এসেল গ্রুপ
এসেল গ্রুপ,(জি গ্রুপ নামেও পরিচিত) হল একটি ভারতীয় বহুজাতিক সমষ্টি হোল্ডিং কোম্পানি এবং কর্পোরেট প্রবর্তক যার সদর দপ্তর ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে অবস্থিত।[২] এটি মূলত গণমাধ্যম,অবকাঠামো ও প্যাকেজিং-এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে।[৩] এটি জি মিডিয়া কর্পোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।[৪] কোম্পানিটি বর্তমানে গুরুতর ঋণে জর্জরিত। ঋণ পরিশোধ করার জন্য এসেল গ্রুপ তার কিছু সম্পদ বিক্রি করেছে যার মধ্যে অন্যতম এসেল প্রপেক ও জি মিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ার।[৫][৬]
ধরন | বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি |
---|---|
শিল্প | বহুমুখী |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯২৬ |
প্রতিষ্ঠাতা | জগন্নাথ গোয়েঙ্কা |
সদরদপ্তর | মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, |
বাণিজ্য অঞ্চল | বিশ্বব্যাপী |
প্রধান ব্যক্তি | সুভাষ চন্দ্র গোয়েল (চেয়ারম্যান) |
পণ্যসমূহ | |
আয় | ₹ ১৬,৮০০ কোটি (US$ ২.৪ বিলিয়ন) (২০২১) |
কর্মীসংখ্যা | ১০,০০০+ (২০২১) |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান |
|
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯২৬ সালে জগন্নাথ গোয়েঙ্কা মেসার্স রামগোপাল ইন্দ্রপ্রসাদ নামের একটি খাদ্যশস্য লেনদেনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৭][৮]
শুরুর কয়েক দশকে,কোম্পানিটি বেশ কয়েক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।[৭] ১৯৭৩ সালে, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ জগন্নাথ গোয়েঙ্কার নাতি সুভাষ চন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।[৯]
১৯৭৬ সালে কোম্পানিটি নিজের নাম পরিবর্তন করে এসেল গ্রুপ রাখে। ১৯৯২ সাল থেকে এসেল গ্রুপ বিনোদন ও গণমাধ্যম শিল্পে অনেক আগ্রহী হয় ও এ খাতে বিনিয়োগ শুরু করে।[১০]
অধীনস্হ প্রতিষ্ঠানসমূহ
সম্পাদনাজি মিডিয়া কর্পোরেশন (৮.৫২% শেয়ার)
সম্পাদনাজি মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড (সংক্ষেপে:জেডএমসিএল;পূর্বে জি নিউজ লিমিটেড নামে পরিচিত ছিল) হলো এসেল গ্রুপের সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থা। জি মিডিয়া কর্পোরেশন পূর্বে জি টেলিফিল্মস লিমিটেডের (পরে নাম পরিবর্তন করে জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারটেইনমেন্ট) এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল এবং জি নিউজ লিমিটেড নামে বিদ্যমান ছিল।[১১] এটি ২০০৬ সালে এসেল গ্রুপের একটি পৃথক কোম্পানি হিসাবে জি টেলিফিল্মস লিমিটেডের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।[১২] জি নিউজ লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে জি মিডিয়া কর্পোরেশন করা হয়। এটি মূলত টেলিভিশন প্লাটফর্মে বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল পরিচালনা করে।[১৩]
জি মিডিয়া কর্পোরেশন নিম্নলিখিত চ্যানেলসমূহ পরিচালনা করে:
- জি নিউজ (হিন্দি ভাষায়)
- জি হিন্দুস্তান (হিন্দি ভাষায়)
- জি বিজনেস (হিন্দি ভাষায়)
- জি ২৪ ঘন্টা (বাংলা ভাষায়)
- জি কন্নড় (কন্নড় ভাষায়)
- উইঅন (ইংরেজি ভাষায়)
- জি ২৪ তাস (মারাঠি ভাষায়)
- জি ২৪ কালাক (গুজরাটি ভাষায়)
- জি উত্তরপ্রদেশ উত্তরাখণ্ড (হিন্দি ভাষায়)
- জি মধ্যপ্রদেশ ছত্তিশগড় (হিন্দি ভাষায়)
- জি হরিয়ানা হিমাচল (হিন্দি ভাষায়)
- জি বিহার ঝারখন্ড (হিন্দি ভাষায়)
- জি সালাম (উর্দু ভাষায়)
জি লার্ন
সম্পাদনাজি লার্ন লিমিটেড (সংক্ষেপে:জিএলএল;জি স্কুলস্ নামেও পরিচিত) হল এসেল গ্রুপের একটি লাভজনক শিক্ষা সংস্থা।[১৪] এটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। এটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়,তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত এটি পুরোদমে কাজ শুরু করে নি।[১৫] তবে ২০১০ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। ২০১৯ সাল অনুযায়ী,জি লার্ন ভারতজুড়ে ১,৯০০টির বেশি কিডজি প্রিস্কুল,১২০টি মাউন্ট লিটেরা স্কুল ও ৩টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে।[১৬]
জি এন্টারটেইন্টমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (৩.৯৯% শেয়ার)
সম্পাদনাজি এন্টারটেইন্টমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড হল এসেল গ্রুপের বিনোদনমূলক টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারকারী সংস্থা। এটি পূর্বে জি টেলিফিল্মস নামে পরিচিত ছিল। এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১৭] এটি ১৯৯২ সালে তার ফ্ল্যাগশিপ চ্যানেল জি টিভি চালু করে।[১৮]
এছাড়া এসেল গ্রুপ আরো বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Esselgroup - Essel Group Profile"। www.esselgroup.com। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Tarun Katial | On the binge"। Mintlounge (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Outlook India Magazine Online- Read News India, Latest News Analysis, World, Sports, Entertainment | Best Online Magazine India"। https://www.outlookindia.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ Chaki, Deborshi (২০১৯-০১-০৯)। "Essel Group in talks to raise $400 million to refinance debt"। mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ Bureau, BW Online। "Sudhanshu Vats Appointed CEO And MD At Essel Propack"। BW Businessworld (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ Gopakumar, Anirudh Laskar,Gopika (২০১৯-১১-০৫)। "Subhash Chandra may lose say in Zee Entertainment"। mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ ক খ "From 'Okara Dukaan' to Zee… the complete story"। MxMIndia। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Subhash Chandra and Family"। india.mom-gmr.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ Singh, Gurbir। "New Pastures For The Patriarch"। BW Businessworld (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Zee Entertainment Enterprises History | Zee Entertainment Enterprises Information"। The Economic Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Zee Media Corporation"। india.mom-gmr.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ Reporter, B. S. (২০০৬-১২-১৪)। "Zee Telefilms demerges into 3 firms"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Zee Media Corpn.: Director Reports, Company Results of Zee Media Corpn. - NDTV"। www.ndtv.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Essel Group bets big on education"। www.thehindubusinessline.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৪-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Zee Learn History | Zee Learn Information"। The Economic Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ PM, Indulal; Balakrishnan, Reghu (২০১৯-১১-১৯)। "KKR-backed EuroKids in talks to buy Kidzee for Rs 1,200 crore"। The Economic Times। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ "Why Subash Chandra had to Resign as Chairman of Zee"। NewsClick (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।
- ↑ Market, Capital (২০২০-০৪-২৩)। "ZEEL jumps after foreign fund buys stake"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯।