ই ভাষা
ই (সরলীকৃত চীনা: 诶话; প্রথাগত চীনা: 誒話; ফিনিন: Ē Huà) or ইউসি/ইউসিহুয়া (সরলীকৃত চীনা: 五色话; প্রথাগত চীনা: 五色話; ফিনিন: Wŭsè Huà; আক্ষরিক: "রঞ্জিত ভাষা") হয় একটি তাই–চাইনিজ সংমিশ্রিত ভাষা যা প্রাথমিকভাবে রঙ্গুসুই মিওয়াউ অটোনোমাস দেশে, গুয়ানঞ্জিক্সি, চীনে বলা হয়। এটি তাই ব্যাকরণ হতে চাইনিজ শব্দভাণ্ডার বাদ দিয়ে, তাই ও চাইনিজ উভয় ভাষার শব্দ বৈশিষ্ট্য বহন করে। ই হয় একটি স্বরীয় ভাষা— যা সপ্ত স্বরের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে — এবং কিছু বিরল উচ্চারণ ধারণ করে যেমন : সাধারণ আলজিহবার কাছাকাছি পার্শ্বদেশীয় এবং নাসারন্ধ্রীয় ব্যঞ্জনবর্ণ গুলোর স্বরহীন সংস্করণ।
ই ভাষা | |
---|---|
ইউসি | |
কেজাং ই | |
অঞ্চল | গুয়ানগিক্সি, চীন |
মাতৃভাষী | (১৯৯২ অনুযায়ী ৩০,০০০)[১]
|
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | eee |
গ্লোটোলগ | eeee1240 [২] |
গুয়ানগিক্সি, যেখানে স্বল্প পরিসরে ই ভাষা বলা হয়। |
শব্দ তত্ত্ব
সম্পাদনাই ভাষার অব্যবহৃত পিনয়িন- যা একটি অস্বচ্ছ নাম, যা একটি স্বয়ংক্রিয় শব্দ, যা একটি বর্ণ ই দিয়ে গঠিত হয়।[৩]এই প্রতিরূপটি সরলীকৃত চাইনিজের "诶" এবং ঐতিহ্যবাহী চাইনিজের "誒" ভাষায় লিখা, যা স্বীকৃতিসরূপ ভাব হিসেবে বোঝায়।[৪] ভাষাবক্তারা তাদের ভাষাকে "কেজাং ই" রুপেও নির্দেশ করে.[৩] ইউসিহুয়া ই ভাষার জন্য একটি মর্যাদা হানিকর নাম।[৫]
ভৌগোলিক সর্বজনিনতা
সম্পাদনা১৯৯২ সালে, ৩০,০০০ হাজার লোক ই ভাষা ব্যবহার করত,[৩] কিন্তু ২০০৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৯,০০০ এ দাড়ায় [৬] অধিকাংশ এ ভাষা ব্যবহারকারিরা চাইনিজ সরকারের দ্বারা জুহুয়াং বলে নির্দেশিত হত। ই ভাষা ব্যবহারকারীরা প্রধানত চীনের স্বশাসিত প্রদেশ গুয়ানগিক্সিতে বসবাস করে,বিশেষকরে রংসুই মিওয়াউ অঞ্চলে এবং লুউছেং মুলাউের সীমান্তবর্তী এলাকায়। ই ভাষা ব্যবহারকারীরা বাস করে এমন গ্রামগুলোর মধ্যে আছে জায়াটান,সিমো,জিংলং এবং ইয়ংলেই জেলা।ইথনোলগ ই ভাষা কে র্যাঙ্ক 6b এ বর্ণনা করে (হুমকিস্বরূপ)। ই ভাষা ব্যবহারকারীরা অন্যান্য যেসব ভাষা বলে তা হল ইউই চাইনিজ এবং গিউলিউের অন্যরূপ হিসেবে দক্ষিণ পশ্চিমের মান্দারণ ভাষা।[৭]
ধ্বনি তত্ত্ব
সম্পাদনাই ভাষার স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ এর মূল ভাষার মতই। তারপরও,এটি অব্যবহৃত ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করে, যেমন: নাসারন্ধ্রিয় ব্যঞ্জনবর্ণ [n̥], [ŋ̥], [m̥], এবং স্বরহীন আলজিহবার কাছাকাছি পার্শ্বদেশীয়[l̥]। সবগুলোই স্বরহীন ব্যঞ্জনবর্ণ,অধিকাংশ ভাষাতেই স্বরযুক্ত। ই ভাষা দ্বিস্তরী ব্যঞ্জনবর্ণ এবং সন্ধ্যাক্ষরগুলোকে সমর্থন করে।[৬]
|
|
অধিকাংশ দক্ষিণ এশীয় ভাষার মত,ই একটি স্বরীয় ভাষা, যেমন তাই এবং চাইনিজ ভাষার বৈচিত্র্যতা[৮] এই ভাষা বর্ণনা করে এটার সপ্তসুর আছে, এবং যে স্বরবর্ণ এটার সাথে সংযুক্ত তার স্বরদৈর্ঘ্যের সাতটি ভিন্নভিন্ন একক উচ্চারণ আছে। ১ থেকে ৫ এর সংখ্যাক্রমে, ১ হল সর্বনিম্ন ও ৫ হল সর্বোচ্চ, অন্যান্য স্বরের সীমারেখা হল নিম্নোক্ত।[৬]
সংখ্যা | সীমারেখা | স্বর বর্ণ | |
---|---|---|---|
1. | 42 | ˦˨ | |
2. | 231 | ˨˧˩ | |
3. | 44 | ˦ | |
4. | 35 | ˧˥ | |
5. | 24 | ˨˦ | |
6. | 55 | ˥ | |
7. | ছোট | 24 | ˨˦ |
বড় | 22 | ˨ |
ব্যাকরন ও অভিধান
