এশীয় রাজ শকুন

বন্য পাখির প্রজাতি

লাল মাথাওয়ালা শকুন বা এশীয় রাজ শকুন (ইংরেজি: Red-headed Vulture; বৈজ্ঞানিক নাম: Sarcogyps calvus) ভারতীয় কালো শকুন বা পন্ডিচেরী শকুন নামে পরিচিত এক ধরনের শকুনবিশেষনতুন বিশ্বে বসবাসরত রাজ শকুন এবং কালো শকুন প্রজাতির সাথে এশীয় রাজ শকুনের কোন সম্পর্ক নেই।[২]

এশীয় রাজ শকুন
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Accipitriformes
পরিবার: Accipitridae
গণ: Sarcogyps
Lesson, 1842
প্রজাতি: S. calvus
দ্বিপদী নাম
Sarcogyps calvus
(Scopoli, 1786)
Current distribution range of red headed vulture
প্রতিশব্দ
  • Aegypius calvus
  • Torgos calvus

এ প্রজাতিটি প্রাচীন বিশ্বের শকুন নামে পরিচিত যা মূলতঃ ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়া, চীন, লাওস, মালয়েশিয়া, বার্মা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামে দেখা যায়। এর কোন উপ-প্রজাতি নেই।

বিবরণ সম্পাদনা

এ প্রজাতির শকুনের আকৃতি মাঝারি মানের। এর দৈর্ঘ্য ৭৬ থেকে ৮৬ সেমি (৩০ থেকে ৩৪ ইঞ্চি), ওজন ৩.৫–৬.৩ কেজি (৭.৭–১৩.৯ পা) এবং পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৯৯–২.৬ মি (৬.৫–৮.৫ ফু)।[৩][৪] প্রাপ্তবয়স্ক এশীয় রাজ শকুনের ন্যাড়া আকৃতির মাথা সুষ্পষ্টভাবে ঘন লাল থেকে কমলা রঙের দৃশ্যমান। এটির দেহের পালকে ধূসর রঙের সাথে কাল রঙের সংমিশ্রণ ঘটেছে। লিঙ্গভেদে এ প্রজাতির শকুনে চোখের রঙে ভিন্নতা দেখা দেয়। পুরুষজাতীয় এশীয় রাজ শকুনের কর্ণিয়া সাদাটে এবং স্ত্রী শকুনের ঘন বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে।[৫]

আবাসস্থল সম্পাদনা

জাকালো মুখশ্রীর অধিকারী এ প্রজাতির শকুনটি ঐতিহাসিকভাবে সাংখ্যিকতার বিচারে সমৃদ্ধ ছিল। ভারত উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারত থেকে সিঙ্গাপুরে বিস্তৃত পর্যায়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে এশীয় রাজ শকুন মূলতঃ ভারতের উত্তরাংশে দৃশ্যমান। সচরাচর দেশের সর্বত্র দেখা গেলেও অর্ধ-মরুভূমি এলাকায়ও এদের দেখা মেলে। এছাড়াও, পর্ণমোচী বনাঞ্চল, পাহাড়-পর্বতসহ নদীর উপত্যকার গাছপালাসমূহে দেখা যায়। সাধারণতঃ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ মিটার উঁচুতে এরা বাস করে।[৬]

প্রজনন সম্পাদনা

উঁচু গাছের ডালে পাতা দিয়ে বাসা বানায় এবং একটি মাত্র ডিম পাড়ে। ৪৫ দিনে ডিম ফোটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Sarcogyps calvus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. Ali, S. (1993). The Book of Indian Birds. Bombay: Bombay Natural History Society. আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৩৭৩১-৩.
  3. WWF- Red-headed Vulture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ এপ্রিল ২০১১ তারিখে (2011).
  4. Raptors of the World by Ferguson-Lees, Christie, Franklin, Mead & Burton. Houghton Mifflin (2001), আইএসবিএন ০-৬১৮-১২৭৬২-৩
  5. Naoroji, Rishad (2006). Birds of Prey of the indian subcontinent. pp. 282–287.
  6. Ferguson-Lees, James; David A. Christie (2001-09-17). Raptors of the world. Houghton Mifflin Harcourt. pp. 443–444. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬১৮-১২৭৬২-৭.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা