এম. এ. আজিজ (নির্বাচন কমিশনার)
এম. এ. আজিজ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। [১][২][৩]
এম. এ. আজিজ | |
---|---|
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার | |
কাজের মেয়াদ ২২ মে ২০০২ – ২১ জানুয়ারি ২০০৭ | |
পূর্বসূরী | এম এ সাঈদ |
উত্তরসূরী | এ.টি.এম. শামসুল হুদা |
সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আগৈলঝাড়া , বরিশাল, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | সরকারি কর্মচারী |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাএম. এ. আজিজ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং ১৯৫৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬১ সালে ইতিহাসে স্নাতক এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দি হোনোৱাৰিলে সোসাইটি অফ টি ইনার টেম্পলে আইনজীবী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। তিনি হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেছিলেন। [৪][৫][৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাএম. এ. আজিজ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। [৪] জানুয়ারী ২০০৪ সালে তাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পদোন্নতি দেওয়া হয়। [৭] ২২ মে ২০০২ সালে তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন। [৪] বিরোধী দলগুলি বিশ্বাস করেনি যে তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। এজন্য তার পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। [৮][৯][১০]
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার অবস্থান গ্রহণ না করায় আজিজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। [৫][১১][১২][১৩] তার আমলে ভোটার তালিকা তৈরির বিষয়টি বিতর্কিত হয়েছিল, কারণ এতে পক্ষপাতদুষ্ট ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেন, সংবাদ মাধ্যমের দাবি করে যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেতেই দেখা করেছেন।[১৪] তার পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. টি. ম. শামসুল হুদা।[১৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bari, M. Ehteshamul (২০১৭)। States of Emergency and the Law: The Experience of Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781351685917। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Khan, Sonia Zaman (২০১৭)। The Politics and Law of Democratic Transition: Caretaker Government in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781351860246। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Protesters blockade Bangladeshi capital - Asia - Pacific - International Herald Tribune"। The New York Times। ১২ অক্টোবর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "Justice MA Aziz new CEC, 1st Ld"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Justice Aziz becomes CEC"। archive.thedailystar.net। The Daily Star। ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh poll chief to stay on"। ৬ নভেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Justice Aziz elevated to Appellate Division"। archive.thedailystar.net। The Daily Star। ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Thousands of Marchers Demand Bangladesh Election Reform"। Voice of America (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "BD opposition resents CEC appointment"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Man killed in Bangladesh riots"। www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Justice MA Aziz Resigns As Chief Election Commissioner"। ভিওএ। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "CEC MA Aziz resigns, finally"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh's election panel chief resigns"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ জানুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Ex-CEC MA Aziz out to get BNP nomination?"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh's CEC takes oath with two tasks on agenda"। en.people.cn। ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।