ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (ডব্লিউএইচআইএল) হচ্ছে ঢাকা, বাংলাদেশ ভিত্তিক ওয়ালটন গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এটি ওয়ালটনের ভোক্তা পণ্য ও মোটরগাড়ি শিল্পের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি করে থাকে। এর কারখানা গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে গঠিত হয়। ২০০৮ সালে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৮ সালের ১৪ মে এটি পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়।[১] কারখানাটির সম্পূর্ণ আয়তন সাড়ে সাতশ একরেরও বেশি।[২] ২৫,০০০ কারিগরী পেশাদার ও সদস্য এখানে কাজ করে থাকে। এখানে তারা রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, মোটরসাইকেল, এয়ার-কন্ডিশনার, টেলিভিশন, গৃহ সরঞ্জাম এবং তাদের অতিরিক্ত অংশের নকশা, উৎপাদন এবং তাদের একত্র করার কাজ করে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের জন্য নিজেরাই কম্প্রেশর তৈরি করে। কোম্পানিটি বছরে ৩০ লাখ রেফ্রিজারেটর, ৩ লাখ এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি তৈরি করে। ওয়ালটন হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, টেলিশিন ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।[৩] পৃথিবীর অনেক দেশেই কোম্পানিটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করে থাকে।[৪]

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
ধরনপাবলিক লিমিটেড কোম্পানি
শিল্পউৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৬
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
বাণিজ্য অঞ্চল
বিশ্বব্যাপী
প্রধান ব্যক্তি
এস.এম. শামছুল আলম (চেয়ারম্যান), এস.এম. আশরাফুল আলম (ভাইস-চেয়ারম্যান), এস. এম. মাহবুবুল আলম ((ব্যবস্থাপনা পরিচালক), এস.এম. নুরুল আলম রিজভী (পরিচালক), এস.এম. রেজাউল আলম (পরিচালক)
পণ্যসমূহইলেকট্রনিক্‌স, গাড়ি, গৃহ সরঞ্জাম, টেলিযোগাযোগ
কর্মীসংখ্যা
২৫০০০+
ওয়েবসাইটwaltonhil.com
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের একটি অংশ

দেশের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২০ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত ৭২৯তম নিয়মিত সভায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেয়। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় দেশের দুই পুঁজিবাজারে শুরু হয় ওয়ালটন শেয়ারের লেনদেন। প্রথম দিনের প্রথম ট্রেডেই শেয়ারের দর বেড়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।[৫] তালিকাভুক্তির সময় ওয়ালটনের বাজার মূলধন ছিল ৭ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৭৪০ কোটি টাকায়।[৬] বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাজার মূলধনে বর্তমানে শীর্ষ কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক।

উপ-প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

মার্সেল ওয়ালটনে হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।[৭]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ওয়ালটন শেয়ারের আইপিও অনুমোদন"প্রথম আলো। ২৭ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২১ 
  2. "ওয়ালটনের জায়ান্ট ফ্যাক্টরি: ছবির মতো সাজানো শিল্পনগর"রাইজিংবিডি। ২৪ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২১ 
  3. "Walton At Every Home"www.waltonbd.com। ২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. "Walton eyes Tk 500cr export to Ghana"newstoday.com.bd। ২০১৯-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৮ 
  5. "প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ দামে ওয়ালটন শেয়ারের লেনদেন শুরু"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২১ 
  6. "২০২০ সালে সবাইকে ছাড়িয়েছে ওয়ালটন, বাজার মূলধন ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি"দৈনিক বণিক বার্তা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২১ 
  7. "About Us"marcelbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা