উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি

খুলনার গ্রন্থাগার

উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি দক্ষিণবঙ্গের খুলনায় অবস্থিত একটি গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারটি ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩০,০০০ সংখ্যক বই রয়েছে।[] এটি খুলনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রন্থাগার।[]

উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
দেশ বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত২ এপ্রিল ১৮৯৭; ১২৮ বছর আগে (1897-04-02)
অবস্থানঅফিসপাড়া, খুলনা
স্থানাঙ্ক২২°৪৮′৫৪″ উত্তর ৮৯°৩৪′০১″ পূর্ব / ২২.৮১৪৯৫৯° উত্তর ৮৯.৫৬৭০৭১° পূর্ব / 22.814959; 89.567071
প্রবেশাধিকার ও ব্যবহার
সদস্যআনু. ৩৫০
মানচিত্র
মানচিত্র
মানচিত্র
খুলনা শহরে উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থান

অবস্থান

সম্পাদনা

গ্রন্থাগারটি খুলনার অফিসপাড়া এলাকায় শিশু হাসপাতাল রোডে অবস্থিত। গ্রন্থাগারের সামনে খুলনা জেলা স্টেডিয়াম ও পাশে খুলনা শিশু হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখা অবস্থিত। বর্তমানে গ্রন্থাগারটি যে ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেই ভবনের নাম জাহিদ স্মৃতি ভবন[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তখনকার খুলনা শহরের কতিপয় উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ একটি ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যূ গ্রনথাঊ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। রায় বাহাদুর কিরণ চন্দ্র রায় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কিরণ চন্দ্র রায় ছিলেন নড়াইলের অন্যতম প্রতাপশালী জমিদার। তার পিতার নাম ছিল উমেশচন্দ্র রায়। সেই নামেই গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়।[]

তৎকালীন খুলনা পৌরসভার একটি ছোট ঘরে ১৮৯৭ সালের পহেলা মে গ্রন্থাগারটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৯৯ সালে পৌরসভার নতুন ভবন তৈরি হলে গ্রন্থাগারের জায়গা বৃদ্ধি পায়। ১৯৩১ সালে পৌরভবন সম্প্রসারিত হলে গ্রন্থাগারের জন্য দুটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।[]

১৯৮৩ সালে জাহিদুর রহমান নামক একজন গণ্য ব্যক্তি খুলনা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের (খুলনা শাখা) পাশে পরিত্যক্ত জমিতে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয় যার নাম দেওয়া হয় জাহিদ স্মৃতি ভবন। খুলনা পৌরসভা ও লাইব্রেরি কমিটির যৌথ সিদ্ধান্তে গ্রন্থাগারটিকে জাহিদ স্মৃতি ভবন-এ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি উমেশচন্দ্র লাইব্রেরি জাহিদ স্মৃতি ভবন-এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ফলে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৮৭ বছর পরে গ্রন্থাগারটি তার নিজস্ব পরিচিত লাভ করে। ১৯৮৩ সালের পহেলা মে খুলনা পৌর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন ও জমি লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে।[]

গ্রন্থাগারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে অল্প দিনের মধ্যেই লাইব্রেরির স্থান সংকুলানে সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৯০ সালে লাইব্রেরি ভবন অর্থাৎ জাহিদ স্মৃতি ভবন একতলা থেকে দোতলা করা হয়। বর্তমানে ভবনটি তিনতলা বিশিষ্ট। গ্রন্থাগার ভবনের নিচতলা মিলনায়তন, দোতলা গ্রন্থাগার ও পাঠকক্ষ, তিনতলায় গবেষণা পাঠকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খুলনার বিশিষ্ট ডাক্তার এম এ মানাফের ব্যক্তিগত সংগ্রহের সাত হাজার বই দিয়ে গবেষণা পাঠকক্ষ গঠন করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "১১৯ বছরে উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি"কালের কণ্ঠ। ২০১৫-০৩-০৬। ২০১৮-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৯ 
  2. সুমন্ত চক্রবর্তী (২০২০-০৩-১৪)। "খুলনার এক মেলাঘর"দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৯