সম্পাদনাই ভাষা সাধারণত তাই-কাদাই এবং সিনো-তিব্বতিয়ান পরিবারের মিশ্রিত ভাষা, যার উভয়টাই দক্ষিণ চীনের এবং দক্ষিণ এশিয়ার।[৫] কিছু অ-চাইনিজ পণ্ডিতগণ, কোনভাবে, মনে করে এটি চাইনিজ ভাষার উপর তাই-কাদাই ভাষার প্রভাব।[৯] এটির প্রকারভেদ যাইহোক,এটির ব্যাকরণ এটি বোঝায় যে তাই-কাদাই ভাষার একটি শাখা তাই ভাষা। বিশেষভাবে,পণ্ডিতগণ মনেকরে যে ই ভাষার ব্যাকরন উত্তরের জুওয়াং, মুলাম, এবং কাম ভাষার সংমিশ্রণ [৭][৮] ভিয়েতনামের কাউলিয়ান ভাষা এবং ই ভাষার মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।[৮]
শব্দভাণ্ডার, যেকোনভাবে, অধিকাংশই চাইনিজ, যা গুইলিউ এবং পিংহুয়াএর বিকল্প তুগুয়াই ভিত্তিক।[৭][৮]২,০০০ এর মধ্যে,বেশিরভাগই ই শব্দ ব্যবহার করে, মাত্র ২০০ টি তাই-কাদাই থেকে এসেছে।[১০] ই ভাষা উত্তরাধিকারসূত্রেও চাইনিজ আঞ্চলিক ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও যৌগিক শব্দ গঠন লাভ করে।[৭] ই ভাষার অঙ্গসংস্থান প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষনিক, যা নির্ভর করে সাহায্যকারী শব্দের (pat6, m2) চিহ্নের ধারণার উপর এবং অসর্বনামীয় চুক্তির উপর।[৬]
এটির সর্বনামে,ই ব্যক্তিবিশেষে প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় রুপে ভাগ হয়,এবং সংখ্যাবিশেষে একবচন এবং বহুবচনের মধ্যে ভাগ হয়,এবং,অনেক বহুবচনের ক্ষেত্রে, একক ও সবারসাথের মধ্যে "আমরা" রুপে ভাগ হয়। ই ভাষা ব্যাকরণিক লিঙ্গের মধ্যে প্রভেদ করেনা।[৬]
|
|
|
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ এথ্নোলগে ই ভাষা (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "ই ভাষা"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ ক খ গ Edmondson 1992, পৃ. 138।
- ↑ Unihan Database 1991।
- ↑ ক খ Encyclopedia of Linguistics 2003, পৃ. 207।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Greenhill, Blust এবং Gray 2008।
- ↑ ক খ গ ঘ Lewis, Simons এবং Fennig 2014।
- ↑ ক খ গ ঘ Edmondson 1992, পৃ. 135–144।
- ↑ Moseley 2012, পৃ. 72।
- ↑ Meizhin 2007, পৃ. 2596–2620।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Edmondson, Jerold A. (১৯৯২)। The language game: papers in memory of Donald C. Laycock। Canberra: Australian National University।
- Greenhill, S.J.; Blust, R.; Gray, R.D. (২০০৮)। "The Austronesian Basic Vocabulary Database: From Bioinformatics to Lexomics – Language: Wusehua (Rongshui)"। University of Auckland। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩, ২০১৪।
- Lewis, M. Paul; Simons, Gary F.; Fennig, Charles D. (২০১৪)। "Ethnologue: Languages of the World, Seventeenth edition – E"। SIL International। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩, ২০১৪।
- Meizhin, Luo (২০০৭)। 中国的语言 (Chinese ভাষায়)। Commercial Press।
- Moseley, Christopher (২০১২)। Atlas of the World's Languages in Danger। UNESCO Publishing। আইএসবিএন 978-0-956-60524-5।
- International Encyclopedia of Linguistics: AAVE–Esperanto। 1। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-195-16783-2।
- "Unihan data for U+8A92"। Unicode.org। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৩, ২০১৪।
- Wei Maofan [韦茂繁] (2011). A study of Wusehua [五色话研]. Beijing: Minzu University Press. আইএসবিএন ৯৭৮৭১০৫১১৩৬৫১