এ কে এম এ মুক্‌তাদির

ডা. এ কে এম এ মুক্‌তাদির হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক। চিকিৎসা শাস্ত্রে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে তাকে “চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১][২]

ডা.

এ কে এম এ মুক্‌তাদির
জন্ম
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
পেশাচিকিৎসাবিদ্যা
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (২০২০)

ডাঃ এ কে এম এ মুকতাদির ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গৌরীপুর রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদনা

তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ময়মনসিংহের পলাশকান্দায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।[৩]

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাস করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৭৬ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে চক্ষু ক্যাম্প শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সেখানেই ক্যাম্প চালান। পরবর্তীতে উনার স্ত্রী গাইনি চিকিৎসক ডা. মাহমুদা খাতুনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেন ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল। ২০০৪ সালে নিজস্ব পাঁচ একর জমিতে ১০ শয্যার এই হাসপাতাল স্থাপন করেন। বর্তমানে ১০০ শয্যায় উন্নীত এই হাসপাতাল। চোখের ছানি অপারেশন, নেত্রনালির চিকিৎসা, চোখের মাংস বৃদ্ধি, গ্লুকোমা, চোখের ক্ষত, চোখের গুটি, টিউমার, ট্যারাচোখ সহ চোখের সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।[৩][৪] ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৬ জন জন রোগীকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।[৫]

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

২০০২ সালে লায়ন্স এফ্রিসিওয়ান অ্যাওয়ার্ড, ২০০৫ সালে এএফএও কর্তৃক ডিসটিংগোয়িং সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড, একেদাস এ্যান্ডওমেন্ট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাওয়ার্ড পান। [৪] ২০১৫ সালে ভারতে গোল্ডমেডেল পান। ২০১৬ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব কমিউনিটি অপথালমলোজি ইন ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ তাকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়। [৩] বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৬][৭][৮] হিসাবে পরিচিত


স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান"ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "কমান্ডার রউফ, আনোয়ার পাশাসহ ১০ জন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পদক"bangla.bdnews24.com। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. "ডা. এ কে এম এ মুকতাদির"maasranga.tv। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  4. "চোখে চোখে আশার আলো"kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  5. "গৌরীপুরে ডা: মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন ক্যাম্প শুরু"dailynayadiganta.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  6. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  7. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 
  8. "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পদক-২০১৯ হস্তান্তর করেন..."মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৫ মার্চ ২০১৯। ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা