এনিগমা (জার্মান ব্যান্ড)
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হল: অনুবাদ করে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সাজাতে হবে। (নভেম্বর ২০১৩) |
উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্মত অবস্থায় আনতে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদের উইকিকরণ প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত আন্তঃসংযোগ প্রয়োগের মাধ্যমে নিবন্ধের উন্নয়নে সহায়তা করুন। |
ইনিগমা (ইংরেজি: Enigma) একটি ইলেকট্রনিক মিউজিক্যাল প্রজেক্ট, মাইকেল ক্রিটু ও তার স্ত্রী স্যান্ড্রা ক্রিটু, ডেভিড ফেয়ারস্টেন এবং ফ্রান্ক পিটারসন ১৯৯০ সালে এটি চালু করেন। মাইকেল ক্রিটু একজন সুরকার ও পরিচালক, তার স্ত্রী প্রয়শঃই তাদের গান সমূহে কন্ঠ দিয়ে থাকেন। এই জুটি স্যান্ড্রা নামে একসংগে কাজ করেছেন এবং তাদের প্রজেক্টটি হতে ৬টি স্টুডিও এলবাম বের হয়।
ইনিগমা | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | জার্মানি |
ধরন | ওয়ার্ল্ডবীট নিউ এইজ[১] ডাউনটেম্পো ইলেকট্রোনিকা |
কার্যকাল | ১৯৯০–বর্তমান |
লেবেল | ভার্জিন ইএমআই কারিজমা |
সদস্য | Michael Cretu Andru Donalds |
প্রাক্তন সদস্য | দেখুন: প্রাক্তন সদস্যসমূহ |
ওয়েবসাইট | www www |
Enigma ব্যান্ডটি শ্রোতারের কাছে জনপ্রিয় তাদের সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী স্টাইলের জন্য। সবকিছুতেই এক নতুনের ছোঁয়া এনে দিয়েছিল তারা। তাদের কারণেই Enigmatic Music নামে জন রা (Genre) শুরু হয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। এই ব্যান্ডের যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালে। Michael Cretu, David Fairstein and Frank Peterson ছিলেন এই ব্যান্ডের মূল চালিকাশক্তি। অবশ্য Cretu এর স্ত্রীও বেশ কিছু গানে কন্ঠ দিয়েছেন।
রোমানিয়ান Cretu যদিও বেশ আগে থেকেই গানের জগতে ছিলেন কিন্তু Enigma এর মাধ্যমেই তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পান। তার স্ত্রীর (Sandra) বেশ কিছু সিঙ্গেলস জনপ্রিয় হয়েছিল, যেমন Maria Magdalena গানটি ২১ দেশে নাম্বার ওয়ান হয়েছিল এক সময়।
MCMXC a.D
এটি রিলিজ হয় ১৯৯০ সালে। MXMXC a.D (রোমানিয়ান ভাষায় ১৯৯০) নামের এই কনসেপ্ট অ্যালবামটি করার প্রেরণা তারা পান Art of Noise and Pink Floyd এর কাছ থেকে। নতুন ঘরানার গানের ভুবনে এটিকে অন্যতম সেরা বলে এখনো বিবেচনা করা হয়। যৌনতা আর ধর্ম এই অ্যালবামের প্রধান থিম। Sadness I গানটিতে Marquis de Sade নামক অষ্টাদশ শতাব্দীর দার্শনিকের (পর্নগ্রাফিক দার্শনিকও বলা যেতে পারে, Sadism শব্দটি তার নাম থেকেই উৎপত্তি) বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। এছাড়া খ্রীস্টান ধর্ম ও মহাবিশ্বের সমাপ্তি বিষয়গুলোও উঠে এসেছে বিভিন্ন গানের ফাঁকে ফাঁকে। Principles of Lust (Sadness এর প্রথম অংশ) গানটিতে গ্রেগরিয়ান চ্যান্ট (দশম শতাব্দীর ধর্মীয় অনুষ্টান) আর ড্রামের মিলন ঘটানো হয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সম্ভবত প্রথমবারের জন্য। গ্রেগরিয়ান