উত্তরপাড়া
উত্তরপাড়া কোতরং বা সংক্ষেপে উত্তরপাড়া হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি শ্রীরামপুর শহরের নিকটে অবস্থিত এবং শ্রীরামপুর মহকুমার অন্তর্গত।
উত্তরপাড়া উত্তরপাড়া কোতরং | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪০′ উত্তর ৮৮°২১′ পূর্ব / ২২.৬৭° উত্তর ৮৮.৩৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | হুগলি |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ১,৫০,২০৪ |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
উত্তরপাড়া শহরের জন্মসম্পাদনা
বড়িশা-বেহালার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের জনক লক্ষ্মীকান্ত রায়চৌধুরীর বড় ছেলের নাতি রত্নেশ্বর রায়চৌধুরী (১৬৭০ - ১৭২০) শেওড়াফুলি - রাজ মনোহর রায়ের কাছ থেকে ১৭০৯ সালে চকবালির উত্তরাংশের স্বত্ব কিনে বাগানের শহররূপে উত্তরপাড়া শহরের পত্তন করেন। বড়িশার বিদ্যাধর রায়চৌধুরী (১৬৪০ - ১৭২০), যিনি জোব চার্ণক সূত্রে কলকাতার ইতিহাসগুলোয় আলোচিত হন, তিনি রত্নেশ্বরের বড় ভাই। রত্নেশ্বরই উত্তরপাড়ার আদিপুরুষ। তার বাড়ির নাম ছিল 'সাবর্ণ হাভালি', যা উনিশ শতকে পরিবর্তন করে রাখা হয় 'সাবর্ণ ভিলা'। সাবর্ণ চৌধুরীরা ভঙ্গকুলীন ছিলেন বলে তারা অন্যান্য কুলীন পরিবারের সন্তানদের জামাই করে উত্তরপাড়ায় এনে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন। জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, যিনি উত্তরপাড়াকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির জগতে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি ছিলেন সাবর্ণ চৌধুরীদের জামাই। এ-বিষয়ে যাবতীয় নথিপত্র সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের বড়িষাস্হিত সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম পেশাদার ফোটোগ্রাফার-আর্টিস্ট লক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরী, যিনি ১৮৮০ সালে লাহোর মিউজিয়ামের কিউরেটার জন লকউড কিপলিং-এর কর্মচারী ছিলেন, তিনি উত্তরপাড়া শহরের প্রতিষ্ঠাতা রত্নেশ্বর রায়চৌধুরীর বংশধর।
উত্তরপাড়া ও হাংরি আন্দোলনসম্পাদনা
বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে বাংলা সাহিত্য তোলপাড় করা হাংরি আন্দোলন নামে যে সাহিত্য - শিল্প আন্দোলন হয়েছিল, তার দুই প্রধান পরিচালক ছিলেন উত্তরপাড়ার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সন্তান। তারা হলেন সমীর রায়চৌধুরী ও মলয় রায়চৌধুরী।
জনপরিসংখ্যানসম্পাদনা
ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরপাড়া কোতরং শহরের জনসংখ্যা হল ১৫০,২০৪ জন।[১] এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%।এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে উত্তরপাড়া কোতরং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০০৬।