এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ট্রফি বা এসিসি ট্রফি সীমিত ওভারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষএশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালনায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মূলতঃ এশিয়ার টেস্ট ক্রিকেট বহির্ভূত দেশের জাতীয় দলগুলো এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয়। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দ্বি-বার্ষিকভিত্তিতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় বিভাগ হিসেবে পরিচিত এসিসি প্রিমিয়ার লিগ এর স্থলাভিষিক্ত হয়। সাম্প্রতিককালে ২০১২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রয়েছে নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট দল। ২০০০২০০৬ সালের প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী দল একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায় ও এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

এসিসি ট্রফি
ব্যবস্থাপকএশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল
খেলার ধরন৫০-ওভার
প্রথম টুর্নামেন্ট১৯৯৬
শেষ টুর্নামেন্ট২০১২
সর্বাধিক সফল সংযুক্ত আরব আমিরাত (৫ শিরোপা)

পূর্বতন ফাইনাল

সম্পাদনা
এসিসি
সাল স্বাগতিক চূড়ান্ত খেলার মাঠ স্কোর ফলাফল
১৯৯৬ মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর   বাংলাদেশ ২১২ (৪৯.৩ ওভার); (শাহরিয়ার হোসেন ৫৮, আমিনুল ইসলাম ৪৩; সেলিম রাজা ৩/?)
  সংযুক্ত আরব আমিরাত ১০৪ (৩৬.৫ ওভার) (আরশাদ লায়েক ৩১*, সেলিম রাজা ২০; আনিসুর রহমান ৩/২৬, শেখ সালাহউদ্দিন ৩/১৩)
বাংলাদেশ ১০৮ রানে বিজয়ী
১৯৯৮ নেপাল কাঠমান্ডু   মালয়েশিয়া ৮৩ (৩৭.২ ওভার); (রোহন সেলভারত্মম ২৫; আমিনুল ইসলাম ৩/২২)
  বাংলাদেশ ৮৫/২ (২১.১ ওভার) (শাহরিয়ার হোসেন ৫১)
বাংলাদেশ ৮ উইকেটে বিজয়ী
২০০০ সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ   হংকং ১৮৬ (৪৯.৪ ওভার) (আর. শর্মা ৭৮; অসীম সাঈদ ৪/৩২)
  সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯১/৭ (৪৪ ওভার) (মেহমু; পিরাবক্স ৫৬, মিরাজ খালিক ৪২*; মোহাম্মদ জুবায়ের ৪/৩০)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩ উইকেটে বিজয়ী
২০০২ সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুর     নেপাল ১৮৪ (৫০ ওভার) (পিপি লোহানী ৫২, এসপি গৌচাঁন ৪৭; আরশাদ আলী ৪/২৪)
  সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৮৫/৪ (৩৮.৩ ওভার) (খুররম খান ৬০*, অসীম সাঈদ ৪১, বিকে দাস ২/২৭)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ৬ উইকেটে বিজয়ী
২০০৪ মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর   সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৫৩/৭ (৫০ ওভার) (সৈয়দ মাকসুদ ৬৭, নাইমুদ্দিন ৩৭; হিমেল মেহতা ৩/৩৮)
  ওমান ১৫৯ (৪৪ ওভার) (হিমেল মেহতা ৩৯; আলী আসাদ ৪/৩৮)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ৯৪ রানে বিজয়ী
২০০৬ মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর   হংকং ১৭৪/৮ (৫০ ওভার) (টি.স্মার্ট ৫৬, আর. শর্মা ৪৫; এ. আলী ৩/৩৫)
  সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৭৫/৫ (৩৫.৩ ওভার) (কে.খান ৫৯*; এন. আহমেদ ৩/৪৮)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫ উইকেটে বিজয়ী
এসিসি ট্রফি এলিট
সাল স্বাগতিক চূড়ান্ত খেলার মাঠ স্কোর ফলাফল
২০০৮ মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর   সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৪৩/৭ (৫০ ওভার) (সাকিব আলী ১০২, নজীব আমর ৪/৬১)
  হংকং ২০৫/৭ (৩৪.১ ওভার) (নজীব আমর ১০০, স্বদ্বীপ সিলভা ৩.৩৯)
হংকং ৩ উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল)
২০১০ কুয়েত কুয়েত সিটি   আফগানিস্তান ২২৪ (৫০ ওভার) (করিম সাদিক ৫৮, বিনোদ দাস ৩/৩৫)
    নেপাল ১২৯ (৪০ ওভার) (শরদ বিশ্বকর ৩৫, নওরোজ মঙ্গল ২/৯)
আফগানিস্তান ৯৫ রানে বিজয়ী
২০১২ সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ   সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৪১/৬ (৫০ ওভার) (সাকিব আলী ১০১*, শক্তি গৌচাঁন ৩/৩৬)
    নেপাল ২৪১/৯ (৫০ ওভার) (সুবাস খাকুরেল ৫৫, আহমেদ রাজা ২/৪৪)
খেলা টাই। নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথভাবে ট্রফি জয়লাভ করে।
এসিসি ট্রফি চ্যালেঞ্জ
সাল স্বাগতিক চূড়ান্ত খেলার মাঠ স্কোর ফলাফল
২০০৯ থাইল্যান্ড চিয়াং মাই   ওমান ৩২২/৯ (৫০ ওভার) (আদনান ইলিয়াস ১৩৮, আউয়াল খান ৩২*)
  ভুটান ১০৪ (৪০ ওভার) (কুমার সুব্বা ৪০; আউয়াল খান ৩/২৭, হিমেল মেহতা ৩/২২)
ওমান ২১৩ রানে বিজয়ী
২০১০ থাইল্যান্ড ব্যাংকক[]   সৌদি আরব ১৩৯ (৪৩.৩ ওভার) (শোয়েব আলী ৩৯; আহমেদ ফয়েজ ৩/১৯)
  মালদ্বীপ ১৪০/৯ (৪১.৪ ওভার) (আব্দুল্লা শহীদ ৩০; শোয়েব আলী ৫/২৫)
মালদ্বীপ ১ উইকেটে বিজয়ী
২০১২ থাইল্যান্ড চিয়াং মাই[]   সিঙ্গাপুর ২১৪/৮ (৫০ ওভার); (সি. সূর্যবংশী ৪০, কে. সিন্ধে ৩৬; কিউ. সাঈদ ৩/২৭)
  বাহরাইন ১৯০ (৪৫.৪ ওভার); (এস. ইউসুফ ৩১; এ.মাহবুব ৫/২২)
সিঙ্গাপুর ২৪ রানে বিজয়ী