চ্যান্ট, অপেরা মিউজিশিয়ান, ফ্রেঞ্চ ভোকাল, জাপানি Shakuhachi বাঁশি, Sandra এর মোলায়েল ব্যাকগ্রাউন্ড, অ্যারাবিয়ান স্টাইলের সংযোজন, Book of Revelation (Revelation of Jesus Christ নামেও পরিচিত, ধর্মীয় গ্রন্থ) থেকে অংশবিশেষের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে অ্যালবামটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় নতুন একটি ধারার সূচনার জন্য। ৪১ টি দেশে এই অ্যালবামটি সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল সে সময়ে। আমেরিকান বিলবোর্ড ২০০ এ সর্বমোট ২৮২ সপ্তাহ জুড়ে দাপটে রাজত্ব করে। অ্যালবামটি ডাবল প্ল্যাটিনাম উপাধি অর্জন করে USA তে। Sadness I জার্মানিতে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত সিঙ্গেলসের খ্যাতি পায়। দুইটি মুভিতে (Single White Female and Boxing Helena) এখান থেকে কিছু গান ইউজ করা করা হয়।
অবশ্য এই অ্যালবামটি কয়েকটি দেশে ব্যান করা হয়েছিল। গ্রেগরিয়ান চ্যান্ট ব্যবহারের জন্য একটি ধর্মীয় গ্রুপকে বিশাল অঙ্কের জরিমানাও দিতে হয় তাদের। Principles of Lust গানটির মিউজিক ভিডিও প্রচার করা বন্ধ করে দেয় MTV. কিছু সমালোচক ব্লাশফেমি বলে আখ্যা দেয় গানগুলোকে। ডাচ ন্যাশনাল রেডিও তিনটি বম্ব অ্যাটাকের হুমকিও পেয়েছিল। তারপরও সাধারণ শ্রোতাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয় অ্যালবামটি। Cretu রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন “MCMXC a.D. was like revenge against everything I was hearing. I didn't want to write songs, I wanted to write moods”. নিজেকে একজন নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন “The institution of the Church doesn't really fit with our times. I believe in destiny, which is a much more powerful belief”.
Principles of lust
Find Love
The Cross of Changes
১৯৯৩ সালে এটি রিলিজ হয়। এই অ্যালবামের Return to Innocence গানটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। এই গানটি বেশ কিছু মুভিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথম অ্যালবামে ব্যবহার করা গ্রেগরিয়ান চ্যান্ট বাদ দিয়ে এখানে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আদি চ্যান্ট ব্যবহার করেন। যেমন উপরে উল্লেখ করা গানটিতে Ami Chant ( আদি তাইওয়ানিজ) ব্যবহার করা হয়। দশ থেকে বারো মিলিয়ন কপি বক্রি হয়েছিল এই অ্যালবামের। I Love You, I'll Kill You গানটি লেড জেপলিনের The Battle of Evermore গানটির ধাঁচে করা। Sliver ছবিটির "Carly's Song" and "Carly's Loneliness গানদুটি (Cretu কর্তৃক লিখিত) মিলে Age of Loneliness গানটি করা হয়। ইউ২, জেনেসিস, জন বোনহ্যাম, পিটার গ্যাব্রিয়েল থেকেও কিছু মিউজিক ধার নেয়া হয়েছে। Vangelis Papathanassiou ( গ্রিক কম্পোজার, ২০০২ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ থিমের কম্পোজার) এর করা নাসার মার্স ওডেসি মিশনের (২০০১) থিম মিউজিকটিরও কিছু অংশ The Eyes of Truth এ ব্যবহার করা হয়।
Le Roi Est Mort, Vive Le Roi!
ফ্রেঞ্চ ভাষায় Le Roi Est Mort, Vive Le Roi! মানে হচ্ছে The King is Dead, Long Live the King! (১৪৪২ সালে প্রথমবারের মত ফ্রান্সে চালু হয়)। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যালবামটি সেই সময়ে পুরো ইউরোপে ৩য় স্থান দখল করে। এই অ্যালবামটিকে ধরা হয় প্রথম দুটি অ্যালবামের ব্রেইন চাইল্ড হিসেবে যার ইঙ্গিত দেয়া হয় Third of Its Kind গানটিতে। এটি ১৯৯৮ সালে গ্র্যামি আওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল। গ্রেগরিয়ান আর ট্রাইবাল চ্যান্টের প্রভাব এই অ্যালবামটিতেও দেখা যায়। এছাড়া মহাশূন্য অভিযানের কিছু সাউন্ডের ইউজও লক্ষনীয়। Beyond the Invisible গানে ল্যাটভিয়ান চ্যান্ট ব্যবহার করা হয়। এই গানটির মিউজিক ভিডিওটি ইউকে তে ধারণ করা। ফ্রেঞ্চ আইস স্কেটিং দম্পত্তিকে দিয়ে করা ভিডিওটির জন্য আলাদাভাবে আইস স্কেটিং মাঠের ব্যবস্থা করা হয়।
TNT for the Brain
Beyond the Invisible The Screen Behind the Mirror এটিকে Enigma র বেশ ম্যাচিউরড অ্যালবাম হিসেবে ধারণা করা হয়। মডার্ন থিমের আধিক্যও নজরে পরে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পরে এ অ্যালবামটি সমালোচনার মুখে পরে জার্মান কম্পোজার Carl Orff এর Carmina Burana (যা ১৮০৩ সালে ব্যাভারিয়ান মনাসটারি থেকে উদ্ধার করা Burana Codex, যাতে ১১৯ টি পাতার উপরে সর্বমোট ২২৮ টি কবিতা ছিল যার রচনাকাল ধরা হয় ১২০০ থেকে ১২৩০ সাল, এর কিছু কবিতা নিয়ে কম্পোজ করা) সংকলনের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য (১১ টি গানের মাঝে ৪ টিতে বব্যহার করা হয়েছিল)। Vangelis Papathanassiou এর একটি গানের ধাঁচে অ্যালবামটি শুরু হয়। জাপানি Shakuhachi বাঁশি আবারো এই অ্যালবামে ইউজ করা হয়। তাছাড়া গ্রেগরিয়ান চ্যান্টের রিভার্সও লক্ষনীয়। বিখ্যাত পাঁচ এলিমেন্টের দুইটির (আগুন ও পানি) সিম্বোলাইজ করা হয় একটি গানে। Gravity of Love গানটিতে লেড জেপলিনের একটি গানের ড্রামস ব্যবহার করা হয়। এই গানের মিউজিক ভিডিওটি ১৯৩০ সালের একটি মাসকারেড বলের (Masquerade ball, মুখোসসহ পার্টি) কাহিনী দেখানো হয়। Push the limit গানের মিউজিক ভিডিওতে দেখানো হয় এক ছেলে তার বান্ধবীকে নিয়ে কম্পিউটার গেম খেলতে বসে (তলোয়ার যুদ্ধ)। একই সাথে ব্যাকগ্রান্ডে মাঝে মাঝে দেখানো হয় তারা পরস্পরকে আদর করছে আর তলোয়ার যুদ্ধে একে অন্যকে আক্রমণ করে যাচ্ছে; আবার গেমের মধ্যে একে অপরকে আঘাত করে বাস্তবে অবাক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। ৫ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয় এই অ্যালবামের। Push the limit Silence must be heard Voyageur
২০০৪ সালে রিলিজ হওয়া এই অ্যালবামে আগের চারটি অ্যালবামের কোন রেশ পাওয়া যায়নি। জাপানি Shakuhachi বাঁশি, গ্রেগরিয়ান বা অন্য কোন চ্যান্ট সম্পূর্ণ অনুপস্থিত এই অ্যালবামে। এটি তাদের সবচেয়ে দীর্ঘ অ্যালবামও বটে। মানুষের দৈনন্দিন জীবন, পারস্পরিক সম্পর্ককে ফোকাস করা হয়। এই অ্যালবামটি শ্রোতাদের কিছুটা হতাশ করে আগের কোন কিছুই খুঁজে না পেয়ে।
