এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান
প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম উপাচার্য হিসাবে ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। [১][২][৩]
এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান | |
---|---|
পেশা | শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য |
উপাধি | জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য |
মেয়াদ | ১৩ নভেম্বর ২০১৭ - ১৩ নভেম্বর ২০২১ |
পূর্বসূরী | অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম |
উত্তরসূরী | অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনা১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায় তার নানার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[৪] মুক্তিযুদ্ধে তার বাবা শহীদ হোন।[৫]
শিক্ষা জীবন
সম্পাদনা১৯৭২ সালে তিনি প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক এবং তারপর উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেন। প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে। এরপর তিনি গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান এর উপর এমএ করেন ফিলিপাইনের ইউপিলিবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তিতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। [৪][৫]
কর্ম জীবন
সম্পাদনা১৯৮৩ সালের ২ জুন শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ৩৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। এই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, বিভাগীয় প্রধান, হলের হাউস টিউটর, শিক্ষক সমিতির ৩ বার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। [৪] বেসরকারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং নর্দান ইউনিভার্সিটিতে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও তিনি কাজ করেন। রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সালে তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।[৬] ৫ বছর ধরে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনি সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন।[৪]
প্রকাশনা
সম্পাদনা‘সামাজিক সমস্যা’, ‘সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি’, ‘সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাস’ ‘বাংলাদেশের পরিবেশ ও সমাজ’ শিরোনামে চারটি পাঠ্যপুস্তকসহ মোট ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।[৬]
বিতর্ক
সম্পাদনাজাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে ২০ পদের বিপরীতে ৩৫ জন নিয়োগ দেবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এর লিখিত পরীক্ষা। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।[৭][৮][৯][১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য!"। বিডিনিউজ২৪। নভেম্বর ১৩, ২০১৭। ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।
- ↑ "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ"। প্রথম আলো। নভেম্বর ১৩, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।
- ↑ "নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য এ এইচ এম মু্স্তাফিজুর রহমান"। প্রিয়.কম। নভেম্বর ১৩, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ "নজরুল ভার্সিটির নয়া উপাচার্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান"। জনকণ্ঠ। নভেম্বর ১৫, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।
- ↑ ক খ "সফলতা পেতে মহৎ হতে হবে'"। ঢাকাটাইমস২৪। ডিসেম্বর ৯, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।
- ↑ ক খ "এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান"। মাছরাঙা টিভি। ডিসেম্বর ৯, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৯, ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ"। একুশে টিভি। জানুয়ারি ৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৯।
- ↑ "নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম"। দৈনিক দেশ জনকণ্ঠ। জানুয়ারি ৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৯।
- ↑ "উপাচার্যের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ"। দৈনিক দেশ রুপান্তর। জানুয়ারি ৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৯।
- ↑ "জাককানইবির নিয়োগ পরীক্ষায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ!"। অধিকার নিউজ। জানুয়ারি ৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৯।