এবং হিমু...
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে হিমু অন্যতম।[১][২] নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। এবং হিমু উপন্যাসটি হিমু চরিত্রের ৫ম উপন্যাস।
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধারাবাহিক | হিমু |
মুক্তির সংখ্যা | ৫ |
বিষয় | হিমু, মহাপুরুষ |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশিত | বইমেলা ১৯৯৫ |
প্রকাশক | সময় প্রকাশন, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা। |
প্রকাশনার তারিখ | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (হার্ডকভার) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৮০ |
আইএসবিএন | ৯৮৪ ৪৫৮ ০৯৮ ৬ |
পূর্ববর্তী বই | পারাপার |
পরবর্তী বই | হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম |
হিমু ধারাবাহিকের একটি উপন্যাস |
বইটি ১৯৯৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশনা সংস্থাঃ সময় প্রকাশন, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা।
হিমু
সম্পাদনাহিমু মূলত একজন বেকার যুবক; যার আচরণে বেখেয়ালী, জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ পায়। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার অস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝে ভবিষ্যদ্বাণী করে মানুষকে চমকে দেয়।[৩] উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙ্গালী তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- হিমু
- বাদল – হিমুর ফুফাত ভাই
- ইরা– হিমুর ফুফুর খালাত ভাইয়ের বড় মেয়ে
- বদরুল—হিমুর মেসের বাসিন্দা
- রূপা– হিমুর বান্ধবী
- রেশমা খালা– হিমুর খালা
কাহিনীসংক্ষেপ
সম্পাদনারাত একটা; হিমু হেঁটে চলেছে রাস্তায়। তার প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে কিন্তু সে পড়েছে রূপার দেয়া পকেটবিহীন পাঞ্জাবী। এক সময় সে তার ফুফুর বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে মাছের কাটা ফুটায় তার ফুফাত ভাই বাদল না খেয়ে রয়েছে। বাদলের বিশ্বাস একমাত্র হিমুই পারে তার কাটা দূর করে দিতে। এক পর্যায়ে বাদলের কাটা দূর করে হিমু কিন্তু হিমুর কারণেই যে তা হয়েছে অবিশ্বাস করে ইরা। বাদল চায় একদিনের জন্য হলেও যেন ইরা হিমু হয়ে যায়।
একদিন হিমুর সাথে দেখা হয় রেশমা খালার। তারও রয়েছে এক সমস্যা। সে নাকি তার মৃত স্বামীকে দেখতে পায়।
অন্যদিকে ম্যাসে তার পাসের রুমের বদরুল সাহেবের চাকরি নেই কয়েক মাস। বদরুল সাহেব তার ছোটবেলার বন্ধু ইয়াকুব সাহেবের কাছে যায় চাকরির জন্য কিন্তু সে তাকে চাকরি দেয় না। হিমু তার চাকরির জন্য রূপাকে বলে। রূপা ঠিকই চাকরি যোগার করে বদরুল সাহেবের জন্য কিন্তু প্রথমে ইয়াকুব সাহেবের কাছে চাকরি না পাওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার বলে ৫০-৫০ চান্স। বদরুল সাহেবকে হাসপাতালে রেখেই হাঁটতে বেরোয় হিমু তার পাশে থাকে ইরা। তার হাত ধরতে চায় ইরা।
কিন্তু হিমুরা কখনো কারো হাত ধরে না।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রশান্ত ত্রপিুরা (জুলাই ২১, ২০১৩)। "Humayun Ahmed, Himu and identity conflicts in Bangladesh"। bdnews24.com। ঢাকা। ৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ "হিমু ধারাবাহিক"। goodreads.com (ইংরেজি ভাষায়)। গুডরিড্স। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ তুষার তালুকদার (আগস্ট ১১, ২০১২)। "Humayun Ahmed and his stories"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]