এ কে এম শহীদুল হক

বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক

এ কে এম শহীদুল হক বাংলাদেশের একজন সাবেক পুলিশ অফিসার যিনি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন।[][] তিনি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন নরকলিকাতা গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।[] ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপরাধের জন্য তাকে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে গ্রেফতার করা হয়।[]

এ কে এম শহীদুল হক
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)
কাজের মেয়াদ
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ – ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮
পূর্বসূরীহাসান মাহমুদ খন্দকার
উত্তরসূরীমোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মশরীয়তপুর জেলা
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী

কর্মজীবন

সম্পাদনা

শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যাণে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।[] পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রামসিরাজগঞ্জ জেলায় কার্যভার পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[]

বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং এর অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে তিনি কমিউনিটি পুলিশিং ধারণাকে জনগণের প্রতি জনপ্রিয় করে তোলেন। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশ এবং কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও উদ্‌ঘাটন, জনগনের নিরাপত্তা আইন এবং সমাজের নানা জটিল সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে যোগদান করে তিনি ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[] আইজিপি পদে পদোন্নতি লাভের পূর্বে তিনি সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অপারেশন) হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।[]

সম্মাননা

সম্পাদনা

২০১২ সালে আমেরিকার নিউ জার্সি রাজ্যের মেয়র তাকে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করেন। কর্মজীবনে অসামান্য অবদান ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতির জন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন- কম্বোডিয়া, এঙ্গোলা এবং সুদানে দায়িত্ব পালন করে জাতিসংঘের শান্তি পদকেও ভূষিত হন।

গ্রন্থসমূহ

সম্পাদনা

এ কে এম শহীদুল হক বিভিন্ন গ্রন্থের রচয়িতা। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে-'Police and Community with Concept of Community Policing’, ‘কমিউনিটি পুলিশিং কি এবং কেন’, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সারগ্রন্থ ,' পুলিশ জীবনের স্মতি' Community Policing Concept', Aims and Objectives’ এবং ‘Bangladesh Police Hand Book' ইত্যাদি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বিতর্ক

সম্পাদনা

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Minute-by-minute: Mir Quasem buried in Manikganj"dhakatribune.com। Dhaka Tribune। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. "Bangladesh announces reward for information on masterminds of Dhaka attacks"indiatoday.intoday.in। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. "পুলিশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বাড়ি বৃহত্তর ফরিদপুরে"risingbd.com। রাইজিংবিডি। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪। ১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হক গ্রেপ্তার"প্রথম আলো। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  5. "Bangladesh Police"www.police.gov.bd। ১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. "Former Commissioners"dmp.gov.bd। ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. "শহীদুল হক আইজিপি, বেনজীর ডিজি র‌্যাব"দৈনিক প্রথম আলো 
  8. "নবনিযুক্ত আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক"। DMP News। ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪। ১৭ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. "সাবেক দুই আইজিপিসহ ৮৮ পুলিশের নামে হত্যা মামলা"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। Archived from the original on ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা