এম শামসুল হক
মেজর জেনারেল (অবঃ) এম শামসুল হক (১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১-২১ নভেম্বর ২০১৫) জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ, সেনাকর্মকর্তা, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন।[১][২]
মেজর জেনারেল (অবঃ) এম শামসুল হক | |
---|---|
![]() | |
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯০ | |
মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮২ – ১৯৯০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ চাঁদপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২১ নভেম্বর ২০১৫ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা। |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ![]() |
শাখা | ![]() |
পদ | ![]() ![]() |
কমান্ড |
|
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
এম শামসুল হক ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ সালে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৩]
সামরিক ও রাজনৈতিক জীবনসম্পাদনা
এম শামসুল হক ১৯৫৬ সালে এমবিবিএস পাস করে একই সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা সেনানিবাসের ইস্ট পাকিস্তান এয়ারফোর্স ব্যাজে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর চলে যান গ্রামের বাড়িতে। এপ্রিল মাসে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। জেনারেল ওসমানী সেনাবাহিনীর জন্য পৃথক মেডিকেল কোর গঠন করলে ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে তাকে দায়িত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল কোরের প্রথম মহাপরিচালক নিযুক্ত হয়ে ৫ এপ্রিল ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ১১ বছর দায়িত্বে পালন করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে চাঁদপুর-২ আসন থেকে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২] মার্চ ১৯৮২ সাল থেকে ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৯ বছর বিভিন্ন সময়ে তিনি স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা, সমাজকল্যাণ, বাণিজ্য, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
পারিবারিক জীবনসম্পাদনা
এম শামসুল হক বিবাহিত ছিলেন। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। তার বড় ছেলে জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল হক এবং ছোট ছেলে আনিসুল হক হলেন শিল্পপতি।[৩]
মৃত্যুসম্পাদনা
এম. শামসুল হক ২১ নভেম্বর ২০১৫ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ (এএফএমসি) অডিটোরিয়ামের নতুন নামকরণ করা হয়েছে 'মেজর জেনারেল এম শামসুল হক অডিটোরিয়াম'।[৩]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ "সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল শামসুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত | শেষের পাতা | :: চাঁদপুর কন্ঠ ::"। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। ২২ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "প্রথম মেজর জেনারেল মতলব উত্তরের এম শামসুল হক ॥ এবার সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ"। চাঁদপুর পোস্ট। ২১ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।