এ, জে, মোহাম্মদ আলী
আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী[২] (১৫ ডিসেম্বর ১৯৫১ – ২ মে ২০২৪) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ছিলেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। [৩]
এ, জে, মোহাম্মদ আলী | |
---|---|
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল ২০০৫ – ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ | |
পূর্বসূরী | এ.এফ. হাসান আরিফ |
উত্তরসূরী | ফিদা এম. কামাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫১ নওগাঁ, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২ মে ২০২৪ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর | (বয়স ৭২)
মৃত্যুর কারণ | প্রোস্টেট ক্যান্সার[১] |
সমাধিস্থল | বনানী কবরস্থান, ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
সন্তান | ১ ছেলে, ১ মেয়ে |
পিতামাতা | এম. এইচ. খন্দকার (পিতা) |
পেশা | আইনজীবী |
ধর্ম | ইসলাম |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাএ, জে, মোহাম্মদ আলী ১৯৫১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বগুড়ায়।[৪] তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৮০ সালে তিনি হাইকোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে অনুশীলনের জন্য তালিকাভুক্ত হন।[৫] ২৩ অক্টোবর ২০০১ সালে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন।[৬] ৩০ এপ্রিল ২০০৫ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ২৪ জানুয়ারী ২০০৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৩] এ, জে, মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭]
এ, জে, মোহাম্মদ আলী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [৮][৯] তিনি মওদুদ আহমদের আইনজীবীও ছিলেন। [১০]
মৃত্যু
সম্পাদনাআলী ২০২৪ সালে ২ মে সিঙ্গাাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। [১১] ৪ মে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১২] তার সম্মানে ৫ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য বন্ধ রাখা হয়।[১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই"। কালের কণ্ঠ। ২ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৪।
- ↑ Only Regular Members, Members Directory (২ মে ২০০০)। "SCBA | Members Directory"। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। ২ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৪।
- ↑ ক খ গ "Attorney General AJ Mohammad Ali quits"। bdnews24.com। জানুয়ারি ২৪, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বিদায় নিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী"। নয়া দিগন্ত। ৪ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৪।
- ↑ "Mohammad Ali new Attorney General"। দ্য ডেইলি স্টার। মে ১, ২০০৫। অক্টোবর ১৭, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "Attorney general resigns"। দ্য ডেইলি স্টার। জানুয়ারি ২৫, ২০০৭। অক্টোবর ১৭, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "Ill attempt at destroying rule of law"। দ্য ডেইলি স্টার। জানুয়ারি ৯, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "Graft case: HC sets tomorrow to hear Khaleda's pleas challenging trial court order"। দ্য ডেইলি স্টার। এপ্রিল ১৯, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "HC adjourns hearing on Khaleda's revision petition"। দ্য ডেইলি স্টার। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ "HC keeps Moudud's writ for house waiting"। দ্য ডেইলি স্টার। জুন ৮, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৭।
- ↑ প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ (১৯৭০-০১-০১)। "সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০২।
- ↑ "এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন"। প্রথম আলো। ৪ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৪।
- ↑ "এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধায় আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ থাকছে"। প্রথম আলো। ৫ মে ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৪।