অংশগ্রহণকারী দল

সম্পাদনা
নির্দেশিকা
  • ১ম – চ্যাম্পিয়ন
  • ২য় – রানার্স আপ
  • ৩য় – তৃতীয় স্থান
  • এসএফ – সেমি-ফাইনাল
  • জিএস – গ্রুপ পর্ব
  • কিউ – যোগ্যতা লাভ
  •     — স্বাগতিক
দল  
১৯৯৬
 
১৯৯৮
 
২০০০
 
২০০২
 
২০০৪
 
২০০৬
 
২০০৮
 
২০১০
 
২০১২
মোট
  আফগানিস্তান ৬ষ্ঠ ৩য় ৩য় ১ম ৩য়
  বাহরাইন জিএস ৬ষ্ঠ ৭ম ১০ম
  বাংলাদেশ ১ম ১ম
  ভুটান কিউএফ ১৩শ ৮ম ১০ম
  ব্রুনাই জিএস ১৫শ
  ফিজি এসএফ
  হংকং জিএস এসএফ ২য় এসএফ জিএস ২য় ১ম ৩য় ৫ম
  ইরান জিএস ১৬শ
  জাপান জিএস জিএস জিএস
  কুয়েত জিএস জিএস ৩য় ৯ম ৮ম ৭ম ৭ম
  মালয়েশিয়া জিএস ২য় এসএফ এসএফ কিউএফ ৭ম ৬ষ্ঠ ৪র্থ ৪র্থ
  মালদ্বীপ জিএস জিএস জিএস জিএস জিএস ১৪শ ৮ম
  মিয়ানমার ১৭শ
    নেপাল জিএস জিএস এসএফ ২য় ৫ম ৪র্থ ৪র্থ ২য় ১ম
  ওমান জিএস ২য় ১১শ ৬ষ্ঠ ৬ষ্ঠ
  পাপুয়া নিউগিনি এসএফ জিএস
  কাতার জিএস ৪র্থ ৮ম ৯ম
  সৌদি আরব জিএস ১০ম ১০ম ৯ম
  সিঙ্গাপুর জিএস জিএস জিএস জিএস জিএস ৫ম ৫ম ৯ম
  থাইল্যান্ড জিএস জিএস জিএস জিএস ১২শ
  সংযুক্ত আরব আমিরাত ২য় এসএফ ১ম ১ম ১ম ১ম ২য় ৫ম ১ম

শিরোপা

সম্পাদনা
দল চ্যাম্পিয়ন রানার-আপ
  সংযুক্ত আরব আমিরাত
  বাংলাদেশ
    নেপাল
  হংকং
  আফগানিস্তান
  ওমান
  মালয়েশিয়া

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা