এম এ আজিজ স্টেডিয়াম
স্থানাঙ্ক: ২২°২০′৪৫″ উত্তর ৯১°৪৯′২৭″ পূর্ব / ২২.৩৪৫৯৪১২° উত্তর ৯১.৮২৪২২৬৬° পূর্ব
এম এ আজিজ স্টেডিয়াম (চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত) চট্টগ্রামের প্রধান স্টেডিয়াম। স্থানীয় ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচ এই মাঠে খেলা হয়। এই স্টেডিয়ামের মোট ধারণ ক্ষমতা ২০,০০০। এই স্টেডিয়ামটি ১৯৭৭ সালে তৈরি করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে একটি সদর দফতর তৈরি করা হয়েছিল। ক্রিকেটে চট্টগ্রাম শহরের ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলী | |
---|---|
অবস্থান | চট্টগ্রাম |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৭ |
ধারন ক্ষমতা | ২০,০০০ |
স্বত্ত্বাধিকারী | চট্টগ্রাম বিভাগ |
পরিচালনায় | বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মোহামেডান, চট্টগ্রাম আবাহনী |
অন্যান্য | চট্টগ্রাম মোহামেডান (ফুটবল) চট্টগ্রাম আবাহনী (ফুটবল) চিটাগং কিংস (ক্রিকেট) |
প্রান্ত | |
পেডরোলো প্রান্ত ইস্পাহানি প্রান্ত | |
আন্তর্জাতিক তথ্যাবলী | |
প্রথম টেস্ট | ১৫ নভেম্বর ২০০১: বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে |
শেষ টেস্ট | ৬ জানু - ১০ জানু ২০০৫: বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে |
প্রথম ওডিআই | ২৭ অক্টোবর ১৯৮৮: বাংলাদেশ বনাম ভারত |
শেষ ওডিআই | ২৬ জানুয়ারী ২০০৫: বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে |
০৯ ডিসেম্বর ২০১২ অনুযায়ী উৎস: ক্রিকইনফো |
ইতিহাসসম্পাদনা
বিনু মানকড়ের অধীনে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল ১লা জানুয়ারি ১৯৫৫ তারিখে এই নবনির্মিত স্টেডিয়ামে খেলতে আসে। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্পোর্টস ফেডারেশন। তখন এই স্টেডিয়ামের নাম ছিল নিয়াজ স্টেডিয়াম তদানীন্তন জেলা প্রশাসকের নামে, যিনি এই স্টেডিয়াম তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। তখন এই পার্বত্য অঞ্চলের নাম ছিল জঙ্গলি পল্টন, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম রাখা হয়। বিনু মানকড়ের দলের পর এই স্টেডিয়াম এমসিসির ডোনাল্ড কার-কে স্বাগত জানায়। এমসিসি পরবর্তীতে দ্বিতীয়বারও আসে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। ১৯৭৬-৭৭ সালে এই স্টেডিয়ামের নাম চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্টেডিয়াম করা হয়।
১৯৫৭-৫৮ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ আন্তঃকলেজ ক্রিকেটের ফাইনালে জগন্নাথ কলেজের মুখোমুখি হয়। চট্টগ্রাম টীম ফাইনালে হেরে যায়। আউটার স্টেডিয়ামে স্টার যুব টুর্নামেন্ট এবং স্টার সামার টুর্নামেন্টও আয়োজন করা হয়। ইস্ট বেঙ্গল টীম-ও খেলতে আসে। ৮০-র দশকে ক্রিকেট আসগর, আবেদিন এবং ইস্পাহানী পরিবারের দখলে ছিল। অনেক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় যেমনঃ আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন এবং নুরুল আবেদীনেরর মত খেলোয়াড় এই স্টেডিয়ামে খেলে তাদের খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে স্টার যুব টুর্নামেন্ট এবং স্টার সামার টুর্নামেন্ট আয়োজন বন্ধ করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচসম্পাদনা
এই স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ান-ডে ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ২৭-ই অক্টোবর উইলস এশিয়া কাপে। এই টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ উভয় ম্যাচ যথাক্রমে ৯ উইকেটে এবং ১৭৩ রানে হেরে যায়। বাংলাদেশ এই মাঠে মোট ৭টি টেস্ট ও ৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে। এই স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেক হয় ১৫ নভেম্বর ২০০১ সালে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে মধ্যে। এটি ক্রিকেট বিশ্বের ৮২তম টেস্ট মাঠ।
২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ তাদের ৩৫-তম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। যা ছিল তাদের সর্বপ্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়। সিরিজের প্রথম টেস্টে, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ২২৬ রানে পরাজিত করে।
এই স্টেডিয়ামটি বর্তমানে ফুটবল এসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের আসল ভেন্যু।
বিপিএল ২০১৩সম্পাদনা
অনেক বছরের পর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে। তাহল ২০১৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। হোম দল চিটাগং কিংস এখানে ৪টি ম্যাচ খেলে।[১] ২৫শে জানুয়ারি থেকে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে মোট ১০টি ম্যাচ খেলা হয়।[২]
আরো দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ {{cite web|url=http://www.espncricinfo.com/bangladesh/content/story/586397.html%7Ctitle=BPL 2013 to kick off on January 17|date=11 October 2012|publisher=Cricinfo|accessdate=2012-10-31}}
- ↑ "BPL Fixtures and schedule"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৭।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)