A Posteriori
ল্যাটিন এই শব্দটির মানে হলো after the fact যা দার্শনিকবিদ্যার epistemological শাখার অন্তর্গত। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যালবামে আগের কোন কিছুই একেবারেই খুঁজে পাওয়া যায় নি (Enigmatic Horn ছাড়া, যা আগের প্রতিটি অ্যালবামের শুরুতে ব্যবহার করা হয়েছে)। Hello and Welcome গানটি ২০০৫ সালে প্রথম রিলিজ করা হয়। এই অ্যালবামটি Cretu এর নিজস্ব মোবাইল স্টুডিও Alchemist এ রেকর্ড করা। প্রথম গান Eppur si muove (And yet it moves) গ্যালিলিওর মৃত্যুদন্ড পাওয়ার ঘটনাকে রেফার করে। প্রতিটি গান সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা আমেজ দেয়। আগের থেকে ভিন্ন ট্র্যাকে গানগুলোকে নিয়ে যাবার কারণ হিসেবে Cretu বলেন “It would bore me to death if I just copied myself over and over”. এই অ্যালবামে লিউনার্দো দ্য ভিঞ্চি থেকে শুরু করে জুলভার্ন, ইটি, অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি, ইত্যাদি অনেক কিছুর প্রসঙ্গ ফুটিয়ে তোলা হয়।
এই অ্যালবামগুলো ছাড়াও তাদের আরো বেশ কিছু সিঙ্গেলস রয়েছে, এছাড়া 15 Years After নামে একটি পুরান অ্যালবামের কালেকশন, কিছু নতুন গানসহ, ২০০৫ সালে রিলিজ হয়।
সদস্যসমূহ
সম্পাদনা
|
|
ডিস্কোগ্রাফি
সম্পাদনা- MCMXC a.D. (১৯৯০)
- The Cross of Changes (১৯৯৩)
- Le Roi est mort, vive le Roi! (১৯৯৬)
- The Screen Behind the Mirror (২০০০)
- Voyageur (২০০৩)
- A posteriori (২০০৬)
- Seven Lives Many Faces (২০০৮)
আরও দেখুন
সম্পাদনাউৎস
সম্পাদনা- অলমিউজিক জীবনচরিত এবং ডিস্কোগ্রাফি
- বিলবোর্ড.কম, জীবনী, ডিস্কোগ্রাফি এবং মার্কিন চার্ট ইতিহাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে
- রেটইউরমিউজিক.কম, জীবনী এবং ডিস্কোগ্রাফি
- ডিস্কোস.কম জীবনী এবং ডিস্কোগ্রাফি
- চার্টস্টেট.কম, ইউকে চার্ট ইতিহাস
- চার্টসেফার.দে, জার্মান চার্ট ইতিহাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুলাই ২০০৭ তারিখে
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "MUSIC REVIEW: Enigma's LSD—Electronic & Choral Avant Garde, Engima Releases Greatest Hits—The Tech"। Tech.mit.edu। ১৩ নভেম্বর ২০০১। ৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাজার্মান
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- Crocodile-Music.de (ইনিগমা ব্যবস্থাপনা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট)
- EMI Virgin Record Company (অফিসিয়াল ইনিগমা রেকর্ড কোম্পানি)
ইংরেজি
সম্পাদনা- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- EnigmaMusic (অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক ফ্যানসাইট)
- ইনিগমা প্ল্যানেট (অফিসিয়াল ইনিগমা মাইস্পেস পাতা)
- Last.Fm Profile (Music scrobbler)
- ইনিগমা সঙ্গীত টিভি (অফিসিয়াল ইনিগমা ইউটিউব চ্যানেল)
- ইনিগমা সঙ্গীত প্রকল্প (ইনিগমা সঙ্গীত প্রকল্প সম্পর্কে ওয়েবসাইট)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |