহিমাকীর্তনের জন্য একটি মন্দির তৈরি করেছিল এবং মন্দিরের যত্ন নেওয়ার জন্য রাজস্থানের মারওয়ার থেকে তাঁর কিছু আত্মীয়কে আনতে বলেছিল। এর ফলে মেঘওয়াল তাঁতি সম্প্রদায় কচ্ছে বসতি স্থাপন করেছিল।[১]

বাজার সম্পাদনা

ভুজোদি গ্রামের সমস্ত ২০০ তাঁতিকে ভৌগোলিক নির্দেশক দ্বারা এর গুণমান এবং বিশুদ্ধতার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে তাঁতিরা বিনিময় প্রথার মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করত। তারা কার্পেট, শাল ইত্যাদি তৈরি করত এবং কৃষকদের সাথে বিনিময় করে খাদ্যের জন্য ফসল সংগ্রহ করত।আজকাল শালের চাহিদা বেশি থাকায় এটি একটি ভাল ব্যবসা হয়ে উঠেছে। কারিগরেরা তাদের পণ্যগুলি সেরা সংস্থাগুলির কাছে বিক্রি করে।[৩]

শালের প্রকার সম্পাদনা

  1. সূচিকর্ম করা শাল
  2. টাই ও ডাই করা শাল
  3. শাল[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Gujarat's famous Kutchi shawl gets GI tag"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Crafts of Kutch"। craftcentres। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Bhujodi Shawl Weaving - Kutch, Gujarat"। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২১