উপভাষা

ভাষার বিভিন্নতা

উপভাষা কথ্য ভাষার পাশাপাশি প্রচলিত অঞ্চলবিশেষের জনগোষ্ঠী কর্তৃক ব্যবহূত আঞ্চলিক ভাষা। পৃথিবীর সর্বত্রই উপভাষার ব্যবহার রয়েছে । কথ্য ভাষার সাথে উপভাষার পার্থক্য ধ্বনি, রূপমূল, উচ্চারণ ও ব্যাকরণগত কাঠামোর মধ্যে নিহিত থাকে । উপভাষা দেশের মধ্যে কোন বিশেষ অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে । বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে বিভিন্ন উপভাষার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় স্বতন্ত্র শ্রেণির কথ্য ভাষা গড়ে উঠলেও ঢাকায় তা হয়নি; এমনকি ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ার পরেও নয়। [১]

প্রাচীন ইংরেজী উপভাষা

প্রমিত এবং অ-প্রমিত উপভাষা সম্পাদনা

প্রমিত উপভাষা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমর্থিত উপভাষা । একটি ভাষার সাথে একাধিক প্রমিত উপভাষা যুক্ত থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রমিত আমেরিকান ইংলিশ, প্রমিত ব্রিটিশ ইংলিশ, প্রমিত কানাডিয়ান ইংলিশ, প্রমিত ইন্ডিয়ান ইংলিশ, প্রমিত অস্ট্রেলিয়ান ইংলিশ এবং প্রমিত ফিলিপাইন ইংলিশ সবই ইংরেজি ভাষার প্রমিত উপভাষা হিসাবে বলা যেতে পারে।

অপ্রমিত উপভাষার প্রমিত উপভাষার মতো ব্যকরণ এবং শব্দভাণ্ডার রয়েছে তবে এটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমর্থিত নয় । অপ্রমিত ইংরেজি উপভাষার উদাহরণ দক্ষিণ আমেরিকান ইংলিশ, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ইংরাজী, নিউ ইয়র্ক ইংলিশ, নিউ ইংল্যান্ড ইংলিশ, মিড-আটলান্টিক আমেরিকান বা ফিলাডেলফিয়া / বাল্টিমোর ইংরেজি, স্কাউস, ব্রুম্মি, এবং টাইক। একে অপরের সাথে বিভিন্ন ইংরেজি উপভাষার তুলনা করার জন্য উপভাষা পরীক্ষা জোসেফ রাইট ডিজাইন করেছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "উপভাষা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২