এশীয় কালো ভাল্লুক

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

কালো ভালুক[] বা এশীয় কালো ভাল্লুক এশিয়াআমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যায়। এই ভাল্লুকের আকার মাঝারি। এই ভাল্লুকের গলায় সাদা V আকারের দাগ আছে। এই ভাল্লুক চাঁদ ভাল্লুক নামেও পরিচিত। এই ভাল্লুক বিভিন্ন প্রকার। এশিয়াআমেরিকা মহাদেশের ভাল্লুকের প্রজাতি আলাদা।

এশীয় কালো ভাল্লুক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: মাংশাশী
পরিবার: Ursidae
গণ: Ursus
প্রজাতি: U. thibetanus
উপপ্রজাতি: See text
দ্বিপদী নাম
Ursus thibetanus
(G. Cuvier, 1823)
Asian black bear range
(brown – extant, black – extinct, dark grey – presence uncertain)
প্রতিশব্দ

Selenarctos thibetanus
Ursus torquatus (Blandford 1888)

বৈশিষ্ট্য ও আচরণ

সম্পাদনা

এশীয় কালো ভাল্লুক ১.২-২ মিটার পর্যন্ত হয়।

অন্যন্য বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

এরা অনেক অলস প্রকৃতির ভাল্লুক। তবে এরা যখন মারামারি করতে যায় তখন এদের অনেকক্ষন পর্যন্ত শক্তি থাকে।

অবস্থা

সম্পাদনা

আইইউসিএন প্রধানত বনায়ন ধ্বংস এবং এদের দেহখণ্ডের জন্য শিকারের কারণে এদেরকে সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করে।[] বাংলাদেশে কালো ভাল্লুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত[] এবং বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[]

আঞ্চলিক ভাষায়

সম্পাদনা

উপপ্রজাতি

সম্পাদনা
এশীয় কালো ভাল্লুকের উপপ্রজাতি
উপপ্রজাতির নাম আবাসস্থল বর্ণনা
Ursus thibetanus formosanus Swinhoe, 1864
 
তাইওয়ান এদের ঘাড়ে অন্য উপপ্রজাতির মতো ঘণ পশম থাকে না। []
Ursus thibetanus gedrosianus Blanford, 1877 ইরান ও পাকিস্তান ক্ষুদ্রতর উপপ্রজাতি। এদের লোম নাতিদীর্ঘ ও ঘন। লোম কালোর বদলে লালচে-খয়েরি রঙের হয়। []
Ursus thibetanus japonicus Schlegel, 1857
 
জাপানের হনশু, কিউশু, হোক্কাইডো ও শিকোকু। ক্ষুদ্রতর উপপ্রজাতি। এদের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ওজন ৬০-১২০ কেজি ও নারীদের ওজন ৪০-১০০ কেজি হয়। এরা দৈর্ঘে ১১০-১৪০ সেমি হয়। [১০] এদের ঘাড়েও ঘন পশম থাকে না। নাক কালচে রঙের হয়।[]
Ursus thibetanus laniger Pocock, 1932 আফগানিস্তান, দক্ষিণ-প্যররব ইরান, ও দক্ষিণ চীন।
Ursus thibetanus mupinensis Heude, 1901 হিমালয় ও ইন্দোচীন।
Ursus thibetanus thibetanus Cuvier, 1823
Ursus thibetanus ussuricus Heude, 1901 দক্ষিণ সাইবেরিয়া, উত্তরপূর্ব চীন, কোরীয় উপদ্বীপ। বৃহত্তম উপপ্রজাতি[][১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Garshelis, D. L. & Steinmetz, R. (IUCN SSC Bear Specialist Group) (২০০৮)। "Ursus thibetanus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2014.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন 
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৭
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: স্তন্যপায়ী, খণ্ড: ২৭ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৫৭-১৫৮।
  4. STERNDALE'S MAMMALIA OF INDIA, A New and Abridged Edition, thoroughly revised and with an Appendix on the Reptilia by Frank Finn, B.A., F.Z.S. Late Deputy Superintendent Indian Museum, Calcutta, 1929
  5. Bullet and Shot in Indian Forest, Plain and Hill. with Hints to Beginners in Indian Shooting, Author C. E. M. Russell, Publisher READ BOOKS, 2008 আইএসবিএন ১-৪৪৩৭-৬৬২০-৮
  6. Hindu-Koh: Wanderings and Wild Sport on and Beyond the Himalayas (1853-1854), by Donald Macintyre, Published by Asian Educational Services, 1996, আইএসবিএন ৮১-২০৬-০৮৫১-৮
  7. The Moon Bear as a symbol of Yama: Its significance in the folklore and upland hunting in Japan. Catherine Knight, Independent Scholar
  8. [১]
  9. Ursus thibetanus (G. Cuvier, 1823)
  10. Status and management of the Asiatic black bear in Japan from Status and management of the Asiatic black bear in Japan by Toshihiro Hazumi in Asiatic Black Bear Conservation Action Plan, chapter 10 of Bears: Status Survey and Conservation Action Plan compiled by Christopher Servheen, Stephen Herrero and Bernard Peyton, published by IUCN/SSC Bear Specialist Group
  11. Mammals of the Soviet Union Vol.II Part 1a, Sirenia and Carnivora (Sea cows; Wolves and Bears), V.G Heptner and N.P Naumov editors, Science Publishers, Inc. USA. 1998. আইএসবিএন ১-৮৮৬১০৬-৮১-৯

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা