এর্নস্ট আবি

জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী

এর্নস্ট কার্ল আবি (২৩ জানুয়ারি ১৮৪০ – ১৪ জানুয়ারি ১৯০৫) ছিলেন একজন জার্মান পদার্থবিদ, আলোক প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা ও সামাজিক পুনর্গঠনকারী। অটো স্কট ও কার্ল জিসের সাথে তিনি অনেক আলোক সরঞ্জাম তৈরি করেছেন। তিনি কার্ল জিস এজি এর সহ-মালিক ছিলেন। এ জার্মান প্রতিষ্ঠানটি বৈজ্ঞানিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র, জৌতির্বিদ্যার দূরবীক্ষণ যন্ত্র, প্লানেটারিয়াম ও অন্যান্য উন্নত আলোক প্রযুক্তি প্রস্তুত করতো।

এর্নস্ট কার্ল আবি
জন্ম(১৮৪০-০১-২৩)২৩ জানুয়ারি ১৮৪০
মৃত্যু১৪ জানুয়ারি ১৯০৫(1905-01-14) (বয়স ৬৪)
জাতীয়তাজার্মান
মাতৃশিক্ষায়তনগটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়
জেনা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণঅ্যাবে প্রতিসরাংক-মাপক
অ্যাবে সংখ্যা
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহজেনা বিশ্ববিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টাউইলহেম এডওয়ার্ড ভেবার
কার্ল স্নেল
ডক্টরেট শিক্ষার্থীহেনরিক ফ্রেডরিক উইবি
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীগট্‌লব ফ্রেগে

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

 
Else Snell

আবি ২৩ জানুয়ারি ১৮৪০ সালে এসেনাক, স্যাক্স-ভিমার-এসেনাকে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা জর্জ অ্যাডাম আবি ও মাতা এলিজাবেথ ক্রিস্টিনা বার্চফেল্ট।[২] তিনি একটি সম্ভান্ত পরিবার থেকে এসেছেন — তার বাবা ছিলেন স্পিনারির পরিচালক। তার পিতার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান এবং এসেনাক জিমনেশিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ভালো নম্বরে উত্তীর্ণ হন, সেখান থেকে তিনি ১৮৫৭ সালে স্নাতক লাভ করেন।[৩] স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হবার পর থেকেই তার বৈজ্ঞানিক মেধা ও এই ঘরানায় তার ইচ্ছাশক্তি প্রকাশ পেতে থাকে। তাই, পরিবারের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও, আবি'র বাবা তার জেনা বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৭-১৮৫৯) ও গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৮৫৯-১৮৬১) উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেন।[১] ছাত্রাবস্থায় নিজের আর্থিক সংগতির জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র পড়িয়েছেন। অন্যদিকে তার পিতার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে সহায়তা করা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৩ মার্চ ১৮৬১ তে আবি গটিঙেনে পিএইচডি অর্জন করেন। [৩] স্কুলে থাকতে তিনি গটিঙেন সপ্তকের [[বের্নহার্ট রিমান ]] এবং উইলহেম এডওয়ার্ড উইবার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।[৪] ৮ আগষ্ট ১৮৬৩ সালে, তিনি জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৮৭০ এ, তিনি জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, বলবিদ্যাগণিত এর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে স্বারক স্বাক্ষর করেন।[১][৫] ১৮৭১ সালে তিনি তার শিক্ষকদের একজন, গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানি কার্ল স্নেলের মেয়ে এলস স্নেলকে বিয়ে করেন, [nb ১] এলস স্নেলের সংসারে তার দুই কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।[২] ১৮৭৯ সালে তিনি পূর্ণাঙ্গ প্রফেসর পদবী পান।[২] তিনি জেনা মানমন্দিরের পরিচালক হন ১৮৭৮ সালে।[৫][nb ২] ১৮৮৯ এ তিনি ব্যাভারিয়ান বিজ্ঞান ও মানবিক একাডেমির সদস্য হন। তিনি স্যাক্সন বিজ্ঞান একাডেমিরও সদস্য ছিলেন। ১৮৯১ সালে জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। আবি ১৪ জানুয়ারি ১৯০৫ এ জেনায় মারা যান।[১] তিনি নাস্তিক ছিলেন।[৬]

জীবন কর্ম সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

নোট সম্পাদনা

  1. কিছু সুত্র অনুসারে তার স্ত্রীর নাম এলিজাবেথ[২]
  2. জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যোগদানের তারিখ বিভিন্ন সুত্র বিভিন্ন ভাবে প্রদান করেছে। তাই এখানে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। যা কিছুটা এরকমঃ ১৮৭০: বলবিদ্যা ও ফলিত পদার্থবিদ্যার সহকারী প্রভাষক; ১৮৭৩: সহকারী অধ্যাপক; ১৮৭৭: জেনা মানমন্দির ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক।[২]

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. Blasius 1953, পৃ. 2–3
  2. Debus এবং অন্যান্য 1968, পৃ. 2
  3. Günther 1970, পৃ. 6
  4. Günther 1970, পৃ. 7
  5. Hoiberg 2010, পৃ. 11
  6. Joseph McCabe (1945).

আরো পড়া সম্পাদনা

  • সেলা, অ্যান্ড্রিয়া (নভেম্বর ২০০৮)। "অ্যাবে প্রতিসরাংক-মাপক"রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি। ক্যামিস্ট্রি ওয়ার্ল্ড। পৃষ্ঠা ৬৭। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫ 

বহিসংযোগ সম্পাদনা